গালিভার যদিও নিজের কাহিনী বলছেন এবং ঘটনাগুলো সততার সঙ্গে বর্ণনা করছেন বলে মনে হতে পারে, তার ব্যাখ্যা প্রায়ই ভুল, যা তাকে অবিশ্বাসযোগ্য কাহিনীকার হিসেবে তুলে ধরে।
-
সহজ বিশ্বাসী ও সরল মনোভাব: গালিভার প্রায়ই তার চারপাশের অযৌক্তিকতা চিনতে ব্যর্থ হন। তিনি লিলিপুটিয়ানদের অদ্ভুত ও হাস্যকর রীতিনীতি গম্ভীরভাবে বর্ণনা করেন, ফলে পাঠকরা যে স্যাটায়ারিক অর্থ উপলব্ধি করবে, তা তিনি দেখাতে পারেন না।
-
পরিবর্তনশীল পক্ষপাত: তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। লিলিপুটে তিনি গর্বিত ও শক্তিশালী মনে করেন, কিন্তু ব্রবডিংনাগে তিনি ছোট এবং মানুষের শারীরিক দুর্বলতা স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেন।
-
চরম মানবঘৃণা: উপন্যাসের শেষপর্যন্ত, হুহনহ্নমসের যুক্তিবাদী চরিত্রের প্রতি তার শ্রদ্ধা এবং ইয়াহুগুলোর প্রতি ঘৃণা (যারা মানবজাতির নীচতম স্বভাবের প্রতীক) তাকে মানুষঘৃণী করে তোলে। তিনি মানবজাতিতে কোনো ভালো দেখতে পান না এবং নিজের পরিবারের কাছেও বিরক্ত হন, ফলে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলি বিষয়ভিত্তিক ও অবিশ্বাসযোগ্য হয়।
স্যাটায়ারিক উপায়ে, সুইফ্ট গালিভারের অবিশ্বাসযোগ্যতাকে ব্যবহার করেছেন, যাতে পাঠক তার সীমিত বোঝাপড়ার বাইরে তাকিয়ে রাজনীতি, বিজ্ঞান, ও মানব প্রকৃতির গভীর সমালোচনা বুঝতে পারে।