নিচের কোন রাশিটি মৌলিক রাশির উপর নির্ভরশীল?
A
সময়
B
বেগ
C
ভর
D
তড়িৎপ্রবাহ
উত্তরের বিবরণ
রাশি
-
প্রকৃতিতে যে সব পরিমাপযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তা রাশি নামে পরিচিত।
-
উদাহরণ: একটি লোহার বলের ভর পরিমাপ করা যায়। এখানে ভর একটি রাশি।
মৌলিক রাশি
-
যেগুলো পরিমাপের জন্য অন্য কোন রাশির উপর নির্ভর করতে হয় না, সেগুলোকে মৌলিক রাশি বলা হয়।
-
উদাহরণ: সময় একটি মৌলিক রাশি, কারণ এটি অন্য কোন রাশির উপর নির্ভর করে না।
-
বিজ্ঞানীরা মোট সাতটি মৌলিক রাশি চিহ্নিত করেছেন:
• দৈর্ঘ্য
• ভর
• সময়
• তাপমাত্রা
• তড়িৎপ্রবাহ
• দীপন তীব্রতা
• পদার্থের পরিমাণ
যৌগিক (লব্ধ) রাশি
-
কিছু রাশি অন্য মৌলিক রাশির উপর নির্ভরশীল।
-
উদাহরণ: বেগ পরিমাপ করতে দূরত্ব ও সময় জানা প্রয়োজন। বেগ = দূরত্ব ÷ সময়। তাই বেগ একটি লব্ধ বা যৌগিক রাশি।
-
যৌগিক রাশির উদাহরণ:
• কাজ
• বল
• তাপ
• বেগ
• ত্বরণ
• বিভব
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
এক্স-রে রশ্মি জীবন্ত কোষের উপর কী প্রভাব ফেলে?
Created: 1 month ago
A
উত্তেজিত করে
B
বিকশিত করে
C
রক্ষা করে
D
ধ্বংস করে
শব্দের সঞ্চালন
-
শব্দ সৃষ্টির উৎস হলো কম্পনশীল বস্তু।
-
কোনো মাধ্যমের কণাগুলোর কম্পনের ফলে যে আন্দোলন তৈরি হয় এবং যা মাধ্যমের মধ্য দিয়ে চলাচল করে, তাকে ঢেউ বলা হয়।
-
উদাহরণ: একটি লম্বা স্প্রিং-এর এক প্রান্তে আঘাত করলে স্প্রিংটি সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে আন্দোলন সঞ্চালন করে; শব্দের ঢেউও এভাবেই সঞ্চালিত হয়।
-
-
শব্দের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতকে শব্দ সঞ্চালন বলা হয়।
-
শব্দ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন, যা হতে পারে কঠিন, তরল বা বায়বীয়।
-
কঠিন মাধ্যমে শব্দের গতি সর্বোচ্চ এবং সঠিকভাবে সঞ্চালিত হয়।
-
তরল মাধ্যমে শব্দ বায়ুর চেয়ে দ্রুত এবং ভালোভাবে সঞ্চালিত হয়।
-
বায়ু মাধ্যমে শব্দ তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে সঞ্চালিত হয়।
-
-
মাধ্যম ছাড়া শব্দ সঞ্চালিত হয় না, অর্থাৎ শূন্য মাধ্যমে শব্দ সঞ্চালিত হয় না।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein) কী ধরনের প্রোটিন?
Created: 1 month ago
A
অসম্পূর্ণ প্রোটিন
B
দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
C
সম্পূর্ণ প্রোটিন
D
উচ্চ ঘনত্ববিশিষ্ট প্রোটিন
প্রোটিন (Protein)
-
শব্দের উৎপত্তি: ‘প্রোটিন’ শব্দটি গ্রিক শব্দ প্রোটিওজ (Proteios) থেকে এসেছে, যার অর্থ “সর্বপ্রথম অবস্থান”।
-
যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সেখানে প্রোটিন রয়েছে। তাই প্রোটিন ছাড়া কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।
-
প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় জগতেই প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান।
-
সব প্রোটিনই কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N) দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সালফার, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদিও যুক্ত থাকে।
-
প্রোটিনকে ক্ষুদ্র অংশে ভাঙলে প্রথমে অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায় এবং শেষে মৌলিক উপাদান যেমন C, H, O, N ইত্যাদি পাওয়া যায়।
🔹 প্রোটিনের শ্রেণিবিভাগ
উৎস অনুযায়ী
১. প্রাণিজ প্রোটিন → প্রাণিজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
২. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন → উদ্ভিদজগৎ থেকে প্রাপ্ত। যেমন: ডাল, বাদাম, সয়াবিন, সিমের বিচি।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের ভিত্তিতে
১. সম্পূর্ণ বা প্রথম শ্রেণির প্রোটিন
-
যেসব প্রোটিনে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড সঠিক অনুপাতে থাকে।
-
উদাহরণ: মাছ, মাংস ইত্যাদি প্রাণিজ প্রোটিন।
২. আংশিক পূর্ণ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পর্যাপ্ত অনুপাতে থাকে না, ফলে দেহের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
-
উদাহরণ: চাল, ডাল, আটা, বাদাম, আলু ইত্যাদি।
-
যেমন: ডালে মেথিওনিন, আর চালে লাইসিন কম থাকে।
৩. অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির প্রোটিন
-
যেখানে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যথেষ্ট পরিমাণে নেই।
-
উদাহরণ: ভুট্টার প্রোটিন জেইন (Zein)।
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
কার্বনের দানাদার রূপভেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কয়লা
B
কার্বন ব্ল্যাক
C
কোক কার্বন
D
হীরক
প্রকৃতিতে একই মৌল বিভিন্ন ভৌত রূপে অবস্থান করতে পারে, এই বৈশিষ্ট্যকে বহুরূপতা বলা হয়। এটি মৌলের রাসায়নিক ধর্ম অপরিবর্তিত রেখে তাদের ভৌত রূপ পরিবর্তনের ক্ষমতা নির্দেশ করে।
বহুরূপতা সম্পর্কিত তথ্য
-
বহুরূপতা প্রদর্শনকারী মৌল: কার্বন, ফসফরাস, সিলিকন, সালফার, জার্মেনিয়াম, বোরন, টিন ইত্যাদি।
-
কার্বনের দানাদার রূপভেদ: গ্রাফাইট ও হীরক।
-
কার্বনের অদানাদার রূপভেদ: কোক কার্বন, চারকোল, কয়লা ও কার্বন ব্ল্যাক।
-
দানাদার রূপভেদ গ্রাফাইট বিদ্যুৎ পরিবহন করতে সক্ষম।
0
Updated: 1 month ago