খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিল -
A
৩৩ জন
B
৩৪ জন
C
৩৫ জন
D
৩৬ জন
উত্তরের বিবরণ
সংবিধান প্রণয়ন সংক্রান্ত তথ্য:
-
খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য সংখ্যা: ৩৪ জন
-
কমিটির সভাপতি: ড. কামাল হোসেন
-
প্রথম অধিবেশন: ১৯৭২ সালের ১৭ এপ্রিল
-
গৃহীত সংবিধান: ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ (গণপরিষদ কর্তৃক)
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর উদ্দেশ্য কী ছিল?
Created: 3 months ago
A
জরুরি অবস্থা ঘোষণা
B
মহিলাদের জন্য সংসদের আসন সংরক্ষণ
C
সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা
D
৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দির বিচার অনুষ্ঠান
বাংলাদেশের সংবিধান, যা ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং একই বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা ও শাসনের মূল ভিত্তি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি মোট ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে, তবে এর মধ্যে চারটি সংশোধনীকে সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে।
প্রথম সংশোধনী: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যবস্থা
১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই দেশের সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয়। এই সংশোধনীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সংঘটিত গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রমকে আইনগত স্বীকৃতি প্রদান। সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ৪৭ নং অনুচ্ছেদতে পরিবর্তন এনে ‘৪৭-(ক)’ নামে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়। এই ধারার আওতায় যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যার অভিযোগে বন্দিদের বিচার করা সম্ভবপর হয়, যা দেশের ন্যায়বিচারের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
দ্বিতীয় সংশোধনী: জরুরি অবস্থা ঘোষণা
এর পরের গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হয় ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। এই সংশোধনীতে সংবিধানে জরুরি অবস্থার বিধান সংযোজন করা হয়। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বা বহিরাক্রমণের ফলে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত হলে সরকার ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করতে পারবে। এ ধারা দেশের নিরাপত্তা ও শাসনের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সর্বশেষ সংশোধনী ও নারী আসনের সংরক্ষণ
বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বশেষ, অর্থাৎ সপ্তদশ সংশোধনী পাশ হয় ২০১৮ সালের ৮ জুলাই। এতে জাতীয় সংসদের ৫০টি আসন বিশেষভাবে নারীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়, যেটি আরও ২৫ বছর প্রযোজ্য থাকবে। এই পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি কী রূপ?
Created: 2 months ago
A
অলিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
B
লিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
C
অলিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়
D
লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি: লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়। এটি একটি বিস্তারিত লিখিত দলিল, যার মূল কাঠামো পরিবর্তন করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ।
বাংলাদেশের সংবিধান:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি ৪টি।
-
সংবিধানে সহজে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।
-
সংবিধানটি ১১টি ভাগ বা অধ্যায়ে বিভক্ত।
-
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ৪টি।
উল্লেখ্য: বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি হলো লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান ও পত্রিকা রিপোর্ট।
0
Updated: 2 months ago
ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে?
Created: 1 month ago
A
২১ নং অনুচ্ছেদে
B
১২ নং অনুচ্ছেদে
C
১৭ নং অনুচ্ছেদে
D
১৫ নং অনুচ্ছেদে
সংবিধান:
-
ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা: সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখিত।
-
ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য:
১. সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা বিলোপ।
২. রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা প্রদান নিষিদ্ধ।
৩. রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার বন্ধ।
৪. কোনো বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়ন বন্ধ।
0
Updated: 1 month ago