উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে কোনটি?
A
মোটর
B
ট্রানজিস্টর
C
জেনারেটর
D
ট্রান্সফরমার
উত্তরের বিবরণ
ট্রান্সফরমার (Transformer)
-
ট্রান্সফরমার একটি তড়িৎ যন্ত্র যা তাড়িতচৌম্বক আবেশের উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
-
এতে মূলত দুটি কুণ্ডলী থাকে, যা একটি আয়তাকার কাঁচা লোহার কোর বা ম্যাজার উপর সারিবদ্ধভাবে আবৃত থাকে যাতে অধিক চৌম্বক বলের রেখা তৈরি হয়।
-
একটি কুণ্ডলীতে পরিবর্তনশীল প্রবাহ চললে অপর কুণ্ডলীতে তড়িচ্চালক শক্তি সৃষ্টি হয়।
-
ট্রান্সফরমারের কাজ হলো উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করা, শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে।
-
ফলে, বিভব বৃদ্ধি করলে তড়িৎ প্রবাহ হ্রাস পায়।
-
বিভব হ্রাস করলে তড়িৎ প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
-
-
যে যন্ত্র এই রূপান্তর করে তাকে ট্রান্সফরমার বলা হয়।
-
ট্রান্সফরমার সাধারণত দুই প্রকারের হয়:
১. স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার (বিভব বৃদ্ধি করে)
২. স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার (বিভব হ্রাস করে)
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
শব্দ তরঙ্গের গতি কোন মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 month ago
A
কঠিন
B
তরল
C
শূন্য
D
বায়ুবীয়
শব্দ তরঙ্গ হলো এমন এক প্রকার তরঙ্গ যা সৃষ্টি, সঞ্চালন এবং গ্রহণের জন্য উৎস, মাধ্যম ও রিসিভারের প্রয়োজন হয়। মানুষের ক্ষেত্রে শব্দ তৈরি হয় মূলত ফুসফুস থেকে বের হওয়া বাতাস গলার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় স্বরযন্ত্রে (Larynx) কম্পন ঘটানোর মাধ্যমে। স্বরযন্ত্রে দুটি ভোকাল কর্ড (Vocal Cord) থাকে, যেগুলো ভালভের মতো কাজ করে। বাতাস বের হওয়ার সময় এগুলো কাঁপলে শব্দ তৈরি হয়। বয়সের কারণে পুরুষের ভোকাল কর্ড শক্ত হয়ে যায় আর নারীর ভোকাল কর্ড তুলনামূলক কোমল থাকে। এজন্য পুরুষরা কম কম্পাঙ্কের শব্দ উৎপন্ন করে, ফলে তাদের স্বর মোটা হয়; অন্যদিকে নারীরা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ উৎপন্ন করে, ফলে তাদের স্বর তীক্ষ্ণ শোনায়।
শব্দ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য:
-
শব্দ একটি যান্ত্রিক তরঙ্গ, কারণ বস্তুকণার কম্পনের ফলে এটি সৃষ্টি হয় এবং সঞ্চালনের জন্য একটি স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
-
শব্দ একটি অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, কারণ তরঙ্গের সঞ্চালনের দিক এবং মাধ্যমের কণার কম্পনের দিক এক।
-
শব্দ তরঙ্গের বেগ মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
-
বায়বীয় মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে কম, তরলে এর বেগ বেশি এবং কঠিনে সবচেয়ে বেশি।
-
শব্দের বেগ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার ওপরও নির্ভরশীল।
-
শব্দ তরঙ্গের তীব্রতা বিস্তারের (Amplitude) বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ বিস্তার যত বেশি, তীব্রতাও তত বেশি হয়; বিস্তার কম হলে তীব্রতাও কম হয়।
-
অন্যান্য তরঙ্গের মতো শব্দ তরঙ্গও প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও উপরিপাতন ঘটাতে সক্ষম।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
চিংড়ি চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
প্রণকালচার
B
পিসিকালচার
C
মেরিকালচার
D
সেরিকালচার
আধুনিক চাষ পদ্ধতি:
- চিংড়ি চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে প্রণকালচার।
অন্যদিকে,
- মৌমাছি চাষ বিষয়ক করাকে এপিকালচার বলে।
- রেশম চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে সেরিকালচার।
- মৎস্য চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে বলে পিসিকালচার।
- উদ্যান বিষয়ক বিদ্যাকে বলে হর্টিকালচার।
- পাখি পালন বিষয়ক বিদ্যাকে বলে এভিকালচার।
- সামুদ্রিক মৎস্য পালন বিষয়ক বিদ্যাকে বলে মেরিকালচার।
0
Updated: 1 month ago
এক্স-রের কোন বৈশিষ্ট্য সঠিক?
Created: 1 month ago
A
এক্স-রে সরল পথে গমন করে
B
এক্স-রে আলোর চেয়ে বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ধারণ করে
C
এক্স-রে বিক্ষিপ্ত হয় তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা
D
এক্স-রে গ্যাসের মধ্য দিয়ে গমনকালে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না
এক্স-রে (X-Rays) হলো এমন এক ধরনের তড়িৎচুম্বকীয় রশ্মি যা ১৮৯৫ সালে জার্মান বিজ্ঞানী প্রফেসর উইলিয়াম রঞ্জন আবিষ্কার করেন। পরে একে রঞ্জন রশ্মি নামেও ডাকা হয়। এক্স-রে তখন সৃষ্টি হয় যখন উচ্চগতির ইলেকট্রন কোনো ধাতব প্রতিবন্ধকের (Target) সাথে সংঘর্ষে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং তার গতিশক্তি এক্স-রেতে রূপান্তরিত হয়।
এক্স-রের বৈশিষ্ট্য:
-
এক্স-রে সরল পথে চলে।
-
এক্স-রে অদৃশ্য, সাধারণ আলো রেটিনায় পড়লে দেখা যায় কিন্তু এক্স-রে দেখার অনুভূতি জাগায় না।
-
এটি তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
এক্স-রের তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে অনেক ছোট।
-
এক্স-রে আলোর সমবেগে (≈ 3×10⁸ m/s) চলে।
-
আলোর মতো এক্স-রে প্রতিফলন, প্রতিসরণ, অপবর্তন ও পোলারাইজেশন করতে পারে।
-
এক্স-রে আলোর তড়িৎক্রিয়া প্রদর্শন করে।
-
এক্স-রে ফটোগ্রাফিক প্লেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
এক্স-রে তড়িৎ ক্ষেত্র বা চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না, অর্থাৎ কোনো চার্জ নেই।
-
এক্স-রে গ্যাসকে আয়নিত করতে সক্ষম।
-
এক্স-রে প্রতিপ্রভা (fluorescence) সৃষ্টি করতে পারে।
-
এক্স-রের ভেদন ক্ষমতা অত্যধিক।
-
এক্স-রে জীবন্ত কোষকে ধ্বংস করতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago