‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ পঙ্ক্তিটি কামিনী রায় রচিত ‘সুখ’ কবিতার অন্তর্গত। এই কবিতায় জীবনে সুখ কিভাবে অর্জিত হতে পারে, তার ওপর কবির ধারণা প্রকাশ পেয়েছে।
কামিনী রায় মাত্র পনের বছর বয়সে ‘আলো ও ছায়া’ নামের কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেছিলেন, এবং ‘সুখ’ কবিতাটি সেই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
-
পঙ্ক্তিটি সম্পর্কে প্রচলিত বিভ্রান্তি হলো: অনেক ক্ষেত্রে এটিকে ভুলভাবে ‘পরার্থে’ নামক কবিতার অংশ মনে করা হয়।
-
প্রকৃতপক্ষে, কামিনী রায়ের কোনো কবিতা ‘পরার্থে’ নামে পরিচিত নয়।
-
বিভ্রান্তির কারণ: পঙ্ক্তিতে পরার্থপরতা ও সামাজিক সম্প্রীতির গুরুত্ব প্রকাশ পেয়েছে, যা অনেকে ‘পরার্থে’ শব্দের সঙ্গে মিলে যায় বলে ভুল ধারণা করে থাকেন।
-
বর্তমানে পাঠ্য বই ও সাহিত্যপাঠে ‘পরার্থে’ নামে কোনো কবিতা অন্তর্ভুক্ত নয়।
কামিনী রায় সম্পর্কে তথ্য:
-
জন্ম: ১২ অক্টোবর ১৮৬৪, বাকেরগঞ্জের বাসন্ডা গ্রাম।
-
পদবি ও পরিচয়: কবি ও সমাজকর্মী; একসময় ‘জনৈক বঙ্গমহিলা’ ছদ্মনামে লিখতেন।
-
কবিতার শৈলী: সহজ, সরল, মানবিক এবং উপদেশমূলক; জীবনের মহৎ আদর্শের প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশিত।
-
স্বীকৃতি: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জগত্তারিণী পদক’ (১৯২৯)।
-
সমাজসেবা: ‘নারী শ্রম তদন্ত কমিশন’ (১৯২২-২৩) এর সদস্য ছিলেন।
-
মৃত্যু: ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩, হাজারীবাগ, বিহার।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ‘আলো ও ছায়া’ (১৮৮৯), ১৫ বছর বয়সে রচিত; ভূমিকা লিখেছেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ ও রচনা:
-
নির্মাল্য
-
পৌরাণিকী
-
গুঞ্জন (শিশুকাব্য)
-
ধৰ্ম্মপুত্র (অনুবাদ)
-
মাল্য ও নির্মাল্য
-
অশোকসঙ্গীত (সনেট)
-
অম্বা (নাটক)