কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, বোরো ধান উৎপাদনে শীর্ষ জেলা কোনটি?
A
ময়মনসিংহ
B
বরিশাল
C
কুমিল্লা
D
দিনাজপুর
উত্তরের বিবরণ
ধান উৎপাদন (বাংলাদেশ):
-
প্রায় ৮০-৮৫% জমিতে ধান চাষ করা হয়।
-
সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন জেলা: ময়মনসিংহ
-
সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন বিভাগ: রংপুর
-
আউশ ধান উৎপাদনে শীর্ষ জেলা: কুমিল্লা
-
আমন ধান উৎপাদনে শীর্ষ জেলা: দিনাজপুর
-
বোরো ধান উৎপাদনে শীর্ষ জেলা: ময়মনসিংহ

0
Updated: 7 hours ago
নিচের কোনটি বাংলাদেশের শিল্প সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নয়?
Created: 1 month ago
A
মাছ চাষ
B
বস্ত্র
C
পাট
D
সিমেন্ট
শিল্প ও বাংলাদেশের অর্থনীতি
মাছ চাষ শিল্প নয়, এটি কৃষিভিত্তিক কাজ।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। যদিও বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ, তারপরও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পের ভূমিকা অনেক বেশি।
বাংলাদেশে যেসব বড় বড় শিল্প আছে, সেগুলো হলো:
-
পাট শিল্প
-
বস্ত্র বা কাপড় বয়ন শিল্প
-
তৈরি পোশাক শিল্প
-
সার শিল্প
-
সিমেন্ট শিল্প
-
কাগজ শিল্প
-
চিনি শিল্প
-
চা শিল্প
পাট শিল্প
পাট শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্প। এই শিল্প বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। এছাড়া চাকরির সুযোগ তৈরি করে, জাতীয় আয় বাড়ায় এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করে।
বর্তমানে দেশের পাটকলগুলো থেকে যেসব পণ্য তৈরি হয়:
-
চট
-
বস্তা
-
দড়ি
-
থলে
-
ত্রিপল
-
কাপড়
-
তাঁবু
-
ক্যানভাস
এইসব পণ্য বিদেশে যেমন ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মিসর, কানাডা ইত্যাদি দেশে রপ্তানি হয়।
ইপিবি-এর তথ্য অনুযায়ী:
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৮২ কোটি ডলারের পাটজাত পণ্য রপ্তানি করেছে।
বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প
বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে বস্ত্র বা কাপড় অন্যতম।
তবে বাংলাদেশ এখনো এই খাতে পুরোপুরি স্বনির্ভর নয়। অনেক তুলা, সুতা ও কাপড় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় – যেমন জাপান, ভারত, কোরিয়া, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশ থেকে।
বাংলাদেশের বস্ত্রকল ও পোশাক কারখানা যেসব জেলায় বেশি:
-
ঢাকা
-
চট্টগ্রাম
-
কুমিল্লা
-
নোয়াখালী
-
রাজশাহী
-
খুলনা
ইপিবি-এর তথ্য অনুযায়ী:
২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে ৮.৮৪% প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সিমেন্ট শিল্প
বাংলাদেশে সিমেন্ট শিল্পে তেমন উন্নতি হয়নি। কারণ, এই শিল্পে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন চুনাপাথর, কাদামাটি, জিপসাম – এগুলো দেশে খুব কম পাওয়া যায়।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বাংলাদেশে মাত্র একটি সিমেন্ট কারখানা ছিল। স্বাধীনতার পর সরকার এ শিল্প উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কাঁচামালের ঘাটতির কারণে এই খাতে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
তথ্যসূত্র: বাণিজ্যিক ভূগোল (এইচএসসি), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে চা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশের নিবন্ধিত চা বাগানের সংখ্যা কয়টি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 14 hours ago
A
১৬৫টি
B
১৬৮টি
C
১৭০টি
D
১৭২টি
বাংলাদেশে চায়ের চাষাবাদ শুরু হয় ১৮৪০ সালে এবং ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত দেশে চা আবাদ সীমিত ছিল শুধুমাত্র দুইটি জেলায়। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে আরও চা বাগান তৈরি হয়। বাংলাদেশ চা বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ১৭০টি নিবন্ধিত চা বাগান রয়েছে।
-
বাংলাদেশে চা চাষের শুরু: ১৮৪০
-
প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান: ১৮৫৪, সিলেটের মালনিছড়া
-
স্বাধীনতার পূর্ব চা চাষের জেলা: সিলেট ('সুরমা ভ্যালি') ও চট্টগ্রাম ('হালদা ভ্যালি', বর্তমানে চট্টগ্রাম ভ্যালি)
-
পরবর্তীতে চা বাগান বৃদ্ধি: হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার
-
বর্তমানে নিবন্ধিত চা বাগান: ১৭০টি
-
সর্বাধিক চা বাগান: মৌলভীবাজার (৯০টি)

0
Updated: 14 hours ago
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, পাট উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ জেলা কোনটি?
Created: 15 hours ago
A
রংপুর
B
কুষ্টিয়া
C
ফরিদপুর
D
ময়মনসিংহ
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, উৎপাদনে শীর্ষ জেলা:
-
ধান: ময়মনসিংহ
-
গম: ঠাকুরগাঁও
-
চা: মৌলভীবাজার
-
তামাক: কুষ্টিয়া
-
পাট: ফরিদপুর
-
আলু: রংপুর
-
ভুট্টা: দিনাজপুর
-
তুলা: ঝিনাইদহ
অর্থাৎ, প্রতিটি কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে উল্লেখিত জেলা গুলোই উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে।

0
Updated: 15 hours ago