বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন?
A
শশাঙ্ক
B
মুর্শিদ কুলি খান
C
সিরাজউদ্দৌলা
D
আব্বাস আলী মীর্জা
উত্তরের বিবরণ
বাংলার ইতিহাসে নবাবী আমল শুরু হয় ১৭০৭ সালে, যখন মুর্শিদকুলি খান বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হিসেবে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এই নবাবী আমলের সমাপ্তি ঘটে ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে, যেখানে শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের হাতে পরাজিত হন।
এর পর থেকেই বাংলায় ইংরেজ উপনিবেশিক শাসনের সূচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ, তবে সুলতানী আমলের সূচনা করেছিলেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ।
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব: মুর্শিদকুলি খান (১৭০৭ সালে শাসন শুরু)
-
শেষ স্বাধীন নবাব: সিরাজউদ্দৌলা (পলাশীর যুদ্ধ, ১৭৫৭ সালে পরাজিত)
-
নবাবী আমলের সমাপ্তির পর: ইংরেজ উপনিবেশিক যুগের সূচনা
-
বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান: শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ
-
সুলতানী আমলের সূচনা করেন: ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ

0
Updated: 1 day ago
বাংলার কোন সুলতানের শাসনামলকে স্বর্ণযুগ বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
B
নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ
C
আলাউদ্দিন হােসেন শাহ
D
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
হুসেন শাহ ছিলেন হুসেন শাহি যুগের শ্রেষ্ঠ শাসক। সৈয়দ হোসেন হাবসিকে পরাজিত করে তিনি সিংহাসনে বসেন এবং "আলাউদ্দিন হুসেন শাহ" উপাধি গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আরব বংশোদ্ভূত সৈয়দ পরিবারের লোক। তাঁর শাসনকাল ছিল ১৪৯৮ থেকে ১৫১৯ সাল পর্যন্ত।
দক্ষ শাসনকর্ম ও ন্যায়পরায়ণতার কারণে তাঁকে বাংলার “আকবর” বলা হতো। তাঁর সময়েই শ্রীচৈতন্য দেব বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন। মৃত্যুর পর তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাধিস্থ করা হয়।
আলাউদ্দিন হুসেন শাহের কৃতিত্ব
অত্যুজ্জ্বল রাজত্বকাল
মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসে তাঁর রাজত্বকাল অন্যতম সেরা অধ্যায়। তাঁর শাসনামলে বাংলার সীমানা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়।
সামরিক সাফল্য
-
কামরূপ ও কামতা জয় করেন।
-
ঊড়িষ্যা ও ত্রিপুরার কিছু অংশ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
আরাকানিদের চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হন।
প্রশাসনিক দক্ষতা
তিনি হাবসি দাসদের প্রভাবমুক্ত করে প্রশাসনকে সুসংগঠিত করেন।
শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা
ক্ষমতায় এসে অরাজকতা দূর করে দেশে শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন।
বিদেশি আক্রমণ প্রতিরোধ
দিল্লীর লোদী সম্রাটদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বাংলার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেন।
হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি
হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনের উদ্যোগ নেন, যা সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা
হুসেন শাহ ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। তাঁর আমলে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় রূপ গোস্বামী, মালাধর বসু, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই ও পরাগল খানের মতো কবিরা কীর্তি গড়ে তোলেন।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
যমুনা সার কারখানায় কোন ধরণের সার উৎপাদন হয়?
Created: 5 days ago
A
টিএসপি
B
ইউরিয়া
C
ডিএপি
D
ফসফেট
যমুনা সার কারখানা:
- যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিঃ কারখানাটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- যমুনা সার কারখানা জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত।
- যমুনা সার কারখানায় ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়।
- এ ফ্যাক্টরীর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫,৬১,০০০ মেট্রিক টন।

0
Updated: 5 days ago
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী বলতে কী বুঝায়?
Created: 1 week ago
A
যারা সরকারের নীতি নির্ধারণ করে।
B
যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাবলী সম্পর্কে একমত পোষণ করে।
C
যারা রাজনৈতিক একক হিসেবে কাজ করে।
D
যারা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Pressure Group) হলো এমন সংগঠন বা গোষ্ঠী, যা সরকার বা নীতিনির্ধারকদের ওপর নির্দিষ্ট দাবি আদায়ের জন্য প্রভাব বিস্তার করে। এরা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা রাখে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
-
রাজনৈতিক দলের মতোই চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী প্রতিটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য উপাদান। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বোঝার জন্য তাদের গঠন, আকৃতি-প্রকৃতি এবং ভূমিকা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী এমন সংস্থা, যা কিছু সংখ্যক সাধারণ স্বার্থে আবদ্ধ বেসরকারি লোকের সমন্বয়ে গঠিত এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে আইনসভার বাইরে থেকে সরকারি নীতিমালা গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে। অনেকেই এদের স্বার্থকামী গোষ্ঠী হিসেবেও অভিহিত করেন।
-
অধ্যাপক মাইনর ওয়েনার অনুযায়ী, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো স্বেচ্ছামূলকভাবে সংগঠিত এমন একটি গোষ্ঠী, যা সরকারি কাঠামোর বাইরে অবস্থান করে এবং সরকারি নীতিমালা গ্রহণ, পরিচালনা ও নির্ধারণে প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট থাকে।
-
আলফ্রেড গ্রজিয়ার মতে, এটি একটি সংগঠিত সামাজিক গোষ্ঠী, যা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের আচরণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী তাদের পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে অর্থ ও যানবাহন দিয়ে, প্রচারকাজে সাহায্য করে, যাতে তারা নির্বাচিত হয়ে আইন প্রণয়ন ও শাসন কার্যক্রম পরিচালনার সময় গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে।
-
প্রয়োজনে তারা মিটিং, মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে।

0
Updated: 1 week ago