সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় -
A
স্বচ্ছতাকে
B
মানবাধিকার রক্ষাকে
C
জনকল্যাণকে
D
আইনের শাসনকে
উত্তরের বিবরণ
সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় আইনের শাসন। কারণ, একটি রাষ্ট্র বা সমাজে সুবিচার, ন্যায়বিচার ও সুশৃঙ্খল প্রশাসন নিশ্চিত করতে আইনের শাসন অপরিহার্য। সুশাসনের কার্যকারিতা অনেকাংশেই নির্ভর করে আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়ার উপর।
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
এটি একটি রাষ্ট্র বা সমাজে সুবিচার, ন্যায়বিচার ও সুশৃঙ্খল প্রশাসন নিশ্চিত করে।
-
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে সবাই সমানভাবে আইনের আওতায় থাকবে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না।
-
এর ফলে দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
-
আইনের শাসন ব্যতীত জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এবং মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত হতে পারে না।
-
জনকল্যাণ সুশাসনের একটি লক্ষ্য হলেও এটি একমাত্র ভিত্তি নয়।

0
Updated: 21 hours ago
নৈতিকতার বড় রক্ষাকবচ কোনটি?
Created: 3 days ago
A
আইন
B
বিবেকের দংশন
C
সামাজিক মূল্যবোধ
D
ধর্মীয় বিশ্বাস
নৈতিকতা
-
নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি যা মানুষকে সুকুমার বৃত্তি অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে।
-
নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ মানসিক বিষয়।
-
নৈতিকতা বা নীতিবোধ একান্তভাবেই মানুষের হৃদয়-মন থেকে উৎসারিত।
-
ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ বা অনুভূতি থেকেই নৈতিকতার বিকাশ ঘটে।
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য
-
নীতিবান মানুষ ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদির মানদণ্ডে নিজেরাই চলার চেষ্টা করে।
-
নৈতিকতার পিছনে সার্বভৌম রাষ্ট্র কর্তৃত্বের সমর্থন থাকে না।
-
নৈতিকতা বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়, রাষ্ট্র নৈতিকবিধি প্রয়োগ করে না।
-
নৈতিকতা বিরোধী ব্যক্তিকে রাষ্ট্র কোনো প্রকার দৈহিক শাস্তি দেয় না, বিবেকের দংশনই নৈতিকতার বড় রক্ষাকবচ।
উল্লেখযোগ্য দিক
-
নৈতিকতা মূলত ব্যক্তিগত ও সামাজিক ব্যাপার।
-
এটি মানুষের মানসিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
মানুষের কল্যাণ সাধনই নৈতিকতার প্রধান লক্ষ্য।

0
Updated: 3 days ago
নৈতিকতার উৎপত্তি ধর্ম, ঐতিহ্য এবং মানব আচরণ থেকে এসেছে— কে এই মত দেন?
Created: 3 days ago
A
B
জোনাথান হেইট
C
জন রলস
D
প্লেটো
নৈতিকতা
-
নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি যা মানুষকে সুকুমার বৃত্তি অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে।
-
নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ মানসিক বিষয় এবং এটি মানবমনের উচ্চ গুণাবলি।
-
নৈতিকতা বা নীতিবোধ একান্তভাবেই মানুষের হৃদয়-মন থেকে উৎসারিত।
-
ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ বা অনুভূতি থেকেই নৈতিকতার বিকাশ ঘটে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রামাণ্য সংজ্ঞা
-
সক্রেটিস বলেছেন: “সৎ গুণই জ্ঞান (Virtue is knowledge)।” তিনি বিশ্বাস করতেন যে জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিরা অন্যায় করতে পারেন না এবং ন্যায়বোধের উৎস হলো জ্ঞান (knowledge) আর অন্যায়বোধের উৎস হলো অজ্ঞতা (ignorance)।
-
জোনাথান হেইট (Jonathan Haidt) মনে করেন: “ধর্ম, ঐতিহ্য এবং মানব আচরণ—এই তিনটি থেকেই নৈতিকতার উদ্ভব হয়েছে।”

0
Updated: 3 days ago
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল নীতিমালা কত সালে পাশ হয়?
Created: 3 days ago
A
২০১১ সালে
B
২০১২ সালে
C
২০১০ সালে
D
২০১৮ সালে
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (২০১২)
-
দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করে।
-
এতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারদের ভূমিকা বর্ণনা করা হয়েছে।
-
এই কৌশলে শুদ্ধাচার বলতে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতাকে বোঝানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য দিক
-
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো দুর্নীতি ঠেকাতে নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সততা নিশ্চিতকরণে সরকার প্রণীত একটি সুশাসন কৌশল।

0
Updated: 3 days ago