কোন সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় সরকার পদ্ধতির পুনঃপ্রবর্তন করা হয়?
A
চতুর্দশ সংশোধনী
B
পঞ্চদশ সংশোধনী
C
একাদশ সংশোধনী
D
দ্বাদশ সংশোধনী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধনীসমূহ
দ্বাদশ সংশোধনী
-
সংবিধানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী।
-
এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ বছরের সামরিক ও ছদ্ম-সামরিক শাসনের অবসান ঘটে।
-
বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তিত হয়।
-
গণভোটে জনগণ এ সংশোধনীকে বৈধতা ও সমর্থন প্রদান করে।
-
জাতীয় সংসদে গৃহীত: ৬ আগস্ট ১৯৯০।
একাদশ সংশোধনী
-
রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের স্বপদে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
-
প্রেসিডেন্ট এরশাদ কর্তৃক উপরাষ্ট্রপতি নিয়োগ বৈধতা পায়।
-
জাতীয় সংসদে গৃহীত: ২ জুলাই ১৯৯০।
ত্রয়োদশ সংশোধনী
-
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।
-
সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদে খ, গ, ঘ ধারা সংযোজন করা হয়।
-
একজন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সর্বোচ্চ ১০ জন উপদেষ্টা নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করার বিধান রাখা হয়।
-
জাতীয় সংসদে গৃহীত: ২৭ মার্চ ১৯৯৬।

0
Updated: 7 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মূল বিষয় কী ছিল?
Created: 1 week ago
A
বহুদলীয় ব্যবস্থা
B
বাকশাল প্রতিষ্ঠা
C
তত্ত্বাবধায়ক সরকার
D
সংসদে মহিলা আসন
ত্রয়োদশ সংশোধনী (Constitution [Thirteenth Amendment] Act, 1996)
-
বিল পাশ: ২৭ মার্চ, ১৯৯৬
-
মূল বিষয়বস্তু: দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা চালু করা।
সারসংক্ষেপ:
ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে একটি নতুন ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়। এই ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে আসে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে স্বচ্ছ এবং ন্যায্য করা।
বাতিলকরণ:
২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।
উল্লেখযোগ্য পেছনের সংশোধনী:
-
১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট দ্বাদশ সংশোধনী: সংসদীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন।
-
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনী: দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন।
-
সপ্তদশ সংশোধনী: সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেয়াদ বৃদ্ধি।
উৎস:পৌরনীতি ও সুশাসন (দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)

0
Updated: 1 week ago
সংবিধানের কোন অধ্যায়ে 'সংবিধানের সংশোধন' নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
৭ম অধ্যায়
B
৮ম অধ্যায়
C
৯ম অধ্যায়
D
১০ম অধ্যায়
সংবিধানের দশম অধ্যায় : সংবিধানের সংশোধন
-
বিষয়বস্তু:
সংবিধানের দশম অধ্যায়ে সংবিধানের সংশোধন (Amendment of the Constitution) সম্পর্কিত বিধান বর্ণিত হয়েছে। -
প্রধান বিষয়সমূহ:
-
সংসদের আইনের মাধ্যমে সংবিধানের যেকোনো বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা সংশোধন করা যেতে পারে।
-
সংশোধনী বিলের সম্পূর্ণ শিরোনামে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে যে, সংবিধানের কোন বিধান সংশোধন করা হচ্ছে; অন্যথায় বিলটি সংসদে বিবেচনার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
-
সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সংশোধনী বিল পাস হতে হবে।
-
সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর সংশোধনী বিল রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপন করতে হবে।
-
রাষ্ট্রপতি বিলটি প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে সম্মতিদান করবেন; তিনি তা করতে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত সময় শেষে বিলটিকে রাষ্ট্রপতির সম্মতিপ্রাপ্ত বলে গণ্য করা হবে।
-
তথ্যসূত্র:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা চালু হয় সংবিধানের কত নম্বর সংশোধনীর মাধ্যমে?
Created: 3 months ago
A
ক) ১০
B
খ) ১১
C
গ) ১২
D
ঘ) ১৩
দ্বাদশ সংশোধনী
দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবর্তে পুনরায় সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়।
এই সংশোধনীটি ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।
• দ্বাদশ সংশোধনীর মূল দিকসমূহ:
১. রাষ্ট্রপতি হন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান।
২. প্রধানমন্ত্রী হন সরকারের প্রধান নির্বাহী।
৩. মন্ত্রিপরিষদ প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে জাতীয় সংসদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান, আরিফ খান।

0
Updated: 3 months ago