সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
A
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
B
তৎসম শব্দবহুল।
C
সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে।
D
বক্তৃতা ও আলাপ-আলোচনার উপযোগী।
উত্তরের বিবরণ
সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য নয়— বক্তৃতা ও আলাপ-আলোচনার উপযোগী হওয়া। সাধু রীতি মূলত লেখ্য ভাষায় ব্যবহার হয় এবং এর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
সাধু রীতি
-
বাংলা লেখ্য সাধু রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
-
এ রীতি গুরুগম্ভীর এবং তৎসম শব্দবহুল।
-
সাধু রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য অনুপযোগী।
-
সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
চলিত রীতি
-
চলিত রীতি পরিবর্তনশীল। একশ বছর আগে যে চলিত রীতি শিষ্ট ও ভদ্রজনের কথ্য ভাষা হিসেবে প্রচলিত ছিল, বর্তমানে তা পরিবর্তিত রূপ লাভ করেছে।
-
এ রীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
-
চলিত রীতি সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য। বক্তৃতা, আলাপ-আলোচনা ও নাট্যসংলাপের জন্য এটি বেশি উপযোগী।
-
সাধু রীতির সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত হয়ে সহজতর রূপ গ্রহণ করে। বহু বিশেষ্য ও বিশেষণেও একই রকম পরিবর্তন ঘটে।
উৎস:

0
Updated: 23 hours ago
বাংলা বর্ণমালার উৎস কী?
Created: 2 weeks ago
A
তিব্বতি লিপি
B
ব্রাহ্মী লিপি
C
খরোষ্ঠী লিপি
D
দেবনাগরি লিপি
বাংলা লিপির উৎস ব্রাহ্মীলিপি। বাংলা সহ ১৯৮ টি লিপির উৎপত্তি ব্রাহ্মী লিপি হতে। ব্রাহ্মী লিপির পৃষ্ঠপোষক - সম্রাট অশোক।

0
Updated: 2 weeks ago
নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে-
Created: 2 months ago
A
কল্যাণীয়াষু
B
সুচরিতেষু
C
শ্রদ্ধাস্পদাসু
D
প্রীতিভাজনেষু
• পত্রে নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শব্দ- শ্রদ্ধাস্পদাসু।
• শ্রদ্ধাভাজন, স্নেহভাজন নারীদের লিখিত পত্রের সম্বোধনগুলো হলো:
- শ্রদ্ধাভাজনাসু, শ্রদ্ধাস্পদাসু, কল্যাণীয়াসু ইত্যাদি।
• শ্রদ্ধাভাজন, স্নেহভাজন পুরুষ ও বন্ধুদের লিখিত পত্রের সম্বোধনগুলো হলো:
- শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু, সুচরিতেষু, প্রীতিভাজন ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।

0
Updated: 2 months ago
দুটি বিশেষণ পদে গঠিত কর্মধারয় সমাসের দৃষ্টান্ত কোনটি?
Created: 1 week ago
A
কাঁচকলা
B
চালাকচতুর
C
দুঃশাসন
D
মহাত্মা
• দুটি বিশেষণ পদে গঠিত কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ: চালাকচতুর।
--------------------
• কর্মধারয় সমাস:
বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে বা বিশেষ্য ও বিশেষণ ভাবাপন্ন পদে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রাধান্য পায় তাকে 'কর্মধারয়' সমাস বলে। কর্মধারয় সমাসে সাধারণত বিশেষণ পদ আগে বসে।
যেমন:
- ফুলের মতো কুমারী = ফুলকুমারী,
- নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।
সমাসবদ্ধ শব্দে বিশেষ্য ও বিশেষণের অবস্থানগত পার্থক্য নির্দেশ করে কিছু উদাহরণ:
(বিশেষণ+ বিশেষ্য):
কাঁচা যে কলা = কাঁচকলা;
দুঃ যে শাসন = দুঃশাসন;
মহৎ যে আত্মা = মহাত্মা।
(বিশেষণ+ বিশেষণ):
যে চালাক সেই চতুর = চালাকচতুর,
যা কাঁচা তা-ই মিঠা = কাঁচামিঠা (কাঁচামিঠে)।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 week ago