কোন নাট্যকার বাংলা নাটকে ‘অ্যাবসার্ডধারা’র প্রবর্তন করেন?
A
মুনীর চৌধুরী
B
নূরুল মোমেন
C
সাঈদ আহমদ
D
বিজন ভট্টাচার্য
উত্তরের বিবরণ
সাঈদ আহমদ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রতিভাবান নাট্যকার। ১৯৫৪ সালে লন্ডনে স্যামুয়েল ব্যাকেটের নাটক দেখে তিনি অ্যাবসার্ডধর্মী নাটকের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং বাংলায় এই ধরনের নাটকের প্রচলন করেন।
১৯৭৫ সালে তিনি অ্যাবসার্ডধারার বাইরে এসে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে নাটক রচনা করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘প্রতিদিন একদিন’।
উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ:
-
কালবেলা
-
মাইলপোস্ট
-
তৃষ্ণায়
-
প্রতিদিন একদিন
-
শেষ নবাব
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 1 month ago
A
১৭৯৩ সালে
B
১৮০০ সালে
C
১৮০১ সালে
D
১৯০০ সালে
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
প্রতিষ্ঠা:
-
লর্ড ওয়েলেসলী ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন।
ভাষা ও শিক্ষা কার্যক্রম:
-
বাংলাসহ ভারতের বহু ভাষা শিক্ষা ও প্রসারের জন্য কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
-
উইলিয়ম কেরীকে স্থানীয় ভাষা বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
১৮০১ সালের মে মাসে উইলিয়ম কেরী বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
-
১৮০৫ সালের মধ্যে কলেজে মোট ১২টি অনুষদ খোলা হয়।
উৎস:
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক কবিদের মধ্যে কোন সাহিত্যিক ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা করেছেন?
Created: 2 months ago
A
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বৈষ্ণব পদাবলি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৈষ্ণবীয় মনস্তত্ত্বের প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর সোনার তরী কাব্যগ্রন্থের বহু কবিতায়, বিশেষত বর্ষার ঋতুবৈচিত্র্যকে কেন্দ্র করে রচিত কবিতাগুলিতে, এই প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
কাদম্বরী দেবীর অনুরোধে তিনি ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা করেন, যা ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলি’ নামে পরিচিত। এর একটি সুপরিচিত উদাহরণ হলো—
“মরণরে, তুঁহু মম শ্যাম সমান”
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস — মাহবুবুল আলম; বাংলা সাহিত্যের কথা — ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ; লাল নীল দীপাবলি; বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা — গোপাল হালদার।
0
Updated: 2 months ago
Created: 1 month ago
A
রামরাম বসু
B
উইলিয়াম কেরি
C
তারিণীচরণ মিত্র
D
গোলোকনাথ শর্মা
কথোপকথন বাংলা গদ্যের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যা বিদেশিদের বাংলা ভাষা শেখার উদ্দেশ্যে রচিত হলেও এর মধ্য দিয়ে সে সময়কার সমাজজীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। এটি বাংলা ভাষার প্রারম্ভিক গদ্যচর্চার অন্যতম নিদর্শন।
-
উইলিয়াম কেরি ১৮০১ সালে ‘কথোপকথন’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। এটি শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে বের হয়।
-
গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল বিদেশিদের ব্যবহার ও শিক্ষার উপযোগী করার জন্য।
-
এতে তৎকালীন কলকাতা-শ্রীরামপুর অঞ্চলের স্ত্রী-পুরুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, সামাজিক রীতি-নীতি, ধর্ম ও আচার-আচরণের বিবরণ পাওয়া যায়।
-
কেরি সহজ ও বাস্তব ভঙ্গিতে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। কোথাও অবিমিশ্র সাধুভাষা আবার কোথাও কথ্যভাষা ব্যবহারের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়।
-
এটি বাংলা ভাষার কথ্যরীতির প্রথম নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। একইসঙ্গে সে যুগের সামাজিক ও ব্যবহারিক রীতি-নীতির মূল্যবান তথ্যসূত্র হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।
-
গ্রন্থটি ছিল দ্বিভাষিক—এক পৃষ্ঠায় বাংলা, অপর পৃষ্ঠায় ইংরেজি।
0
Updated: 1 month ago