কোন দেশ বাংলা ভাষাকে তাদের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে?
A
লাইবেরিয়া
B
নামিবিয়া
C
হাইতি
D
সিয়েরা লিওন
উত্তরের বিবরণ
সিয়েরা লিওন পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ যা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ভাষার সংমিশ্রণে গঠিত। দেশটি তাদের সাংবিধানিক নাম সিয়েরা লিওন প্রজাতন্ত্র দ্বারা পরিচিত এবং রাজধানী হলো ফ্রিটাউন।
এখানে প্রায় ১৬টি জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে, যাদের প্রত্যেকের নিজস্ব ভাষা ও রীতিনীতি রয়েছে। সরকারি ভাষা হলো ইংরেজি, পাশাপাশি প্রায় ২০টি স্থানীয় ভাষা ব্যবহৃত হয়।
-
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
দেশটিতে নিয়োজিত জাতিসংঘের বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ২০০২ সালে সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আহমাদ তেজান কাব্বাহ বাংলা ভাষাকে দেশের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেন।

0
Updated: 1 day ago
নিম্নের কোন পত্রিকাটির প্রকাশনা উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আশীর্বাণী পাঠিয়েছিলেন?
Created: 1 day ago
A
সবুজপত্র
B
শনিবারের চিঠি
C
কল্লোল
D
ধূমকেতু
‘ধুমকেতু’ কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত একটি অর্ধ-সাপ্তাহিক পত্রিকা, যা বিপ্লবীদের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত ছিল এবং ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২৬ শ্রাবণ (১১ আগস্ট ১৯২২) আত্মপ্রকাশ করে। পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যায় নজরুলের অনলবর্ষী দীর্ঘ কবিতা ‘ধুমকেতু’ প্রকাশিত হয়।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পত্রিকাটিকে আশীর্বাদ করে দু'লাইনের একটি অভিনন্দন বাণী প্রেরণ করেছিলেন:
'আয় চলে আয়রে ধূমকেতু/ আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু/ দুর্দিনের এই দুর্গশিরে/ উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।' -
পত্রিকাটির দেওয়ালী সংখ্যাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তুরস্কনীতি এবং রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক নমনীয়তার কঠোর সমালোচনা করা হয়েছিল।

0
Updated: 1 day ago
পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম দাবি কে উত্থাপন করেন?
Created: 4 weeks ago
A
আব্দুল মতিন
B
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
C
শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
D
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি
পাকিস্তানের গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাব দেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি ছিলেন কুমিল্লার সন্তান।
-
তারিখ ও ঘটনা: ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি করাচিতে পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রথমবার গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তোলেন।
-
প্রস্তাবের কারণ: তিনি সরকারি কাগজপত্রে বাংলা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন। অধিবেশনে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, গণপরিষদের কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুতে লেখা হয়, যেখানে বাংলার ব্যবহার নেই।
-
ভাষার গুরুত্ব: সমগ্র পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলে। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা পাওয়া উচিত বলে তিনি দাবি করেন।
পটভূমি: পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতারা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। এর ফলে বাংলার সংখ্যা ও প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করা হচ্ছিল।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।

0
Updated: 4 weeks ago