উত্তর: ক) সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
‘নয়নচারা’ গল্পের লেখক ছিলেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, যিনি বাংলা সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি সাধারণ মানুষের জীবন, সামাজিক সংকট ও মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলো চিত্রায়নে বিশেষ দক্ষ ছিলেন। তাঁর রচনাগুলোতে মানুষের অনুভূতি, নৈতিক দ্বন্দ্ব এবং সমাজের সামাজিক প্রকৃতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সাহিত্যচর্চার মূল বিষয়গুলো হলো:
-
মানবিক ও সামাজিক বিষয়: তাঁর গল্পগুলোতে সাধারণ মানুষের জীবন, দারিদ্র্য, ভালোবাসা, বিশ্বাস ও সামাজিক অবস্থার বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। ‘নয়নচারা’ও এর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
-
মনস্তাত্ত্বিক গভীরতা: গল্পের চরিত্রগুলোর অন্তর্দৃষ্টি, আবেগ এবং জীবনের সংকটগুলো সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরেছেন। পাঠক চরিত্রগুলোর ভাবাবেগের সঙ্গে সহজেই সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।
-
ভাষার সরলতা ও সাবলীলতা: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লেখার ভাষা সহজ ও প্রাঞ্জল। তিনি জটিল সামাজিক বা নৈতিক বিষয়কেও সাধারণ পাঠকের কাছে সহজভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম ছিলেন।
-
গল্পের প্রেক্ষাপট: ‘নয়নচারা’-তে দেখা যায় গ্রামের জীবন, মানুষের দৈনন্দিন সংগ্রাম এবং সামাজিক সম্পর্কের জটিলতা। এটি একদিকে সামাজিক বাস্তবতা তুলে ধরে, অন্যদিকে চরিত্রগুলোর ব্যক্তিগত অনুভূতি ও সংকটও স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: ‘নয়নচারা’ গল্পটি বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সমাজচেতনা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রকাশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি পাঠককে শুধু বিনোদন দেয় না, বরং সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণেও শিক্ষণীয়।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর অন্যান্য রচনাও একই ধরনের মানবিক ও সামাজিক বাস্তবতা উপস্থাপন করে। তাঁর গল্পগুলো সাধারণ মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করে লেখা হলেও, এতে বিশ্বমানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন পাওয়া যায়। ‘নয়নচারা’ গল্পটি সেই ধারার এক চমৎকার উদাহরণ, যা পাঠককে সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় করায় এবং চরিত্রের অনুভূতির গভীরতায় ডুব দেয়।
অতএব, প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ক) সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, কারণ তিনি এই গল্পের প্রকৃত লেখক এবং তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে এটি বিশেষভাবে পরিচিত।