উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে কোনটি?
A
মোটর
B
ট্রানজিস্টর
C
জেনারেটর
D
ট্রান্সফরমার
উত্তরের বিবরণ
ট্রান্সফরমার (Transformer)
-
ট্রান্সফরমার একটি তড়িৎ যন্ত্র যা তাড়িতচৌম্বক আবেশের উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
-
এতে মূলত দুটি কুণ্ডলী থাকে, যা একটি আয়তাকার কাঁচা লোহার কোর বা ম্যাজার উপর সারিবদ্ধভাবে আবৃত থাকে যাতে অধিক চৌম্বক বলের রেখা তৈরি হয়।
-
একটি কুণ্ডলীতে পরিবর্তনশীল প্রবাহ চললে অপর কুণ্ডলীতে তড়িচ্চালক শক্তি সৃষ্টি হয়।
-
ট্রান্সফরমারের কাজ হলো উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করা, শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে।
-
ফলে, বিভব বৃদ্ধি করলে তড়িৎ প্রবাহ হ্রাস পায়।
-
বিভব হ্রাস করলে তড়িৎ প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
-
-
যে যন্ত্র এই রূপান্তর করে তাকে ট্রান্সফরমার বলা হয়।
-
ট্রান্সফরমার সাধারণত দুই প্রকারের হয়:
১. স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার (বিভব বৃদ্ধি করে)
২. স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার (বিভব হ্রাস করে)
উৎস:

0
Updated: 3 hours ago
প্রাকৃতিক গ্যাসে কোন উপাদান সবচেয়ে বেশি পরিমানে থাকে?
Created: 2 hours ago
A
মিথেন
B
ইথেন
C
প্রোপেন
D
বিউটেন
প্রাকৃতিক গ্যাস
-
প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির একটি পরিচিত উৎস, যা মূলত ভূগর্ভ থেকে প্রাপ্ত হয়।
-
এটি তাপশক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
-
পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের ফলে এই গ্যাস সৃষ্টি হয়।
-
পেট্রোলিয়াম কূপ থেকেও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা যায়।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (Methane)।
-
এই ধরনের শক্তিকে জীবাশ্ম শক্তি (Fossil Fuel) বলা হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান ও পরিমাণ:
-
মিথেন: ৮০–৯০%
-
ইথেন: ১৩%
-
প্রোপেন: ৩%
-
এছাড়া কিছু পরিমাণ বিউটেন, ইথিলিন এবং নাইট্রোজেন থাকে।
-
বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫–৯৯%।
উৎস:

0
Updated: 2 hours ago
কোনটি পানিতে দ্রবীভূত হয় না?
Created: 1 week ago
A
গ্লিসারিন
B
ফিটকিরি
C
সােডিয়াম ক্লোরাইড
D
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট
লবণ (Salt)
-
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO3) পানিতে দ্রবীভূত হয় না।
-
খাবারের স্বাদ বাড়াতে যেসব লবণ ব্যবহৃত হয় সেগুলো হলো –
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) এবং সোডিয়াম গ্লুটামেট (C5H8NO4Na)। -
মাটির অম্লতা বা এসিডিটি কমানোর জন্য চুনাপাথর (CaCO3) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি লবণ।
-
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য যে সার ব্যবহার করা হয় তার বেশিরভাগই আসলে লবণ জাতীয় যৌগ।
যেমন –-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH4NO3)
-
অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH4)3PO4)
-
পটাসিয়াম নাইট্রেট (KNO3) ইত্যাদি।
-
-
কৃষিকাজে রোগ প্রতিরোধের জন্য কপার সালফেট (CuSO4) বা তুঁতে বহুল ব্যবহৃত একটি লবণ। এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।
-
অধিকাংশ লবণ পানিতে সহজে দ্রবীভূত হলেও কিছু কিছু লবণ দ্রবীভূত হয় না এবং এরা বিশেষ কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন শৈবালের বৃদ্ধি রোধে।
এর উদাহরণ –-
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO3)
-
সিলভার সালফেট (Ag2SO4)
-
সিলভার ক্লোরাইড (AgCl)
-
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
একটি কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ কিনা তা কিভাবে নির্ণয় করা যায়?
Created: 3 hours ago
A
ঘনীভবন
B
বাষ্পীভবন
C
গলনাঙ্ক
D
স্ফুটনাংক
গলনাঙ্ক (Melting Point)
-
কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ না অবিশুদ্ধ তা গলনাঙ্ক দ্বারা নির্ণয় করা যায়।
-
যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ গলতে শুরু করে, সেটিকে গলনাঙ্ক বলা হয়।
-
যদি কঠিন পদার্থে অপদ্রব্য বা দূষণ মিশ্রিত থাকে, তবে পদার্থটি আসল গলনাঙ্কে গলবে না।
তুলনায়:
-
তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক নির্ণয়ের মাধ্যমে কোন তরল বিশুদ্ধ না অবিশুদ্ধ তা জানা যায়।
উৎস:

0
Updated: 3 hours ago