'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' কার রচনা?
A
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
B
নবীনচন্দ্র সেন
C
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
D
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
চতুর্দশপদী কবিতাবলী: বাংলা সনেটের প্রথম সংকলন
বাংলা সাহিত্যে সনেটচর্চার সূচনা যাঁর হাতে, তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তাঁর অমর কাব্যগ্রন্থ ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট সংকলন হিসেবে স্বীকৃত।
-
এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১০২টি সনেট সংকলিত হয়েছে।
-
এটি ১৮৬৬ সালের ১লা আগস্ট গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগুলোর বেশিরভাগই তিনি বিদেশে অবস্থানকালে রচনা করেন।
-
রচনাশৈলীতে তিনি শেক্সপিয়রীয় সনেটরীতি অনুসরণ করলেও কিছু কিছু কবিতায় পেত্রার্কীয় আদর্শের ছায়া দেখা যায়।
-
এই কবিতাগুলি চতুর্দশ পংক্তি বিশিষ্ট, এবং এতে মিত্রাক্ষর ও অমিত্রাক্ষর ছন্দ উভয়ই ব্যবহৃত হয়েছে।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত: আধুনিকতার পথিকৃৎ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (জন্ম: ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪, সাগরদাঁড়ি, যশোর) বাংলা সাহিত্যের একজন বিপ্লবী কবি ও নাট্যকার।
-
বাংলা সাহিত্যে সনেট এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের কৃতিত্ব তাঁর।
-
প্রথমবারের মতো অমিত্রাক্ষর ছন্দের ব্যবহার করেন তাঁর নাটক ‘পদ্মাবতী’-র দ্বিতীয় অঙ্কের দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে।
-
‘তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য’ বাংলা সাহিত্যে সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
তাঁর প্রথম রচিত কাব্যগ্রন্থ ছিল ‘The Captive Lady’, যা ইংরেজি ভাষায় রচিত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য বাংলা কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
তথ্যসূত্র:
<< বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
<< বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'বটতলার উপন্যাস' গ্রন্থের লেখকের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
দিলারা হাশেম
B
রাজিয়া খান
C
রিজিয়া রহমান
D
সেলিনা হোসেন
রাজিয়া খান
- রাজিয়া খান আমিন মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক ছিলেন।
- অধ্যাপনা করলেও সাহিত্যের অঙ্গনেও তাঁর সমান পদচারণা ছিল।
- সাহিত্যকর্মে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৮ সালে।
- তাঁর সাড়া জাগানো বই ‘বটতলার উপন্যাস’।

উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; 'বটতলার উপন্যাস' এবং বিবিসি নিউজ বাংলা।

0
Updated: 1 month ago
'বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত' কে রচনা করেন?
Created: 2 months ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
সুকুমার সেন
C
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
D
মুহম্মদ এনামুল হক
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান বাঙালি ব্যক্তিত্ব, যিনি ভারতের উপমহাদেশে দার্শনিক, শিক্ষক এবং বহুভাষাবিদ হিসেবে সুপরিচিত।
‘জ্ঞানতাপস’ নামে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়াও, তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ নামেও অভিহিত করা হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জাতিসত্তা সম্পর্কে তাঁর বিখ্যাত উক্তি ছিল, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার থেকেও অধিক সত্য আমরা বাঙালি।”
এই উক্তি বাঙালির ঐক্য ও পরিচয়ের গুরুত্বকে রূপায়িত করে। ১৯৫৯ সালে তিনি ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ নামক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন, যা বাংলা ভাষার ইতিহাস ও বিকাশকে তুলে ধরে।
ড. শহীদুল্লাহর ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—‘ভাষা ও সাহিত্য’, ‘বাঙ্গালা ব্যাকরণ’, ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ ইত্যাদি। পাশাপাশি তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেন।

0
Updated: 18 hours ago
কোনটি মুহম্মদ এনামুল হকের রচনা?
Created: 1 month ago
A
ভাষার ইতিবৃত্ত
B
আধুনিক ভাষাতত্ত্ব
C
মনীষা মঞ্জুষা
D
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
‘মনীষা মঞ্জুষা’ হচ্ছে ড. মুহম্মদ এনামুল হকের লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যবিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ।
অন্যদিকে,
-
‘ভাষার ইতিবৃত্ত’ রচনায় অবদান রেখেছেন ভাষাতাত্ত্বিক সুকুমার সেন।
-
‘আধুনিক ভাষাতত্ত্ব’ গ্রন্থটি ড. আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ রচিত, যেখানে ভাষা ও সাহিত্যের নানা দিক বিশ্লেষিত হয়েছে।
-
‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ একটি ব্যতিক্রমধর্মী গ্রন্থ, যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপভাষাগুলো সংগ্রহ ও সংকলন করা হয়েছে। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সম্পাদনায়।
মুহম্মদ এনামুল হক ছিলেন একাধারে বিশিষ্ট গবেষক, প্রজ্ঞাবান সাহিত্যিক এবং নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষাবিদ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণাক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রগামী ও অন্যতম শ্রদ্ধেয় পণ্ডিত।
তিনি ১৯০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার বখৎপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যে তাঁর গবেষণা ও সাধনার মূল উপজীব্য ছিল সত্য অনুসন্ধান ও ঐতিহাসিক চেতনার বিকাশ। বিশেষ করে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের হারিয়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপির সন্ধানে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
তাঁর রচনার মূল প্রেরণা ছিল সাহিত্য ও ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অতীত-বর্তমানের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে দেওয়া।
ড. এনামুল হকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি হলো:
-
আরাকান রাজসভায় বাঙ্গালা সাহিত্য (গবেষণামূলক; আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের সঙ্গে যৌথ),
-
বঙ্গে সূফীপ্রভাব (গবেষণামূলক),
-
বাঙলা ভাষার সংস্কার (ভাষাতত্ত্বভিত্তিক),
-
মুসলিম বাঙলা সাহিত্য (গভীর গবেষণাধর্মী) ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও ‘মনীষা মঞ্জুষা’ গ্রন্থ।

0
Updated: 1 month ago