তরলের স্ফুটনাঙ্ক কম হলে বাষ্পায়ন কেমন হয়?
A
কম হয়
B
অপরিবর্তিত থাকে
C
ধীরে ধীরে কম হয়
D
বেশি হয়
উত্তরের বিবরণ
বাষ্পায়নের নির্ভরশীলতা
-
বর্ষাকালে ভেজা কাপড় ধীরগতিতে শুকায়, কিন্তু শীতকালে ছায়ায়ও দ্রুত শুকায়। এ ঘটনার কারণ হলো পানির বাষ্পায়ন।
-
পানির বাষ্পায়নের হার নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর:
১. বাতাসের প্রবাহ:
-
বাতাসের গতি বেশি হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়।
২. তরলের উপরিভাগের ক্ষেত্রফল:
-
ক্ষেত্রফল যত বড়, বাষ্পায়ন তত বেশি। উদাহরণ: এক গ্লাস পানির তুলনায় একটি বড় থালায় রাখা পানি দ্রুত শুকায়।
৩. তরলের প্রকৃতি:
-
স্ফুটনাঙ্ক কম হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়। উদাহরণ: ইথার বা এলকোহল দ্রুত বাষ্পায়িত হয়।
৪. বাতাসের চাপ:
-
বাতাসের চাপ কম হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়। শূন্যস্থানে বাষ্পায়ন সবচেয়ে দ্রুত ঘটে।
৫. উষ্ণতা:
-
তরল এবং তার চারপাশের বাতাসের উষ্ণতা বেশি হলে বাষ্পায়ন বৃদ্ধি পায়।
৬. বায়ুর শুষ্কতা:
-
বাতাস যত শুষ্ক, তরল তত দ্রুত বাষ্পায়ন করে।
উৎস:

0
Updated: 2 hours ago
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের কোন বর্ণের বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি হয়?
Created: 2 hours ago
A
কমলা
B
লাল
C
বেগুনি
D
সবুজ
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ
-
তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির অতিবেগুনি রশ্মির পরের ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দেখা যায়; এটিকে দৃশ্যমান বিকিরণ বা দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ বলা হয়।
-
দৃশ্যমান আলোর সাতটি প্রধান ভাগ: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোট, তাই এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বড়, তাই এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে কম।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বড়, আলো তত কম বিচ্যুত হয় এবং কম প্রতিসরণ ঘটে।

0
Updated: 2 hours ago
নিচের কোন রাশিটি মৌলিক রাশির উপর নির্ভরশীল?
Created: 3 hours ago
A
সময়
B
বেগ
C
ভর
D
তড়িৎপ্রবাহ
রাশি
-
প্রকৃতিতে যে সব পরিমাপযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তা রাশি নামে পরিচিত।
-
উদাহরণ: একটি লোহার বলের ভর পরিমাপ করা যায়। এখানে ভর একটি রাশি।
মৌলিক রাশি
-
যেগুলো পরিমাপের জন্য অন্য কোন রাশির উপর নির্ভর করতে হয় না, সেগুলোকে মৌলিক রাশি বলা হয়।
-
উদাহরণ: সময় একটি মৌলিক রাশি, কারণ এটি অন্য কোন রাশির উপর নির্ভর করে না।
-
বিজ্ঞানীরা মোট সাতটি মৌলিক রাশি চিহ্নিত করেছেন:
• দৈর্ঘ্য
• ভর
• সময়
• তাপমাত্রা
• তড়িৎপ্রবাহ
• দীপন তীব্রতা
• পদার্থের পরিমাণ
যৌগিক (লব্ধ) রাশি
-
কিছু রাশি অন্য মৌলিক রাশির উপর নির্ভরশীল।
-
উদাহরণ: বেগ পরিমাপ করতে দূরত্ব ও সময় জানা প্রয়োজন। বেগ = দূরত্ব ÷ সময়। তাই বেগ একটি লব্ধ বা যৌগিক রাশি।
-
যৌগিক রাশির উদাহরণ:
• কাজ
• বল
• তাপ
• বেগ
• ত্বরণ
• বিভব
উৎস:

0
Updated: 3 hours ago
নিচের কোনটি রক্তরসের জৈব পদার্থ?
Created: 1 week ago
A
ক্যালসিয়াম
B
লেসিথিন
C
আয়োডিন
D
সোডিয়াম
রক্তরস বা প্লাজমা
-
রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে।
-
রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি, আর বাকি ১০% জৈব ও অজৈব পদার্থ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
অজৈব পদার্থ
-
বিভিন্ন খনিজ পদার্থের আয়ন যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, আয়োডিন।
-
গ্যাসীয় পদার্থ যেমন: O₂, CO₂, N₂।
জৈব পদার্থ
১. খাদ্যসার → গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন।
২. রেচন পদার্থ → ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন।
৩. প্রোটিন → ফাইব্রিনোজেন, গ্লোবিউলিন, অ্যালবুমিন, প্রোথ্রম্বিন।
৪. প্রতিরক্ষামূলক পদার্থ → অ্যান্টিটক্সিন, অ্যাগ্লুটিনিন।
৫. হরমোন → অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন।
৬. অন্যান্য যৌগ → কোলেস্টেরল, লেসিথিন, বিলিরুবিন ইত্যাদি।
রক্তরসের কাজ
-
খাদ্যসারকে রক্তকোষসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহণ করা।
-
টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে বৃক্কে পৌঁছে দেওয়া।
-
শ্বসনকালে কোষ থেকে উৎপন্ন CO₂ কে বাইকার্বনেট আকারে ফুসফুসে বহন করা।
-
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবহণ করা।
-
হরমোন, এনজাইম, লিপিড ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া।
-
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখা।
উৎস: বিজ্ঞান (নবম–দশম শ্রেণি)

0
Updated: 1 week ago