মনোয়েল দ্যা আসসুম্পসাঁও অভিধান প্রকাশের আগে কত বছর ধরে শব্দ সংগ্রহ করেন?
A
২-৩ বছর
B
৫-৭ বছর
C
৯-১০ বছর
D
১৪-১৫ বছর
উত্তরের বিবরণ
‘Vocabolario em idioma Bengalla, e Portuguez dividido em duas partes’ গ্রন্থটি রচনার জন্য মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ প্রায় ৯–১০ বছর ধরে শব্দ সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি মোনোএল ভাওয়ালের একটি গির্জায় ধর্মযাজকের দায়িত্ব পালনকালে ১৭৩৪–১৭৪২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই গ্রন্থটি রচনা করেন এবং এটি ১৭৪৩ সালে প্রকাশিত হয়।
বাংলা ব্যাকরণ রচনার ইতিহাস:
প্রথম পর্যায়:
• প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয় ১৭৪৩ সালে।
• এটি পর্তুগিজ ভাষায় রচিত, লেখক ছিলেন মোনোএল দা আসসুম্পসাঁউ।
• তিনি এটি রচনা করেন বাংলা-পর্তুগিজ অভিধানের ভূমিকা হিসেবে।
ইংরেজি ভাষায় বাংলা ব্যাকরণ:
• ১৭৭৮ সালে প্রকাশিত হয় নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড প্রণীত ব্যাকরণ।
• নাম: A Grammar of the Bengal Language, এটি ইংরেজিতে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যাকরণ।
• ১৮০১ সালে উইলিয়াম কেরি ইংরেজিতে রচনা করেন A Grammar of the Bengalee Language, যা বঙ্গানুবাদ করেন জন রবিনসন (১৮৪৬)।
বাংলা ভাষায় রচিত ব্যাকরণ:
• ১৮৩৩ সালে প্রকাশিত হয় রামমোহন রায়ের ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’।
• এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ।
0
Updated: 1 month ago
উল্লিখিতদের মধ্যে কে প্রাচীন যুগের কবি নন?
Created: 1 month ago
A
কাহ্নপাদ
B
লুইপাদ
C
শান্তিপাদ
D
রমনীপাদ
চর্যাপদের কবিদের সংখ্যা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে কিছু মতভেদ দেখা যায়।
-
প্রফেসর সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে মোট ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন।
-
অন্যদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম দিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য কবিরা
এই কবিদের মধ্যে আছেন—
কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, ধর্মপা, ঢেগুণপা, বিরুপা, বীণাপা, ভাদেপা, ভুসুকুপা, মহীধরপা, লুইপা, শবরপা, শান্তিপা, সরহপা, ডোম্বীপা, কম্বলাম্বরপা, গুণ্ডুরীপা, চাটিল্লপা, আর্যদেবপা, দারিকপা, তাড়কপা, কঙ্কণপা, জয়নন্দীপা ও তন্ত্রীপা।
অপশন বিশ্লেষণ
প্রশ্নে দেওয়া নামগুলির মধ্যে রমনীপাদ চর্যাপদের কবিদের অন্তর্ভুক্ত নন, অর্থাৎ তিনি প্রাচীন যুগের কবি নন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 1 month ago
'সন্ধ্যাভাষা' কোন সাহিত্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত?
Created: 2 months ago
A
চর্যাপদ
B
পদাবলি
C
মঙ্গলকাব্য
D
রোমান্সকাব্য
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন, যা “চর্যাগীতি” বা “চর্যাগীতিকোষ” নামেও পরিচিত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যসংকলন বা গানের সংকলন।
-
চর্যাপদের মূল বিষয়বস্তু বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী সাধনা ও ভজনের তত্ত্ব।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কখনও স্পষ্ট এবং কখনও অস্পষ্ট; তাই একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলাও হয়।
-
প্রাচীন ছন্দে রচিত চর্যাপদের পদগুলোর আধুনিক বিশ্লেষণে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ধরা হয়েছে।
চর্যাপদ বিষয়ে গবেষণা
-
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বৈজ্ঞানিকভাবে চর্যাপদের ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
এছাড়াও ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুকুমার সেন, ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করেছেন।
-
১৯৪৬ সালে ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের সহজিয়ান প্রসঙ্গে অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচর্য, বৈদ্ধ সহজান এবং চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 2 months ago
'মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান।' - পংক্তিটির রচয়িতা-
Created: 1 month ago
A
বিদ্যাপতি
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
গােবিন্দদাস
D
কৃষ্ণদাস কবিরাজ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী—তিনি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজ-সংস্কারক। প্রধানত কবি হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা ছোট গল্পের জনক বলা হয়।
-
তিনি রচিত ‘গীতাঞ্জলি’ অবলম্বনে ইংরেজি অনুবাদ ‘Song Offerings’ ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয়।
-
নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি বাংলা ‘গীতাঞ্জলি’ জন্য নয়, বরং ইংরেজি অনুবাদ ‘Song Offerings’ এর জন্য।
-
ব্রিটিশ সরকার ১৯১৫ সালে তাকে নাইটহুড উপাধি প্রদান করে।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ সালে তাকে ডি. লিট্ উপাধি প্রদান করে।
আধুনিক কবিদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পদাবলী রচনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
-
পদাবলী নিয়ে তার রচিত কাব্যের নাম ‘ভানুসিংহের পদাবলী’, যার বেশির ভাগ পদ ব্রজবুলি ভাষায় রচিত।
-
গ্রন্থটি ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এর অন্তর্গত একটি লেখা: ‘মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান! মেঘ বরণ তুঝ, মেঘ জটাজুট রক্ত কমল কর.......’
0
Updated: 1 month ago