'বুনা > বোনা' কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
A
পরাগত স্বরসঙ্গতি
B
প্রগত স্বরসঙ্গতি
C
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি
D
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি
উত্তরের বিবরণ
স্বরসঙ্গতি হলো সেই ঘটনা যখন একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটে।
উদাহরণ
-
দেশি > দিশি
-
বিলাতি > বিলিতি
প্রকারভেদ:
-
প্রগত স্বরসঙ্গতি: আদিস্বরের প্রভাবে অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: মুলা > মুলো, শিকা > শিকে, তুলা > তুলো -
পরাগত স্বরসঙ্গতি: অন্ত্যস্বরের প্রভাবে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: বুনা > বোনা, দেশি > দিশি -
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি: আদ্য ও অন্ত্য উভয়ের প্রভাবে মধ্যস্বর পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: বিলাতি > বিলিতি, ভিখারি > ভিখিরি -
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি: আদ্য ও অন্ত্য উভয় স্বরই পরস্পরের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: মোজা > মুজো
উৎস:

0
Updated: 23 hours ago
'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' প্রবাদের অর্থ কী?
Created: 5 days ago
A
বুদ্ধির জোরে কষ্ট এড়িয়ে কার্যসিদ্ধি
B
নিজেকে সংশ্লিষ্ট না করা
C
নির্বুদ্ধিতা- চালাকি ধরা পড়া
D
দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তি ক্ষতির ভয়ে ভীত হয় না
বাংলা ভাষায় প্রচলিত প্রবচনগুলো সাধারণত বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ও জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা প্রকাশ করে। এগুলোর মাধ্যমে সমাজের নানা বাস্তবতাকে সংক্ষেপে বোঝানো হয়। নিচে কিছু প্রবচনের অর্থ দেওয়া হলো—
ধরি মাছ না ছুঁই পানি অর্থ বুদ্ধির জোরে কষ্ট এড়িয়ে কার্যসিদ্ধি করা।
কানে দিয়েছি তুলো পিঠে বেঁধেছি কুলো অর্থ কোনো বিষয়ে নিজেকে সম্পূর্ণ অসংশ্লিষ্ট রাখা।
ঠাকুর ঘরে কে? না, আমি কলা খাইনি অর্থ নির্বুদ্ধিতা বা চালাকি ধরা পড়ে যাওয়া।
ভাঙবে তো মচকাবে না অর্থ দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তি ক্ষতির ভয়কে তোয়াক্কা করে না।
উৎস:

0
Updated: 5 days ago
‘গুণহীনের ব্যর্থ আস্ফালন’- অর্থটি কোন প্রবাদে ব্যক্ত হয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন
B
ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি
C
অসারের তর্জন-গর্জন সার
D
আসলে মুঘল নেই, ঢেঁকি ঘরে চাঁদোয়া
ক্ষমতাহীন ব্যক্তি সাধারণত আস্ফালন বেশী করে। এটা আসলে তার অনেক ক্ষমতা আছে এটা বুঝানোর ই একটা প্রচেষ্টা মাত্র।

0
Updated: 2 weeks ago
"তাম্বুল রাতুল হইল অধর পরশে।” - অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
ঠোঁটের পরশে পান লাল হল
B
পানের পরশে ঠোঁট লাল হল
C
অস্তাচলগামী সূর্যের আভায় মুখ রক্তিম দেখা গেল
D
অস্তাচলগামী সূর্য ও মুখ একই রকম লাল হয়ে গেল
পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থ
মহাকবি সৈয়দ আলাওলের শ্রেষ্ঠ রচনা পদ্মাবতী একটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যানধর্মী কাব্য। তাঁর অসাধারণ কাব্য প্রতিভার কারণে আলাওল আরাকান অমাত্য সভায় (মন্ত্রিসভায়) স্থান পান।
১৬৪৮ সালে, প্রধান অমাত্য কোরেশী মাগন ঠাকুরের অনুরোধে আলাওল হিন্দি কবি মালিক মুহম্মদ জায়সী-এর পদুমাবৎ কাব্য অবলম্বনে পদ্মাবতী রচনা করেন। কাব্যটিতে দুইটি পর্ব রয়েছে:
-
প্রথম পর্ব: চিতোর রাজা রত্নসেন পদ্মাবতীকে লাভ করার সফল অভিযান।
-
দ্বিতীয় পর্ব: দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির পদ্মাবতীকে পাওয়ার ব্যর্থ সামরিক অভিযান।
পদ্মাবতীর রূপবর্ণনা (উদাহরণ):
"সুচারু সুরস অতি রাতুল অধর।
লাজে বিম্ব বান্ধুলি গমন বনান্তর।।
মানিক্য প্রবাল অতি নীরস কর্কশ।
অধরের অমিয় স্রবে এই মহারস।।
রক্ত উৎপল লাজে জলান্তরে বৈসে।
তাম্বুল রাতুল হৈল অধর পরশে।।"
উপরের শেষ পঙ্ক্তি ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়:
-
তাম্বূল = পান
-
রাতুল = লাল
-
অধর = ঠোঁট
অতএব, কবি বলতে চেয়েছেন, ‘ঠোঁটের স্পর্শে পান লাল হয়ে উঠল’।
উৎস:
-
ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান

0
Updated: 1 month ago