‘তমদ্দুন মজলিশ' কে প্রতিষ্ঠা করেন?
A
হাজী শরিয়ত উল্লাহ
B
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
C
আবুল কাশেম
D
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
উত্তরের বিবরণ
তমদ্দুন মজলিশ একটি ইসলামী আদর্শভিত্তিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা দেশে ইসলামী মূল্যবোধ ও ভাবধারা সমুন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে ভারত বিভাগের অব্যবহিত পরেই ঢাকায় গড়ে ওঠে। এটি ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ও অধ্যাপকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষার মাধ্যমে সংস্কৃতির সেবা করা, এবং পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাংলা ভাষার পক্ষে এর ভূমিকা ছিল প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রতিষ্ঠাতা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম। তিনি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
-
মূল লক্ষ্য: বাংলা ভাষার প্রচার ও সংস্কৃতির সেবা।
-
মুখপত্র: তমদ্দুন মজলিশের মুখপত্র ছিল সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৪ নভেম্বর ১৯৪৮ (২৮ কার্তিক ১৩৫৫)। প্রথম সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ছিলেন শাহেদ আলী, পরে সভাপতি হন আবদুল গফুর।
-
ভাষা আন্দোলনের প্রচেষ্টা: ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে "পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু?" শিরোনামে বাংলা ভাষার পক্ষে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।

0
Updated: 1 day ago
তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠা করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
অধ্যাপক আবদুল মতিন
B
অধ্যাপক আবুল কাসেম
C
অধ্যাপক আবদুস সালাম
D
অধ্যাপক কামরুদ্দিন মতিন
ভাষা আন্দোলন
-
১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
একই বছর, ১৫ সেপ্টেম্বর, সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
-
প্রকাশিত পুস্তিকার নাম ছিল: ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’।
-
তমদ্দুন মজলিশ ছাত্র ও শিক্ষক মহলে বাংলাভাষার গুরুত্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে।
-
১৯৪৭ সালের মধ্যেই বহু লেখক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন জানান।
-
পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলাকে বাদ দেওয়া হয়।
-
গণপরিষদের সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজি ও উর্দু নির্বাচিত হওয়ায় বাঙালিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 weeks ago