যে কম্পিউটার প্রোগ্রাম নিজে নিজেই অন্য কম্পিউটারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কপি হয় তাকে ____বলে।
A
Program Virus
B
Worms
C
Trojan Horse
D
Boot Virus
উত্তরের বিবরণ
কম্পিউটার ওয়ার্ম হলো একটি স্ব-প্রতিলিপি সক্ষম প্রোগ্রাম, যা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিজেই নিজের কপি তৈরি করে অন্য কম্পিউটার সিস্টেমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিজের কপি তৈরির জন্য কোনো হোস্ট প্রোগ্রাম বা ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয় না।
-
কম্পিউটার ওয়ার্ম নিজেই নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য কম্পিউটারকে সংক্রমিত করতে সক্ষম।
-
এটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুলিপি তৈরি করতে পারে এবং কোনো সাহায্য ছাড়াই কার্যকর হয়।
-
তথ্যসূত্র: National Institute of Standards and Technology (NIST), USA।
-
অন্যদিকে, Program Virus এবং Boot Virus হলো কম্পিউটার ভাইরাসের উদাহরণ, যেখানে ভাইরাস সাধারণত কোনো হোস্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে কাজ করে।
-
Trojan Horse হলো একটি ম্যালওয়্যার, যা সাধারণত ক্ষতিকর কাজ করতে ব্যবহারকারীর জানানো ছাড়াই কম্পিউটারে প্রবেশ করে।
0
Updated: 1 month ago
কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক চার্লস ব্যাবেজ কোন যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছিলেন?
Created: 1 month ago
A
Difference Engine
B
Tabulating Machine
C
Pascaline
D
উপরের সবগুলো
চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage)
-
চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটিং ইতিহাসের অগ্রদূত ও “কম্পিউটারের জনক” বলা হয়।
-
তিনি ছিলেন গণিতবিদ, দার্শনিক, আবিষ্কারক এবং যন্ত্র প্রকৌশলী।
তার দুটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র:
-
ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine):
-
একটি যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর।
-
মূলত গাণিতিক সারণী তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হতো।
-
-
অ্যানালিটিক ইঞ্জিন (Analytical Engine):
-
একটি প্রোগ্রামযোগ্য যন্ত্র, যা আধুনিক কম্পিউটারের ধারণার ভিত্তি তৈরি করে।
-
লজিক্যাল অপারেশন এবং ডেটা প্রসেসিং করতে সক্ষম।
-
অতিরিক্ত তথ্য:
-
প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে তাঁর সময় এই যন্ত্রগুলো সঠিকভাবে কার্যকর হতে পারেনি।
-
১৯৯১ সালে তাঁর ডিজাইন অনুসারে সফলভাবে একটি কার্যক্ষম যন্ত্র তৈরি করা হয়।
-
উভয় যন্ত্রই গণনা করার ক্ষমতা রাখত এবং আধুনিক কম্পিউটারের প্রাথমিক নীতি প্রবর্তন করেছিল।
0
Updated: 1 month ago
ইমেইল ক্লায়েন্টে মেইল সার্ভার থেকে ইমেইল গ্রহণ করতে কোন প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
SMTP
B
HTTP
C
POP3
D
SFTP
POP3, SMTP, HTTP এবং SFTP বিভিন্ন প্রোটোকল যা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ইমেইল ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়। POP3 বিশেষভাবে ইমেইল গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ই-মেইল (E-mail):
-
১৯৭১ সালে আরপানেটের মাধ্যমে প্রথম ইমেইল সিস্টেম চালু করেন রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিসন।
-
ই-মেইল হলো একজন প্রেরকের কাছ থেকে এক বা একাধিক প্রাপকের কাছে বার্তা বা ডিজিটাল মেসেজ পাঠানোর নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
-
ই-মেইল ঠিকানায় @ চিহ্ন থাকা আবশ্যক।
-
একটি ই-মেইল ঠিকানা ইউজার আইডি এবং ডোমেইন নেম নিয়ে গঠিত। যেমন: abc@gmail.com, এখানে @-এর পূর্বে ইউজার আইডি এবং @-এর পরে ডোমেইন নেম।
-
ই-মেইল সার্ভারে POP, IMAP এবং SMTP প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়।
POP (Post Office Protocol):
-
ব্যবহারকারীর কাছে আসা মেইলগুলোকে ইনকামিং মেইল বলা হয়।
-
POP ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর মেইল ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়।
-
সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রোটোকল হলো POP3, যা সার্ভার থেকে ইমেইল ডিভাইসে ডাউনলোড করে এবং সাধারণত ডাউনলোডের পরে সার্ভার থেকে মুছে ফেলে।
-
সুবিধা: একবার ডাউনলোড করা ইমেইল অফলাইনেও পড়া যায়।
SMTP (Simple Mail Transfer Protocol):
-
ইমেইল প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোটোকল।
-
এটি মেইল সার্ভার থেকে অন্য সার্ভারে বা ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে ইমেইল পাঠায়।
HTTP (HyperText Transfer Protocol):
-
ওয়েব ব্রাউজারে ওয়েব পেজ প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ওয়েব সার্ভার থেকে ডেটা (যেমন HTML, ছবি, ভিডিও) পুনরুদ্ধার করতে HTTP ব্যবহৃত হয়।
SFTP (SSH File Transfer Protocol):
-
নিরাপদ ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল।
-
SSH (Secure Shell) প্রোটোকলের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
-
ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়, ইমেইলের জন্য নয়।
0
Updated: 1 month ago
VoLTE সার্ভিসের প্রধান সুবিধা কী?
Created: 1 month ago
A
নেটওয়ার্ক কভারেজ এলাকা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়
B
প্যাকেট স্যুইচিং বা সার্কিট স্যুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে
C
ভয়েস কলের সময় ডাটা সংযোগ অবিচ্ছিন্ন থাকে
D
কোনোটিই নয়
VoLTE (Voice over LTE) ও 4G LTE প্রযুক্তি
VoLTE (Voice over LTE):
-
এটি 4G LTE নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভয়েস কলের সুবিধা প্রদান করে।
-
কলের মান উচ্চমানের (HD Voice) হয়।
-
সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কল চলাকালীন ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করা সম্ভব, অর্থাৎ ব্রাউজিং, ডাউনলোড বা অ্যাপ ব্যবহার অব্যাহত থাকে।
চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল (4G):
-
২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ব্যবহার শুরু।
-
প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ইন্টারনেট প্রটোকল (IP) ভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার, যা প্যাকেট স্যুইচিং বা সার্কিট স্যুইচিংয়ের পরিবর্তে ডেটা ট্রান্সমিশন করে।
-
এর মাধ্যমে LAN, WAN, VOIP, Internet ইত্যাদিতে প্রটোকল ভিত্তিক ভয়েস ও ডাটা ট্রান্সফার সম্ভব।
-
4G প্রযুক্তি LTE (Long Term Evolution) স্ট্যান্ডার্ডে কাজ করে।
-
উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মধ্যে WiMAX, Flash-OFDM, 3GPP LTE ব্যবহৃত হয়।
LTE-এর বৈশিষ্ট্য:
-
4G নেটওয়ার্কের মানক।
-
উচ্চ-গতির ডেটা ট্রান্সমিশন (ডাউনলোড: 100 Mbps+, আপলোড: 50 Mbps+)।
-
OFDM (Orthogonal Frequency-Division Multiplexing) প্রযুক্তি ব্যবহার।
-
VoLTE এর মাধ্যমে উন্নতমানের ভয়েস কল সেবা প্রদান।
0
Updated: 1 month ago