তরলের স্ফুটনাঙ্ক কম হলে বাষ্পায়ন কেমন হয়?
A
কম হয়
B
অপরিবর্তিত থাকে
C
ধীরে ধীরে কম হয়
D
বেশি হয়
উত্তরের বিবরণ
বাষ্পায়নের নির্ভরশীলতা
-
বর্ষাকালে ভেজা কাপড় ধীরগতিতে শুকায়, কিন্তু শীতকালে ছায়ায়ও দ্রুত শুকায়। এ ঘটনার কারণ হলো পানির বাষ্পায়ন।
-
পানির বাষ্পায়নের হার নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর:
১. বাতাসের প্রবাহ:
-
বাতাসের গতি বেশি হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়।
২. তরলের উপরিভাগের ক্ষেত্রফল:
-
ক্ষেত্রফল যত বড়, বাষ্পায়ন তত বেশি। উদাহরণ: এক গ্লাস পানির তুলনায় একটি বড় থালায় রাখা পানি দ্রুত শুকায়।
৩. তরলের প্রকৃতি:
-
স্ফুটনাঙ্ক কম হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়। উদাহরণ: ইথার বা এলকোহল দ্রুত বাষ্পায়িত হয়।
৪. বাতাসের চাপ:
-
বাতাসের চাপ কম হলে বাষ্পায়ন বেশি হয়। শূন্যস্থানে বাষ্পায়ন সবচেয়ে দ্রুত ঘটে।
৫. উষ্ণতা:
-
তরল এবং তার চারপাশের বাতাসের উষ্ণতা বেশি হলে বাষ্পায়ন বৃদ্ধি পায়।
৬. বায়ুর শুষ্কতা:
-
বাতাস যত শুষ্ক, তরল তত দ্রুত বাষ্পায়ন করে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ভিনেগার ব্যবহারের ফলে খাদ্যদ্রব্যের pH এর মান কেমন হয়?
Created: 1 month ago
A
কমে
B
বাড়ে
C
প্রথমে বাড়ে পরে কমে
D
অপরিবর্তিত থাকে
ভিনেগার হলো একটি প্রাকৃতিক খাদ্য সংরক্ষক যা খাদ্যদ্রব্যকে দীর্ঘ সময় টাটকা রাখতে সাহায্য করে। এর প্রধান রাসায়নিক উপাদান হলো ইথানোয়িক এসিড বা অ্যাসিটিক এসিড (CH₃COOH)।
ভিনেগার সম্পর্কিত তথ্য
-
ভিনেগার হলো ৬-১০% ইথানোয়িক এসিডের জলীয় দ্রবণ।
-
এটি বহুল ব্যবহৃত ও প্রচলিত প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ।
-
বাজারে সহজলভ্য, সস্তা এবং পানিতে অতি সহজে দ্রবীভূত হয়।
-
খাদ্যদ্রব্যে ভিনেগার ব্যবহার করলে pH কমে যায়, ফলে অণুজীবের বংশ বিস্তার বন্ধ হয়।
-
অধিকাংশ অণুজীবের বৃদ্ধির জন্য pH 6.5-7.5 অনুকূল।
-
-
ভিনেগার ব্যবহারে খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘ সময় টাটকা থাকে।
-
মাত্র ৬% ইথানোয়িক এসিড থাকায় এটি ব্যবহারকারীর জন্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।
-
পানিতে যেকোনো অনুপাতে সহজে মিশ্রিত হয়।
-
দামে সস্তা এবং সহজে সংগ্রহযোগ্য।
0
Updated: 1 month ago
তাপ পরিমাপের যন্ত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভোল্টমিটার
B
থার্মোমিটার
C
ক্যালরিমিটার
D
অ্যামিটার
তাপ (Heat) এবং তাপমাত্রা (Temperature)
1️⃣ তাপ (Heat)
-
সংজ্ঞা: বস্তুর বা পদার্থের অণুসমূহের অভ্যন্তরস্থ গতির সঙ্গে সম্পর্কিত শক্তি, যা ঠান্ডা ও গরমের অনুভূতি সৃষ্টি করে।
-
এস.আই একক: জুল (J)
-
অন্যান্য একক: ক্যালরি (Cal), যা বিশেষ করে পুষ্টি বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।
-
পরিমাপের যন্ত্র: ক্যালরিমিটার
-
বৈশিষ্ট্য:
-
তাপের প্রবাহ তাপের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে না।
-
দুটি বস্তুর তাপ সমান হলেও, তাদের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
-
2️⃣ তাপমাত্রা (Temperature)
-
সংজ্ঞা: বস্তুর তাপীয় অবস্থা, যা এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে তাপ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
এস.আই একক: কেলভিন (K)
-
প্রচলিত একক: সেলসিয়াস (°C) ও ফারেনহাইট (°F)
-
পরিমাপের যন্ত্র: থার্মোমিটার
-
বৈশিষ্ট্য:
-
তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে তাপের প্রবাহ।
-
দুটি বস্তুর তাপমাত্রা সমান হলেও, তাতে থাকা তাপের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।
-
3️⃣ অন্যান্য পরিমাপ যন্ত্র
-
থার্মোমিটার → তাপমাত্রা পরিমাপ করে
-
ভোল্টমিটার → বিভব পার্থক্য (Voltage) পরিমাপ করে
-
অ্যামিটার → বিদ্যুৎ প্রবাহ (Current) পরিমাপ করে
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
জোয়ার-ভাটার ওপর কোন মহাজাগতিক বস্তুর আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে?
Created: 1 month ago
A
সূর্য
B
চন্দ্র
C
পৃথিবী
D
নক্ষত্র
জোয়ার-ভাটা হলো সমুদ্রের পানির স্তরের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া, যা মহাকর্ষ শক্তি এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তির কারণে ঘটে। নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে সমুদ্রের পানি একটি স্থানে ফুলে ওঠে এবং পরে আবার নেমে যায়; ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়া ঘটনাকে ভাটা বলা হয়। সমুদ্রের একই স্থানে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সংঘটিত হয়। যদিও সূর্য চাঁদের তুলনায় অনেক বড়, পৃথিবী থেকে সূর্য অনেক দূরে অবস্থান করায় পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্যের তুলনায় বেশি প্রভাব ফেলে। জোয়ার-ভাটাকে প্রধানত চারভাগে ভাগ করা যায়:
-
মুখ্য জোয়ার: চন্দ্র পৃথিবীর চারপাশে আবর্তন করার সময় যে অংশ চন্দ্রের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়, সেখানে চাঁদের আকর্ষণে চারদিকে থেকে জলরাশি এসে ফুলে ওঠে। এই জোয়ারকে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার বলা হয়।
-
গৌণ জোয়ার: চাঁদের বিপরীত দিকের জলরাশিতে মহাকর্ষের প্রভাব কমে যায় এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তির কারণে চারপাশ থেকে পানি ঐ স্থানে এসে জোয়ার সৃষ্টি করে। এই ধরনের জোয়ারকে গৌণ জোয়ার বা পরোক্ষ জোয়ার বলা হয়।
-
ভরা কটাল বা তেজ কটাল: অমাবস্যা বা পূর্ণিমার সময় পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করলে চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে তীব্র জোয়ার সৃষ্টি হয়। এটিকে ভরা কটাল বা ভরা জোয়ার বলা হয়।
-
মরা কটাল: চন্দ্র ও সূর্য যখন পৃথিবীর সাথে এক সমকোণে অবস্থান করে, তখন চাঁদের আকর্ষণে সেখানে জোয়ার হয় এবং সূর্যের আকর্ষণে ভাটা ঘটে। এই ধরনের জোয়ারকে মরা কটাল বা মরা জোয়ার বলা হয়।
0
Updated: 1 month ago