আদর্শ ভোল্টেজ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ কত?
A
অসীম
B
শূন্য
C
অতি ক্ষুদ্র
D
অনেক বড়
উত্তরের বিবরণ
একটি আদর্শ ভোল্টেজ উৎস এমন একটি তাত্ত্বিক ধারণা যেখানে উৎসের টার্মিনালের ভোল্টেজ সবসময় স্থির থাকে এবং লোড পরিবর্তনের কারণে তা কোনোভাবেই কমে বা বাড়ে না।
এটি কেবল তখনই সম্ভব যখন উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ শূন্য ধরা হয়। অভ্যন্তরীণ রোধ থাকলে কারেন্ট প্রবাহের সময় ভোল্টেজ পতন ঘটত, যা আদর্শ ভোল্টেজ উৎসের মৌলিক বৈশিষ্ট্যের সাথে সাংঘর্ষিক।
তথ্যগুলো সংক্ষেপে:
-
আদর্শ ভোল্টেজ উৎস: টার্মিনালের ভোল্টেজ লোডের পরিবর্তনের পরও অপরিবর্তিত থাকে।
-
অভ্যন্তরীণ রোধ শূন্য: r = 0 ধরা হয়, যাতে কোনো ভোল্টেজ ড্রপ না ঘটে।
-
যদি অভ্যন্তরীণ রোধ থাকত, তবে V = IR সূত্র অনুযায়ী ভোল্টেজ পতন ঘটত এবং টার্মিনাল ভোল্টেজ উৎস ভোল্টেজের সমান থাকত না।
-
আদর্শ ক্ষেত্রে Vterminal = Vsource, অর্থাৎ টার্মিনালের ভোল্টেজ সর্বদা উৎসের ভোল্টেজের সমান থাকে।
সুতরাং, একটি আদর্শ ভোল্টেজ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ সর্বদা শূন্য ধরা হয়।
0
Updated: 1 month ago
মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরির কোষগুলো নষ্ট হলে কি রোগ হয়?
Created: 2 months ago
A
এপিলেপসি
B
পারকিনসন
C
প্যারালাইসিস
D
থ্রমবোসিন
পারকিনসন রোগ হলো মস্তিষ্কের একটি সমস্যা, যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পা কাঁপতে শুরু করে এবং চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। সাধারণত এই রোগ ৫০ বছরের পর দেখা দেয়।
রোগের কারণ:
-
মস্তিষ্কে কিছু স্নায়ুকোষ থাকে, যা ডোপামিন নামের রাসায়নিক তৈরি করে।
-
ডোপামিন পেশি নিয়ন্ত্রণ ও নড়াচড়ায় সাহায্য করে।
-
যদি এই কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়, ডোপামিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
-
ডোপামিন না থাকলে স্নায়ুকোষগুলো পেশিকে সঠিক সংকেত দিতে পারে না, ফলে পেশি শক্ত বা অকার্যকর হয়ে যায়।
লক্ষণ:
প্রাথমিকভাবে হাত ও পা হালকা কাঁপতে থাকে। অন্যান্য লক্ষণ হতে পারে:
-
একপাশের পা বা হাত ঠিকমত নড়াচড়া করতে পারা না
-
চোখের পাতার কাঁপুনি
-
কোষ্ঠকাঠিন্য
-
খাবার গিলতে সমস্যা
-
হাঁটাচলায় অসুবিধা
-
মাংসপেশিতে ব্যথা বা টান
-
কথা বলার সময় মুখের অপ্রাকৃতিক অঙ্গভঙ্গি বা মুখের স্থির থাকা
নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ:
-
ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ
-
নিয়মিত ফিজিওথেরাপি
-
পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার
-
সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখা
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
হিমোগ্লোবিন কোন জাতীয় পদার্থ?
Created: 2 months ago
A
আমিষ
B
স্নেহ
C
আয়োডিন
D
লৌহ
হিমোগ্লোবিন
- হিমোগ্লোবিন এক ধরনের আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় পদার্থ।
- হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতির জন্য রক্তের রং লাল হয়।
- এর প্রধান কাজ হলো ধমনি থেকে দেহের সব স্থানে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা।
- হিমোগ্লোবিনের প্রতিটি অণুতে চারটি আয়রন পরমাণু থাকে। আর প্রতিটি আয়রন পরমাণু একটি করে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
- রক্তে ৯৭-৯৮% অক্সিজেন পরিবাহিত হয় লোহত কণিকার অক্সিজেনের মাধ্যমে।
- একটি হিমোগ্লোবিন অণু একই সাথে ৪টি অক্সিজেন অণুর সাথে যুক্ত হতে পারে।

- অক্সিজেনের সাথে হিমোগ্লোবিনের রাসায়নিক বিক্রিয়া উভমুখী।
উৎস: জীববিজ্ঞান, দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (ড. গাজী আজমল) এবং প্রাণিবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
কোন গ্রহের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে অধিক?
Created: 2 months ago
A
শুক্র
B
পৃথিবী
C
মঙ্গল
D
বুধ
সৌরজগতের গ্রহগুলোর তাপমাত্রা
সূর্য থেকে যত দূরে কোনো গ্রহ অবস্থান করে, সাধারণত তার গড় তাপমাত্রা তত কমে যায়। তবে শুক্র এর ব্যতিক্রম। কারণ এর ঘন কার্বন ডাই অক্সাইডে ভরা বায়ুমণ্ডল ও সূর্যের সান্নিধ্য একে সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রহে পরিণত করেছে।
শুক্র পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রহ এবং এটি আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বলভাবে দেখা যায়। এর ঘন মেঘাচ্ছন্ন বায়ুমণ্ডল প্রধানত কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে গঠিত। তাই তাপ আটকে রেখে গ্রহটিকে ভীষণ উষ্ণ করে তোলে। অন্যদিকে পৃথিবী সূর্য থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গ্রহগুলোর গড় তাপমাত্রা (প্রায়)
-
বুধ: ১৬৭° সেলসিয়াস
-
শুক্র: ৪৬৪° সেলসিয়াস
-
পৃথিবী: ১৫° সেলসিয়াস
-
মঙ্গল: –৬৫° সেলসিয়াস
-
বৃহস্পতি: –১১০° সেলসিয়াস
-
শনি: –১৪০° সেলসিয়াস
-
ইউরেনাস: –১৯৫° সেলসিয়াস
-
নেপচুন: –২০০° সেলসিয়াস
সব মিলিয়ে বলা যায়, সূর্য থেকে যত দূরে যাওয়া যায়, তাপমাত্রা তত হ্রাস পায়। তবে শুক্র তার ঘন বায়ুমণ্ডলের কারণে নিয়মের বাইরে থেকে সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ হিসেবে পরিচিত।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি) এবং NASA ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago