বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন?
A
শশাঙ্ক
B
মুর্শিদ কুলি খান
C
সিরাজউদ্দৌলা
D
আব্বাস আলী মীর্জা
উত্তরের বিবরণ
বাংলার ইতিহাসে নবাবী আমল শুরু হয় ১৭০৭ সালে, যখন মুর্শিদকুলি খান বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হিসেবে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এই নবাবী আমলের সমাপ্তি ঘটে ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে, যেখানে শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের হাতে পরাজিত হন।
এর পর থেকেই বাংলায় ইংরেজ উপনিবেশিক শাসনের সূচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ, তবে সুলতানী আমলের সূচনা করেছিলেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ।
বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব: মুর্শিদকুলি খান (১৭০৭ সালে শাসন শুরু)
-
শেষ স্বাধীন নবাব: সিরাজউদ্দৌলা (পলাশীর যুদ্ধ, ১৭৫৭ সালে পরাজিত)
-
নবাবী আমলের সমাপ্তির পর: ইংরেজ উপনিবেশিক যুগের সূচনা
-
বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান: শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ
-
সুলতানী আমলের সূচনা করেন: ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
0
Updated: 20 hours ago
মুক্তিযুদ্ধকালে কোলকাতার ৮, থিয়েটার রােডে “বাংলাদেশ বাহিনী” কখন গঠন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
এপ্রিল ১০, ১৯৭১
B
এপ্রিল ১১, ১৯৭১
C
এপ্রিল ১২, ১৯৭১
D
এপ্রিল ১৩, ১৯৭১
তেলিয়াপাড়া বৈঠক ও মুক্তিফৌজ গঠনের প্রেক্ষাপট
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনাদের নৃশংস হামলার পর বাংলাদেশের বাঙালি সেনা অফিসাররা বিদ্রোহ শুরু করেন। এই বিদ্রোহী অফিসারদের মধ্যে ছিলেন: খালেদ মোশাররফ, শাফায়াত জামিল, জিয়াউর রহমান, এস.এম. রেজা এবং কে.এম. সফিউল্লাহ।
এদের উপস্থিতিতে এম.এ.জি. ওসমানী ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গলের অস্থায়ী সদর দপ্তর তেলিয়াপাড়া তে বৈঠক করেন।
বৈঠকের প্রধান তথ্য:
-
স্থান: তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলো
-
তারিখ: ৪ এপ্রিল ১৯৭১
-
অংশগ্রহণকারী: ভারতীয় বিএসএফ-এর পূর্বাঞ্চলীয় মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ভি.সি. পান্ডে ও অন্যান্য প্রতিনিধি
বৈঠকের সিদ্ধান্ত:
-
বিদ্রোহী অফিসাররা পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
-
সকল বিদ্রোহী ইউনিটের সমন্বয়ে মুক্তিফৌজ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
যুদ্ধকৌশল হিসেবে প্রথমবারের মতো এই পরিকল্পনাকে “তেলিয়াপাড়া রণকৌশল” বলা হয়।
পরবর্তী ঘটনা:
-
বৈঠকের কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি, তবে মৌখিকভাবে নেতৃত্ব, সংগঠন ও যুদ্ধ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
১১ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বেতার ভাষণে এই বৈঠকের সিদ্ধান্তের কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়।
-
সভার শেষে কর্নেল ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হিসেবে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন।
উপসংহার:
অতএব, ১১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বিদ্রোহী বাঙালি সেনাদের সমন্বয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক মুক্তিযুদ্ধ বাহিনী গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
উৎস:মূলধারা ৭১
0
Updated: 1 month ago
দক্ষিণ এশিয়ার কততম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ 'UN Water Convention'- এ যুক্ত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১ম
B
২য়
C
৩য়
D
৪র্থ
UN Water Convention এবং বাংলাদেশ
-
যোগদান: ২০২৫ সালের ২০ জুন বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে UN Water Convention-এ যোগ দিয়েছে।
-
বিশেষত্ব: বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বে ৫৬তম দেশ হিসেবে এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হলো।
-
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
-
১৯৯২ সালে প্রণীত জাতিসংঘ পানি কনভেনশন (Convention on the Protection and Use of Transboundary Watercourses and International Lakes) আন্তর্জাতিকভাবে সীমান্তবর্তী নদী ও হ্রদের ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট পানি সংকট মোকাবেলায় কাঠামো প্রদান করে।
-
২০০০ সালে এটি কার্যকর হয়।
-
-
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ:
-
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে এই কনভেনশনের সঙ্গে যুক্ত।
-
২০২৪ সালে স্লোভেনিয়ায় অনুষ্ঠিত দশম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে।
-
-
মূল উদ্দেশ্য:
-
সীমান্তবর্তী নদী ও হ্রদের যৌথ ব্যবস্থাপনা।
-
পানির ন্যায্য ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট পানি সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।
-
0
Updated: 1 month ago
অর্থ পাচারের কারণ নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করা
B
কর ফাঁকি না দেয়া
C
কোম্পানির মুনাফা লুকানো
D
দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি না থাকা
অর্থ পাচার হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে অপরাধীরা তাদের বেআইনি উপার্জনের উৎস এবং মালিকানা লুকানোর চেষ্টা করে। এটি প্রত্যেক দেশের জন্য একটি জাতীয় ও অর্থনৈতিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থ পাচারের পেছনে প্রধান কারণগুলো হলো:
-
দেশে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি না থাকা।
-
ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতার চাপের মধ্যে টিকে থাকতে না পারা।
-
বাংলাদেশের ভবিষ্যতের প্রতি আস্থা না থাকা।
-
অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করার চেষ্টা।
উক্ত কারণে, এই অপশনগুলোর মধ্যে একমাত্র ‘কর ফাঁকি না দেওয়া’ সঠিক উত্তর হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago