‘গভর্নেন্স’ প্রপঞ্চটির সাথে ‘সু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে সুশাসন শব্দটি। এর মাধ্যমে গভর্নেন্স ধারণার নরমেটিভ উপাদানের প্রকাশ ঘটে, যার অর্থ দাঁড়ায় নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন। উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে এই ধারণাটিকে প্রথম গুরুত্ব প্রদান করে বিশ্বব্যাংক এবং পরবর্তীতে এটি বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়।

• সুশাসন ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত।

• উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বব্যাংক সর্বপ্রথম উন্নয়নের সাথে সুশাসনের সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।

• ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো ‘সুশাসন’ প্রত্যয় ব্যবহার করা হয়।

• ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করে যে, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।

এই চারটি স্তম্ভ হলো—
১. দায়িত্বশীলতা
২. স্বচ্ছতা
৩. আইনি কাঠামো
৪. অংশগ্রহণ

বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন সংক্রান্ত মূল তথ্য নিম্নরূপ:

• 'সুশাসন' ধারণাটি বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত।

• ১৯৮৯ সালে বিশ্ব ব্যাংকের এক সমীক্ষায় প্রথমবার ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

• সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে, উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়ন সুশাসনের অভাবের কারণে ঘটে।

• বিশ্বব্যাংক ও UNDP মনে করে, সুশাসনের মাধ্যমে নাগরিকরা তাদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারে এবং অধিকার ভোগ করতে পারে।

• একটি রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।

• ১৯৯৪ সালে বিশ্ব ব্যাংক সংজ্ঞা দিয়েছে: ‘‘সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের **সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই গভর্নেন্স।’’

সুশাসনের চারটি প্রধান স্তম্ভ (২০০০, বিশ্বব্যাংক অনুযায়ী)
১. দায়িত্বশীলতা (Accountability)
২. স্বচ্ছতা (Transparency)
৩. আইনি কাঠামো (Rule of Law)
৪. অংশগ্রহণ (Participation)

সুশাসন

• বর্তমান বিশ্বে একটি জনপ্রিয় ধারণা হলো সুশাসন, যা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত।

• ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন সর্বপ্রথম সুশাসন (Good Governance) ধারণা ব্যবহার করা হয়।

• বিশ্বব্যাংক Governance and Development রিপোর্টে সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে, যেখানে শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

• ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি প্রধান স্তম্ভ ঘোষণা করে।

• এই চারটি স্তম্ভ হলো:
  ১. দায়িত্বশীলতা
  ২. স্বচ্ছতা
  ৩. আইনী কাঠামো
  ৪. অংশগ্রহণ