বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে?
A
চট্টগ্রাম
B
সিলেট
C
পঞ্চগড়
D
মৌলভীবাজার
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চা চাষের সূচনা হয় ১৮৫৪ সালে, যখন সিলেটের মালিনীছড়ায় প্রথম চা বাগান গড়ে ওঠে। বর্তমানে, বাংলাদেশ চা বোর্ডের অধীনে মোট ১৬৭টি চা বাগান ও টি এস্টেট পরিচালিত হচ্ছে।
-
মৌলভীবাজার জেলায় সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে, এখানে মোট ৯১টি চা বাগান আছে।
-
অন্যান্য জেলার চা বাগানের সংখ্যা:
-
হবিগঞ্জ: ২৫টি
-
চট্টগ্রাম: ২১টি
-
সিলেট: ১৯টি
-
পঞ্চগড়: ৮টি
-
রাঙামাটি: ২টি
-
ঠাকুরগাঁও: ১টি
-

0
Updated: 1 day ago
বঙ্গভঙ্গের ফলে কোন নতুন প্রদেশ সৃষ্টি হয়েছিল?
Created: 1 week ago
A
পূর্ববঙ্গ
B
পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা
C
পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ
D
পূর্ববঙ্গ ও আসাম
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের নেতৃত্বে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাংলা প্রদেশকে দুইটি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়। পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ এই নতুন বিন্যাসে তৈরি হয়,
যা তৎকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। নতুন প্রদেশের গঠন, আয়তন, জনসংখ্যা ও প্রতিক্রিয়ার বিবরণ নিম্নরূপ:
-
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করে দুটি প্রদেশ তৈরি করা হয়।
-
প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনিক সুবিধা এবং রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ।
-
পূর্ববঙ্গ প্রদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিভাগের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, পার্বত্য ত্রিপুরা, মালদাহ এবং আসাম যুক্ত করা হয়।
-
নতুন প্রদেশের নাম হয় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ।
-
পূর্ববঙ্গ প্রদেশের আয়তন দাঁড়ায় ১০৬,৫৪০ বর্গমাইল।
-
জনসংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১০ লক্ষ, যার মধ্যে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মুসলমান।
-
নতুন প্রদেশের রাজধানী করা হয় ঢাকা এবং অনুসঙ্গী সদর দপ্তর চট্টগ্রামে।
অন্য দিকে:
-
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উড়িষ্যা নিয়ে আরেকটি প্রদেশ গঠিত হয়।
-
এর নামকরণ করা হয় বাংলা প্রদেশ।
-
বাংলা প্রদেশের রাজধানী করা হয় কলকাতা।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
-
নতুন প্রদেশে মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় তারা কার্জনের উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।
-
উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা এর তীব্র বিরোধিতা করে।
-
কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আন্দোলন গড়ে ওঠে।
-
অবশেষে সরকার ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ বাতিল করে।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনে কৃষি খাতের অবদান-
Created: 2 weeks ago
A
নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে
B
অনিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে
C
ক্রমহ্রাসমান
D
অপরিবর্তিত থাকছে
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২ অনুসারে -
• অর্থনীতি/জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান - ১১.৫০%,
• অর্থনীতি/জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান - ৩৭.০৭%,
• অর্থনীতি/জিডিপিতে সেবাখাতের অবদান - ৫১.৪৪%।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী জিডিপিতে বিভিন্ন খাতের অবদান:
- সেবা খাতের অবদান ৫১.২৪ শতাংশ।
- শিল্প খাতের অবদান ৩৭.৫৬ শতাংশ।
- কৃষি খাতের অবদান ১১.২০ শতাংশ।
- সেবা খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুসারে,
- অর্থনীতি/জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান = ১১.০২%।
- অর্থনীতি/জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান = ৩৭.৯৫%।
- অর্থনীতি/জিডিপিতে সেবাখাতের অবদান= ৫১.০৮%।
সুতরাং,
দেখা যাচ্ছে যে, জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ক্রমহ্রাসমান।
উৎস: অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২, ২০২৩, ২০২৪।

0
Updated: 2 weeks ago
ট্যারিফ কমিশন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
Created: 3 weeks ago
A
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
B
অর্থ মন্ত্রণালয়
C
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
D
শিল্প মন্ত্রণালয়
ট্যারিফ কমিশন
ট্যারিফ কমিশন হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের শিল্প ও বাণিজ্যকে সুরক্ষিত রাখতে এবং অসাম্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা রোধ করতে কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠা ও আইনগত ভিত্তি:
২৮ জুলাই ১৯৭৩ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি একটি অধিদপ্তর হিসেবে কাজ শুরু করে। পরে, ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে এটি বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন ১৯৯২ (৪৩ নম্বর আইন) অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হয় এবং স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার পায়। -
উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম:
কমিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশীয় শিল্পকে বিদেশি পণ্যের অসঙ্গতিপূর্ণ প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করা এবং শিল্পজাত পণ্যের যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। -
সংগঠন ও নেতৃত্ব:
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত। এর নেতৃত্বে থাকেন সরকারি সচিব পর্যায়ের মর্যাদাসম্পন্ন চেয়ারম্যান। -
শাখা ভিত্তিক বিভাজন:
কমিশনের কাজ তিনটি প্রধান শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হয়:-
বাণিজ্য নীতিমালা শাখা
-
বাণিজ্য প্রতিকার শাখা
-
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শাখা
প্রতিটি শাখার নেতৃত্বে একজন সদস্য থাকেন। এছাড়াও একটি প্রশাসনিক শাখা আছে, যা কমিশনের সচিব দ্বারা পরিচালিত হয়।
-
তথ্যসূত্র: ট্যারিফ কমিশন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 3 weeks ago