বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি কখন শেষ হবে?
A
২০৪০
B
২০২৬
C
২০২৪
D
২০৩০
উত্তরের বিবরণ
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বন্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়,যা দুই দেশের জল সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতার সূচনা করে। চুক্তির মূল বিষয়গুলো হলো:
-
চুক্তির মেয়াদকাল ৩০ বছর, অর্থাৎ এটি ২০২৬ সালে শেষ হবে।
-
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রতি মিনিটে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি প্রাপ্তির অধিকার রাখে, তবে বাস্তবে এই পরিমাণ পানির সরবরাহ সম্পূর্ণ হয়নি।
-
চুক্তি নদী পানির ন্যায্য বন্টন ও জলসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দুই দেশের সহযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই করা হয়েছিল।

0
Updated: 22 hours ago
গ্রীন হাউস গ্যাসসমূহ নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি “The Kyoto Protocol” জাতিসংঘ কর্তৃক কত সালে গৃহীত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৯৯৭
B
১৯৯৯
C
২০০৩
D
২০০৪
কিয়োটো প্রটোকল হলো জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যেখানে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বাধ্যতামূলকভাবে হ্রাস করতে বলা হয়। এটি বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
স্বাক্ষরের তারিখ: ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৭
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫
-
স্বাক্ষরের স্থান: কিয়োটো, জাপান
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ৮৩টি
-
অনুমোদনকারী দেশ: ১৯২টি
-
প্রটোকলের মেয়াদ শেষ: ২০২০ সাল
উল্লেখযোগ্য তথ্যসমূহ:
-
এই সম্মেলনে জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত ১৯১টি দেশ উপস্থিত ছিল, যেখানে কানাডা, দক্ষিণ সুদান ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যতিক্রম ছিল।
-
কিয়োটো প্রটোকলে নির্ধারিত হয় যে ২০১২ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৫.২ শতাংশ হ্রাস করতে হবে।
-
চুক্তি বাস্তবায়নের শর্ত অনুযায়ী, বিশ্বে মোট গ্রিনহাউস গ্যাসের ৫৫ শতাংশ উৎপাদনকারী দেশগুলোর স্বাক্ষর প্রয়োজন ছিল।
-
প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি দেশকে নিজস্ব সীমার মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হয়।
-
অংশগ্রহণকারী দেশগুলো যে ছয়টি গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার করে সেগুলো হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
হাইড্রোফ্লোরোকার্বনস (HFCs)
-
পারফ্লোরোকার্বনস (PFCs)
-
সালফার হেক্সাফ্লোরাইড (SF₆)
-

0
Updated: 1 week ago
গণহত্যা সনদ (Genocide Convention) কবে স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৯৪৮ সালে
B
১৯৪৯ সালে
C
১৯৫০ সালে
D
১৯৫১ সালে
গণহত্যা সনদ (Genocide Convention)
-
পূর্ণ নাম: Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide
-
ধরণ: একটি আন্তর্জাতিক আইন
-
প্রথম সংজ্ঞা: এই সনদেই প্রথমবারের মতো "গণহত্যা (Genocide)" অপরাধকে আইনগতভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
-
স্বাক্ষরের তারিখ: ৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৮
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১২ জানুয়ারি, ১৯৫১
-
মূল উদ্দেশ্য:
-
গণহত্যা প্রতিরোধ করা
-
গণহত্যার অপরাধীদের আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় শাস্তি নিশ্চিত করা
-
প্রেক্ষাপট
-
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আলোচনার মাধ্যমে এই সনদ চূড়ান্ত করা হয়।
-
সনদে প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী:
-
“জাতিগত, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হবে।”
-
গণহত্যা যুদ্ধকালীন সময়েও এবং শান্তিকালীন সময়েও সংঘটিত হতে পারে।
-
তবে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বা তথাকথিত সাংস্কৃতিক গণহত্যা এই সনদের আওতাভুক্ত নয়।
-
উৎস:
i) International Committee of the Red Cross (ICRC)
ii) UN Treaty Collection (UNTC)

0
Updated: 2 weeks ago
কোন চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপের “Thirty years’ war” এর সমাপ্তি ঘটে?
Created: 1 week ago
A
ভারসাই চুক্তি, ১৯১৯
B
ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি, ১৬৪৮
C
প্যারিস চুক্তি, ১৭৮৩
D
লুজান চুক্তি, ১৯২৩
ত্রিশ বছরব্যাপী যুদ্ধ ইউরোপে ধর্মকেন্দ্রিক সংঘাতের শেষ বড় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। এই যুদ্ধ প্রাথমিকভাবে প্রোটেস্টান্ট জার্মানির উপর অস্ট্রিয়ান হ্যাপসবার্গদের প্রভাব অক্ষুন্ন রাখা, ডেনমার্কের রাজার উচ্চাভিলাষ, বাল্টিক অঞ্চলে সুইডেনের একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার এবং হ্যাপসবার্গদের পরাজিত করে ফ্রান্সকে ইউরোপের প্রধান শক্তিতে পরিণত করা নিয়ে সংঘটিত হয়। এছাড়া, ধর্মান্ধতা, স্বার্থপরতা, ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খা এবং প্রাধান্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা ইউরোপের সকল দেশকে এই যুদ্ধে টেনে নেয়। দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে এই যুদ্ধে সমগ্র জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।
-
যুদ্ধ প্রলম্বিত হওয়ার মূল কারণগুলোর মধ্যে ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াই এবং ধর্মীয় আধিপত্যের প্রতিযোগিতা।
-
ইউরোপের বৃহৎ অংশ এই সংঘাতের কারণে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
ত্রিশ বছরের এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবসান ঘটাতে ১৬৪৮ সালে ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি সম্পাদিত হয়।
-
১৬৪৮ সালের ২৪ অক্টোবর, ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ ত্রিশ বছরব্যাপী ধর্মসংক্রান্ত যুদ্ধের অবসান ঘটে।
-
এই চুক্তি ইউরোপে শান্তির জন্য প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
-
ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি ইউরোপকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে এগিয়ে নিয়ে আসে।
-
এই চুক্তির নির্ধারিত ভূ-খণ্ডগত সীমানা নেপোলিয়নের যুগ পর্যন্ত বহাল থাকে।

0
Updated: 1 week ago