সংবিধানের কততম সংশোধনীতে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' সন্নিবেশিত হয়?
A
ষষ্ঠ
B
সপ্তম
C
চতুর্থ
D
পঞ্চম
উত্তরের বিবরণ
পঞ্চম সংশোধনী (বাংলাদেশ সংবিধান):
-
মূল সন্নিবেশ: 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' সংযোজন
-
অনুমোদন: ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ
-
প্রভাব: সংবিধানের চতুর্থ তফসিল সংশোধন
-
সংশ্লিষ্ট আইন ও অধ্যাদেশ: ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রযোজ্য সমস্ত সামরিক বিধি ও অধ্যাদেশ পঞ্চম সংশোধনীর আওতায় আনা হয়
-
জাতীয়তা সংক্রান্ত পরিবর্তন: বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্থলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রবর্তিত

0
Updated: 7 hours ago
সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর বিষয়বস্তু কী ছিল?
Created: 7 hours ago
A
জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান
B
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিধান সন্নিবেশন
C
রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা প্রবর্তন
D
কোনটি নয়
সংবিধানের প্রথম সংশোধনী:
-
বিল উত্থাপন: ১২ জুলাই, ১৯৭৩
-
গৃহীত: ১৫ জুলাই, ১৯৭৩
-
উত্থাপনকারী: তৎকালীন আইনমন্ত্রী শ্রী মনোরঞ্জন ধর
-
বিষয়বস্তু: যুদ্ধাপরাধীসহ গণবিরোধীদের বিচারের বিধান সংযোজন
-
সংবিধানে যুক্ত: নতুন অনুচ্ছেদ ৪৭-ক এবং ৪৭ নম্বর অনুচ্ছেদে নতুন দফা

0
Updated: 7 hours ago
সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয় -
Created: 7 hours ago
A
১১ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে
B
১২ অক্টোবর, ১৯৭২
C
২২ মার্চ, ১৯৭২ সালে
D
১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২
বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়ন সংক্রান্ত তথ্য:
-
সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন: ১১ এপ্রিল, ১৯৭২
-
কমিটির প্রধান: ড. কামাল হোসেন
-
সদস্য সংখ্যা: ৩৪ জন
-
একমাত্র মহিলা সদস্য: বেগম রাজিয়া বানু
-
একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য: সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত
-
খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উত্থাপন: ১২ অক্টোবর, ১৯৭২
-
গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত: ৪ নভেম্বর, ১৯৭২

0
Updated: 7 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর উদ্দেশ্য কী ছিল?
Created: 2 months ago
A
জরুরি অবস্থা ঘোষণা
B
মহিলাদের জন্য সংসদের আসন সংরক্ষণ
C
সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা
D
৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দির বিচার অনুষ্ঠান
বাংলাদেশের সংবিধান, যা ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং একই বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা ও শাসনের মূল ভিত্তি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি মোট ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে, তবে এর মধ্যে চারটি সংশোধনীকে সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে।
প্রথম সংশোধনী: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যবস্থা
১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই দেশের সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয়। এই সংশোধনীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সংঘটিত গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রমকে আইনগত স্বীকৃতি প্রদান। সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ৪৭ নং অনুচ্ছেদতে পরিবর্তন এনে ‘৪৭-(ক)’ নামে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়। এই ধারার আওতায় যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যার অভিযোগে বন্দিদের বিচার করা সম্ভবপর হয়, যা দেশের ন্যায়বিচারের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
দ্বিতীয় সংশোধনী: জরুরি অবস্থা ঘোষণা
এর পরের গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হয় ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। এই সংশোধনীতে সংবিধানে জরুরি অবস্থার বিধান সংযোজন করা হয়। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বা বহিরাক্রমণের ফলে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত হলে সরকার ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করতে পারবে। এ ধারা দেশের নিরাপত্তা ও শাসনের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সর্বশেষ সংশোধনী ও নারী আসনের সংরক্ষণ
বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বশেষ, অর্থাৎ সপ্তদশ সংশোধনী পাশ হয় ২০১৮ সালের ৮ জুলাই। এতে জাতীয় সংসদের ৫০টি আসন বিশেষভাবে নারীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়, যেটি আরও ২৫ বছর প্রযোজ্য থাকবে। এই পদক্ষেপ দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago