বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য কতজন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
A
১ জন
B
২ জন
C
৩ জন
D
৪ জন
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্য সরকার মোট ৬৭৬ জনকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব বা উপাধি প্রদান করে।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ (সর্বোচ্চ খেতাব): ৭ জন
-
বীরউত্তম (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব): ৬৮ জন
-
বীরবিক্রম (তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব): ১৭৫ জন
-
বীরপ্রতীক (চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব): ৪২৬ জন
মহিলা বীরপ্রতীক:
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২ জন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়
-
তারা হলেন: ডা. সেতারা বেগম ও তারামন বিবি
-
১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে তারা যথাক্রমে ১১ ও ২ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা শহরে গণহত্যার মূল দায়িত্ব দেওয়া হয় কাকে?
Created: 2 months ago
A
রাও ফরমান আলী
B
খাদিম হোসাইন রাজা
C
ইয়াকুব খান
D
আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী
অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা
-
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনারা পূর্ব পাকিস্তানে যে ভয়াবহ গণহত্যামূলক অভিযান চালায়, তার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সার্চলাইট’।
-
১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং ৫৭ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খান সামরিক অভিযানটির বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
-
১৭ মার্চ, চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খানের নির্দেশে জেনারেল রাজা ঢাকা সেনানিবাসে জিওসি অফিসে অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন।
-
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকা শহরের গণহত্যার মূল দায়িত্ব পান জেনারেল রাও ফরমান আলী, আর ঢাকার বাইরে দায়িত্ব পান জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা।
-
পুরো অভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল টিক্কা খান।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি) এবং বিবিসি
0
Updated: 2 months ago
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য কতজন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
Created: 3 months ago
A
৫ জন
B
৭ জন
C
২ জন
D
৬ জন
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক ঘোষণায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানসূচক খেতাবে ভূষিত করা হয়।
এই খেতাবগুলো নিম্নরূপ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – ৭ জন
-
বীর উত্তম – ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম – ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক – ৪২৬ জন
এই সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন নারী মুক্তিযোদ্ধা 'বীর প্রতীক' খেতাব অর্জন করেন, যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহস ও আত্মত্যাগের নজির স্থাপন করেছিলেন।
তারা হলেন:
-
ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম
-
তারামন বিবি
মুক্তিযুদ্ধে নারীর সাহসী অংশগ্রহণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত—নারীদের অংশগ্রহণ ছিল স্পষ্ট ও বলিষ্ঠ।
মুক্তিযুদ্ধ ছিল এক সর্বজনীন গণযুদ্ধ, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই অস্ত্র, শারীরিক শ্রম, সেবা ও গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী:
-
গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: ২০৩ জন
-
বর্তমানে সরকার স্বীকৃত বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: ৪৪৮ জন
-
খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা: ২ জন (উভয়ই ‘বীর প্রতীক’)
এই দুই নারী শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ডয়েচ ভেলে।
0
Updated: 3 months ago
স্বাধীনতার প্রথম ডাকটিকিটে কোন ছবি ছিল?
Created: 3 months ago
A
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
B
লালবাগের কেল্লা
C
সোনা মসজিদ
D
শহীদ মিনার
বাংলাদেশের ডাকটিকিট ইতিহাস
১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট একযোগে তিনটি স্থান থেকে প্রকাশিত হয় — মুজিবনগর, কলকাতার বাংলাদেশ মিশন এবং লন্ডন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটা হয়। প্রথমবার প্রকাশিত ডাকটিকিটের সংখ্যা ছিল মোট ৮টি, যেগুলোর নকশা করেছিলেন প্রবাসী শিল্পী বিমান মল্লিক।
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ সালে প্রথম স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়, যা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কিত এবং গাঢ় লাল, নীল ও বেগুনি রঙে সাজানো।
এই ডাকটিকিটটির মূল্য ছিল ১০ পয়সা এবং এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের ভূখণ্ড ও পরিচয় বিশ্বজুড়ে তুলে ধরা। বিশেষভাবে, ডাকটিকিটে বাংলাদেশের মাঝ বরাবর বেষ্টিত কর্কটক্রান্তি রেখা (মার্কিন ক্রস রেখা) দেখানো হয়েছিল।
স্বাধীনতার পরের প্রথম ডাকটিকিটে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রতীক শহীদ মিনারের ছবি স্থান পায়। এরপর থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্মরণীয় ঘটনাসমূহ, উত্তরাধিকার, ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে আসছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ৭৩২ ধরনের ডাকটিকিট এবং ২৮টি সুভেনির প্রকাশ করেছে।
উল্লেখযোগ্য দিন হলো ২৯ জুলাই, যা ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশে ‘জাতীয় ডাকটিকিট দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
সূত্র:
১) ডাক অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
২) ২৯ জুলাই ২০২১, দ্য ডেইলি স্টার বাংলা
0
Updated: 3 months ago