অর্ধস্বরধ্বনি নয় কোনটি?
A
ই্
B
উ্
C
এ্
D
অ্
উত্তরের বিবরণ
অর্ধস্বরধ্বনি নয় ‘অ্’। অর্থাৎ বাংলা ভাষার অর্ধস্বরধ্বনির তালিকায় ‘অ্’ অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্ধস্বরধ্বনি সেই ধ্বনিগুলোকে বলা হয়, যেগুলো পুরোপুরি উচ্চারিত হয় না।
বাংলা ভাষায় অর্ধস্বরধ্বনি মোট চারটি
-
ই্
-
উ্
-
এ্
-
ও্
স্বরধ্বনির বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো উচ্চারণ করার সময় দীর্ঘ বা টেনে উচ্চারণ করা যায়। কিন্তু অর্ধস্বরধ্বনি দীর্ঘ করা যায় না।
উদাহরণস্বরূপ
-
'চাই' শব্দে দুটি স্বরধ্বনি আছে: [আ] এবং [ই্]। এখানে [আ] পূর্ণ স্বরধ্বনি, আর [ই্] অর্ধস্বরধ্বনি।
-
'লাউ' শব্দে দুটি স্বরধ্বনি আছে: [আ] এবং [উ্]। এখানে [আ] পূর্ণ স্বরধ্বনি, আর [উ্] অর্ধস্বরধ্বনি।
উৎস:

0
Updated: 23 hours ago
বাংলার আদি জনগোষ্ঠী কোন ভাষাভাষী ছিল?
Created: 1 week ago
A
বৈদিক
B
অস্ট্রিক
C
পালি
D
ধ্রুপদী
বাংলা ভাষার উৎপত্তি
-
ভাষা পরিবার: বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-গোষ্ঠীর সদস্য।
-
উৎপত্তি: ইন্দো-ইরানীয় শাখাভুক্ত নব্য-ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে।
-
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দুটি শাখা: কেন্তম এবং শতম। বাংলা ভাষা শতম শাখা থেকে উদ্ভূত।
-
-
আদি জনগোষ্ঠী: অস্ট্রিক ভাষাভাষী।
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় প্রভাব
-
ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষার মূল উৎস অনার্য ভাষা।
-
আর্যদের ভাষা: বৈদিক ভাষা।
-
বৈদিক ভাষার সংস্কারজাত নতুন ভাষা: সংস্কৃত।
-
শব্দ “সংস্কৃত” প্রথম উল্লেখ: মহাকাব্য ‘রামায়ণ’।
-
-
বাংলা ভাষার নিকটতম আত্মীয়: অহমিয়া ও ওড়িয়া।
-
ধ্রুপদী সংস্কৃতি ও পালি ভাষার সঙ্গে বাংলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: গৌড়ি প্রাকৃত → গৌড়ি অপভ্রংশ → বঙ্গ-কামরুপি → বাংলা।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়: মাগধী প্রাকৃত → মাগধী অপভ্রংশ → বাংলা।
-
ভাষাবিদরা ড. শহীদুল্লাহর মতামতকে অধিক গ্রহণযোগ্য মনে করেন।
বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক পর্যায়
১. প্রাচীন বাংলা: ৯০০/১০০০ – ১৩৫০
-
উল্লেখযোগ্য লিখিত নিদর্শন: চর্যাগীতিকাগুলি
২. মধ্যবাংলা: ১৩৫০ – ১৮০০
৩. আধুনিক বাংলা: ১৮০০ পরবর্তী
উৎস:
-
বাংলা একাডেমি, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (দ্বিতীয় খণ্ড)
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
'এখন যেতে পার।' এখানে 'যেতে পার' কোন ক্রিয়ার উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
মিশ্র ক্রিয়া
B
প্রযোজক ক্রিয়া
C
দ্বিকর্মক ক্রিয়া
D
যৌগিক ক্রিয়া
যৌগিক ক্রিয়া (Compound Verbs) – সংজ্ঞা ও উদাহরণ
সংজ্ঞা:
যদি একটি সমাপিকা ক্রিয়া (finite verb) এবং একটি অসমাপিকা ক্রিয়া (non-finite verb) একত্রে মিলিত হয়ে একটি বিশেষ বা সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলা হয়।
উদাহরণ:
-
ঘটনাটা শুনে রাখ।
-
তিনি বলতে লাগলেন।
-
সাইরেন বেজে উঠল।
যৌগিক ক্রিয়ার অন্যান্য উদাহরণ ও অর্থানুসারে শ্রেণীবিন্যাস:
-
নিরন্তরতা প্রকাশে: তিনি বলতে লাগলেন।
-
কার্যসমাপ্তি প্রকাশে: ছেলেমেয়েরা শুয়ে পড়ল।
-
অভ্যস্ততা প্রকাশে: শিক্ষায় মন সংস্কারমুক্ত হয়ে থাকে।
-
অনুমোদন প্রকাশে: এখন যেতে পার।
উল্লেখ্য: সব উদাহরণই যৌগিক ক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত।

0
Updated: 1 week ago
সারাংশের জন্য গুরুত্বপণূ দিক কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সৃজনশীলতা
B
প্রাঞ্জলতা
C
মননশীলতা
D
ভাষারীতির শুদ্ধতা
সারাংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক প্রাঞ্জলতা। অর্থাৎ, যে বিষয় সম্পর্ক নিয়ে সারাংশ লেখা হচ্ছে তা স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। অতিরিক্ত বড় করা যাবে না সারাংশ। শুধুমাত্র মূল ভাব ফুটিয়ে তুলতে হবে। যে অনুচ্ছেদ দেয়া থাকবে, সেটা থেকে বাক্য লিখা যাবে না।

0
Updated: 1 week ago