'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার গ্রাম' - জাতির পিতা কবে এই ঘােষণা দেন?
A
২৬ মার্চ ১৯৭১
B
৭ মার্চ ১৯৭১
C
৩ মার্চ ১৯৭১
D
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
উত্তরের বিবরণ
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের সমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান এবং দেশের মুক্তির অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
-
চলমান সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হোক।
-
সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হোক।
-
গণহত্যার তদন্ত করা হোক।
-
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে স্বাধীনতা পদক প্রবর্তন করা হয় কত সালে?
Created: 2 months ago
A
১৯৭৩ সালে
B
১৯৭৫ সালে
C
১৯৭৬ সালে
D
১৯৭৭ সালে
স্বাধীনতা পদক (বাংলাদেশ)
-
প্রবর্তন: ১৯৭৭, মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে
-
সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার
-
প্রদানের ক্ষেত্র:
-
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান
-
ভাষা আন্দোলন
-
শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
-
চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, জনসেবা
-
সামাজিক বিজ্ঞান, সঙ্গীত, ক্রীড়া, চারুকলা, পল্লী উন্নয়ন
-
-
পুরস্কারের উপাদান: স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র, নগদ অর্থ
স্বাধীনতা পদক ২০২৫ প্রাপ্তরা:
-
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
-
সাহিত্য: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
-
সমাজসেবা: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
-
শিক্ষা ও গবেষণা: বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
-
সংস্কৃতি: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)
-
প্রতিবাদী তারুণ্য: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)
সূত্র: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
0
Updated: 2 months ago
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় গঠিত সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদের আহবায়ক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
তাজউদ্দীন আহমেদ
B
ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
C
কর্নেল খালেদ মোশাররফ
D
কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানী
সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ
১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করার জন্য আওয়ামী লীগসহ পাঁচটি দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয় ৮ সদস্যের সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ।
-
এই পরিষদ মূলত মুজিবনগর সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা দিত, যা একাত্তরের ১০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়োগ করে গঠিত হয়।
-
পরিষদটি ভারতের কলকাতায় গঠিত ‘জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
সদস্য ও নেতৃত্ব:
-
আহবায়ক: তাজউদ্দীন আহমেদ
-
কমিটির নেতা: মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
অন্যান্য সদস্য:
-
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ (মস্কোপন্থী ন্যাপের প্রতিনিধি)
-
মনিসিংহ (কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি)
-
মনোরঞ্জন ধর (কংগ্রেস দলের নেতা)
-
ক্যাপ্টেন মনসুর আলী (আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি)
-
এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান (আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি)
-
খন্দকার মোশতাক আহমদ (মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি)
0
Updated: 1 month ago
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য কতজন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
Created: 3 months ago
A
৫ জন
B
৭ জন
C
২ জন
D
৬ জন
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক ঘোষণায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানসূচক খেতাবে ভূষিত করা হয়।
এই খেতাবগুলো নিম্নরূপ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – ৭ জন
-
বীর উত্তম – ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম – ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক – ৪২৬ জন
এই সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন নারী মুক্তিযোদ্ধা 'বীর প্রতীক' খেতাব অর্জন করেন, যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহস ও আত্মত্যাগের নজির স্থাপন করেছিলেন।
তারা হলেন:
-
ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম
-
তারামন বিবি
মুক্তিযুদ্ধে নারীর সাহসী অংশগ্রহণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত—নারীদের অংশগ্রহণ ছিল স্পষ্ট ও বলিষ্ঠ।
মুক্তিযুদ্ধ ছিল এক সর্বজনীন গণযুদ্ধ, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই অস্ত্র, শারীরিক শ্রম, সেবা ও গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী:
-
গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: ২০৩ জন
-
বর্তমানে সরকার স্বীকৃত বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: ৪৪৮ জন
-
খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা: ২ জন (উভয়ই ‘বীর প্রতীক’)
এই দুই নারী শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ডয়েচ ভেলে।
0
Updated: 3 months ago