সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় -
A
স্বচ্ছতাকে
B
মানবাধিকার রক্ষাকে
C
জনকল্যাণকে
D
আইনের শাসনকে
উত্তরের বিবরণ
সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় আইনের শাসন। কারণ, একটি রাষ্ট্র বা সমাজে সুবিচার, ন্যায়বিচার ও সুশৃঙ্খল প্রশাসন নিশ্চিত করতে আইনের শাসন অপরিহার্য। সুশাসনের কার্যকারিতা অনেকাংশেই নির্ভর করে আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়ার উপর।
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
এটি একটি রাষ্ট্র বা সমাজে সুবিচার, ন্যায়বিচার ও সুশৃঙ্খল প্রশাসন নিশ্চিত করে।
-
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে সবাই সমানভাবে আইনের আওতায় থাকবে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না।
-
এর ফলে দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
-
আইনের শাসন ব্যতীত জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এবং মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত হতে পারে না।
-
জনকল্যাণ সুশাসনের একটি লক্ষ্য হলেও এটি একমাত্র ভিত্তি নয়।
0
Updated: 1 month ago
শুভর প্রতি অনুরাগ ও অশুভর প্রতি বিরাগই হচ্ছে -
Created: 1 month ago
A
মূল্যবোধ
B
সুশাসন
C
নৈতিকতা
D
সবগুলো
নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি, যা মানুষকে সুকুমার বৃত্তি অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে। এটি মানব মনের উচ্চ গুণাবলি, যা মানুষের হৃদয়-মন থেকে উৎসারিত হয়। নৈতিকতার বিকাশ ঘটে মানুষের ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ বা অনুভূতি থেকে। নৈতিকতা কেবল বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং এটি মানসিক ও আত্মিক গুণাবলির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য সংজ্ঞা—
-
নীতিবিদ ম্যুর বলেছেন, "শুভের প্রতি অনুরাগ ও অশুভের প্রতি বিরাগই হচ্ছে নৈতিকতা।"
-
সক্রেটিস বলেন, "সৎ গুণই জ্ঞান" (Virtue is knowledge)। তিনি বিশ্বাস করতেন, জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তিরা অন্যায় করতে পারেন না। ন্যায়বোধের উৎস হলো জ্ঞান, অন্যায়বোধের উৎস হলো অজ্ঞতা।
-
Collins English Dictionary অনুযায়ী, "Morality is concerned with human behaviour, especially the distinction between good and bad and right and wrong behaviour."
-
জোনাথান হেইট (Jonathan Haidt) মনে করেন, নৈতিকতার উদ্ভব হয়েছে ধর্ম, ঐতিহ্য এবং মানব আচরণ থেকে।
-
Cambridge International Dictionary of English অনুযায়ী, নৈতিকতা হলো "ভালো-মন্দ আচরণ, স্বচ্ছতা, সততা ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটি গুণ, যা প্রত্যেক ব্যক্তিই আইন বা অন্য কোনো বিষয় থেকে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে।"
0
Updated: 1 month ago
সুশাসন এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে শাসক ও শাসিতের মধ্যে _________ সম্পর্ক বিদ্যমান।
Created: 1 month ago
A
বৈরী
B
সৌহার্দ্যের
C
আস্থার
D
অনুকূল
সুশাসন (Good Governance):
-
সুশাসন হলো এমন একটি শাসন ব্যবস্থা, যা শাসক ও শাসিতের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলে।
-
এটি নিশ্চিত করে যে শাসক ও শাসিতের মধ্যে দৃঢ় আস্থা স্থাপন হয়।
-
সুশাসনের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
-
ন্যায়বিচার (Justice/Fairness)
-
অংশগ্রহণ (Participation)
-
-
এই বৈশিষ্ট্যগুলো জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে সহায়ক।
-
আস্থার সম্পর্ক যত শক্তিশালী হবে, সুশাসন তত মজবুত হবে।
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল নীতিমালা কত সালে পাশ হয়?
Created: 2 weeks ago
A
২০১১ সালে
B
২০১২ সালে
C
২০১০ সালে
D
২০১৮ সালে
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (২০১২)
-
দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করে।
-
এতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারদের ভূমিকা বর্ণনা করা হয়েছে।
-
এই কৌশলে শুদ্ধাচার বলতে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষতাকে বোঝানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য দিক
-
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল হলো দুর্নীতি ঠেকাতে নাগরিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সততা নিশ্চিতকরণে সরকার প্রণীত একটি সুশাসন কৌশল।
0
Updated: 2 weeks ago