বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে?
A
জাতীয় সংসদ
B
শাসন বিভাগ
C
সুপ্রিম কোর্ট
D
আইন মন্ত্রণালয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে বিবেচিত, যা দেশের সকল আইন ও নীতিমালার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। স্বাধীনতার পর একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য এ সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
-
বাংলাদেশের সংবিধান দেশের মৌলিক ও সর্বোচ্চ আইন।
-
সংবিধানের ব্যাখ্যা দেওয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের, নির্বাহী বিভাগের নয়। তাই সুপ্রিম কোর্টকে সংবিধানের ব্যাখাকারক ও অভিভাবক ধরা হয়।
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি সংবিধানের প্রয়োজন দেখা দেয়।
-
সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়।
-
খসড়া কমিটির প্রথম অধিবেশন বসে ১৯৭২ সালের ১৭ এপ্রিল।

0
Updated: 1 day ago
সংবিধান অনুযায়ী 'আমার সোনার বাংলা'র কত চরণ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত?
Created: 1 month ago
A
প্রথম ৪ চরণ
B
প্রথম ৮ চরণ
C
প্রথম ১০ চরণ
D
সম্পূর্ণটি
সংবিধান:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়।
-
সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধানের ভাগ বা অধ্যায় আছে ১১টি।
-
সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস থেকে সংবিধান কার্যকর করা হয়।
অনুচ্ছেদ ০৪: জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক
-
প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত: "আমার সোনার বাংলা" এর প্রথম দশ চরণ।
-
প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা: সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত।
-
প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক:
-
উভয় পার্শ্বে ধান্যশীর্ষবেষ্টিত,
-
পানিতে ভাসমান জাতীয় পুষ্প শাপলা,
-
শীর্ষদেশে পাটগাছের তিনটি পরস্পর-সংযুক্ত পত্র,
-
উভয় পার্শ্বে দুইটি করে তারকা।
-
-
উপরোক্ত দফাসমূহ-সাপেক্ষে জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক সম্পর্কিত বিধানাবলী আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে ''সকল সময়ে ____ চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।'' শূন্যস্থান পূরণ করুন।
Created: 2 months ago
A
জনগণের সেবা করিবার
B
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
C
সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
D
সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
বাংলাদেশের সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে নাগরিক এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কর্তব্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ দুটি উপ-অনুচ্ছেদের মাধ্যমে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
২১ (১) অনুচ্ছেদ:
প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সংবিধান ও আইন মেনে চলা একটি বাধ্যতামূলক দায়িত্ব। এছাড়াও, শৃঙ্খলা রক্ষা, নাগরিক দায়বদ্ধতা পালন এবং জাতীয় সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করাও নাগরিকদের নৈতিক ও আইনগত কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।
◉ ২১ (২) অনুচ্ছেদ:
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিরা—যেমন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা—সব সময় জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকার চেষ্টা করবেন। জনগণের কল্যাণ সাধনই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
এই ধারাগুলোতে নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা, আইন মেনে চলা এবং সেবার মানসিকতা বজায় রাখার গুরুত্ব অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
উৎস: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশ সংবিধান হাতে লেখার দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত ছিল?
Created: 5 days ago
A
হাশেম খান
B
এ.কে.এম আব্দুর রউফ
C
আবুল বারক আলভী
D
সমরজিৎ রায় চৌধুরী
বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম হাতে লেখা সংবিধান, যা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল এবং যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১০৯। সংবিধানের হস্তলিপির কাজ সম্পন্ন করেন এ কে এম আবদুর রউফ, যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা আছে "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"। এছাড়া, সংবিধানের অঙ্গসজ্জার কার্যক্রমের মূল তত্ত্বাবধান করেন শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন।
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
প্রথম হাতে লেখা সংবিধান: গ্রন্থাকারে প্রকাশিত
-
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১০৯
-
হস্তলিপি প্রস্তুতকারী: এ কে এম আবদুর রউফ
-
প্রচ্ছদে লেখা: "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"
-
অঙ্গসজ্জার তত্ত্বাবধায়ক: জয়নাল আবেদীন

0
Updated: 5 days ago