'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি' গানটি কে রচনা করেন?
A
মুনীর চৌধুরী
B
জহির রায়হান
C
আবদুল গাফফার চৌধুরী
D
কাজী নজরুল ইসলাম
উত্তরের বিবরণ
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি” কবিতাটি ১৯৫২ সালের ভাষার দাবিতে ছাত্রমিছিলে গুলি চালানোর প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছিল। কবিতাটি ঢাকা কলেজের ছাত্র আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী রচনা করেন।
পরবর্তীতে এটি হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত এবং মোহাম্মদ সুলতান কর্তৃক প্রকাশিত “একুশে ফেব্রুয়ারি” সংকলনে ‘একুশের গান’ হিসেবে ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয়। কবিতাটির সুর প্রথমে দিয়েছিলেন আব্দুল লতিফ, আর বর্তমানে যে সুরে এটি গাওয়া হয়, তা করেছেন আলতাফ মাহমুদ।
-
কবিতাটির রচনা প্রেক্ষাপট: ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে ছাত্রমিছিল।
-
রচয়িতা: ঢাকা কলেজের ছাত্র আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী।
-
সংকলন ও প্রকাশনা: হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ও মোহাম্মদ সুলতান প্রকাশিত “একুশে ফেব্রুয়ারি”, ১৯৫৩ সালের মার্চ।
-
মূল সুর: আব্দুল লতিফ।
-
বর্তমান জনপ্রিয় সুর: আলতাফ মাহমুদ।

0
Updated: 1 day ago
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
অলি আহাদ
B
কাশেম আলী
C
গাজীউল হক
D
তোফাজ্জল হোসেন
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী - গান
একুশে ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলি (১৯৫২)
-
তারিখ ও দিন: ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, বৃহষ্পতিবার (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮ বঙ্গাব্দ)।
-
জমায়েত: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা জমায়েত হতে থাকে।
-
বিধিনিষেধ: সরকার ১৪৪ ধারা জারি করায় ছাত্ররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দুজন দুজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।
-
ছাত্রসভা: বেলা ১১টায় সভা শুরু হয়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
-
সভাপতিত্ব: গাজীউল হক
-
বক্তৃতা: শামসুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা, কাজী গোলাম মাহবুব, খালেক নেওয়াজ, আবদুল মতিন
-
সভাপতি ১০ জনকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের নির্দেশ দেন।
-
-
প্রতিরোধ: পুলিশ মিছিলকারীদের উপর লাঠিচার্জ এবং কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
-
অবস্থান: মেডিকেল হোস্টেলের প্রধান ফটকের কাছে ছাত্ররা জমায়েত হয়। এখানে জগন্নাথ হলের অডিটোরিয়াম ছিল, যেখানে পূর্ববাংলা আইন পরিষদের অধিবেশন চলছিল।
-
উদ্দেশ্য: ছাত্ররা চাইছিলেন অধিবেশনে যোগদানকারী সদস্যদের কাছে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ পৌঁছে দিতে।
-
বিবাদ: ছাত্ররা শ্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ তাদের তাড়া করে। প্রতিবাদে ছাত্ররা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে।
-
শহিদ ও আহত:
-
ঘটনাস্থলেই শহীদ: আব্দুল জব্বার, রফিকউদ্দিন আহমদ
-
আহত: প্রায় ১৭ জন, রাত ৮টায় আবুল বরকত শহীদ হন
-
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), দৈনিক ইত্তেফাক (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১)

0
Updated: 3 weeks ago
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি' গানটির বর্তমান সুরকার কে?
Created: 3 weeks ago
A
আপেল মাহমুদ
B
আব্দুল লতিফ
C
আলতাফ মাহমুদ
D
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
-
গানটির নাম: আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
-
গীতিকার: আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
-
প্রথম সুরকার: আবদুল লতিফ
-
বর্তমান সুরকার: আলতাফ মাহমুদ (প্রথম সুরের পরিবর্তিত সংস্করণ)
-
উদ্দেশ্য ও অর্থ: গানটি একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদদের স্মরণে রচিত, যেখানে ভাষা আন্দোলনে বহু মানুষের রক্ত ঝরার কথাকে স্মরণ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও ডেইলি স্টার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

0
Updated: 3 weeks ago
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
B
আলতাফ মাহমুদ
C
আব্দুল লতিফ
D
আব্দুল আলীম
ভাষা আন্দোলনের অমর স্মারক: "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি"
বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে সবচেয়ে গভীর আবেগে গাঁথা এবং চিরস্মরণীয় এক শিল্পকর্ম হলো— "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি" গানটি।
এই গানটি শুধু একটি সঙ্গীত নয়, বরং এটি বাঙালি জাতির ভাষার অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে শহিদদের রক্তস্নাত আত্মত্যাগের এক মর্মন্তুদ প্রতিচ্ছবি।
এই কালজয়ী গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী, যিনি ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে গানটি রচনা করেন। এটি সর্বপ্রথম ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয় ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ শীর্ষক একটি সংকলন গ্রন্থে, যা সম্পাদনা করেছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক হাসান হাফিজুর রহমান।
প্রথমদিকে গানটিতে সুর দেন আবদুল লতিফ। পরবর্তীকালে সেই সুরটি পরিবর্তন করে আলতাফ মাহমুদ নতুনভাবে সুরারোপ করেন, এবং বর্তমানে সেই সংস্করণটিই প্রচলিত ও সর্বজনবিদিত।
"রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি" কথাটি শুধু কাব্যিক নয়, বরং ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়— ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া তরুণদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। এই রক্তদানের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার আন্দোলন।
এই গানটি কেবল একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনাকে নয়, বরং বাঙালির জাতীয় সত্তা, আত্মদানের ইতিহাস ও ভাষাপ্রেমকেই অমর করে রেখেছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago