এনজাইম, অ্যান্টিবডি ক্যালসিয়াম এবং হরমোন-এর মৌলিক উপাদান -
A
প্রোটিন
B
ক্যালসিয়াম
C
ভিটামিন
D
লবণ
উত্তরের বিবরণ
প্রোটিন জীবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জৈব রাসায়নিক পদার্থ, যা বিভিন্ন অ্যামাইনো অ্যাসিডের শৃঙ্খলন থেকে তৈরি হয়। প্রতিটি অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রোটিনের মূল গাঠনিক একক হিসেবে কাজ করে এবং প্রোটিনের বৈচিত্র্য ও কার্যকারিতা নির্ধারণ করে।
জীবদেহের কোষের অভ্যন্তরে সারাক্ষণ শত শত প্রকার প্রোটিন তৈরি হয়, যা বিভিন্ন জৈব প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। প্রোটিন অণু বহু সংখ্যক অ্যামাইনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে গঠিত বৃহদাকার যৌগিক জৈব অণু।
প্রোটিনের উদাহরণ হিসেবে এনজাইম, অ্যান্টিবডি ও হরমোন উল্লেখযোগ্য। যদিও সব এনজাইম প্রোটিন, সব প্রোটিনকে এনজাইম হিসেবে ধরা যায় না।
-
প্রোটিন জীবদেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক পদার্থ।
-
অ্যামাইনো অ্যাসিড হলো প্রোটিনের মূল গাঠনিক একক।
-
বিভিন্ন অ্যামাইনো অ্যাসিড বিভিন্নভাবে শৃঙ্খলিত হয়ে একটি প্রোটিন গঠন করে।
-
প্রোটিন অণু বহু সংখ্যক অ্যামাইনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে গঠিত।
-
প্রোটিন শব্দটি সর্বপ্রথম প্রয়োগ করেন জি. মুলার (১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দ)।
-
একটি কোষের অভ্যন্তরে সারাক্ষণ শত শত প্রকার প্রোটিন তৈরি হয়।
-
জীবদেহের প্রায় সর্বত্র প্রোটিন বিরাজমান।
-
প্রোটিন জৈব ক্রিয়া-বিক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, যেমন এনজাইম, অ্যান্টিবডি ও হরমোন।
-
সব এনজাইম প্রোটিন হলেও, সব প্রোটিন এনজাইম নয়।

0
Updated: 3 hours ago
পারমাণবিক চুল্লিতে কোন মৌল জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
পেট্রোলিয়াম
B
অক্সিজেন
C
ইউরেনিয়াম-২৩৫
D
হাইড্রোজেন
পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ সরানোর (ঠান্ডা রাখার) জন্য তরল সোডিয়াম ধাতু ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি খুব ভালোভাবে তাপ পরিবহন করতে পারে। তবে এটি অবশ্যই বিশুদ্ধ থাকতে হয়, যাতে চুল্লির ভেতরের ধাতব যন্ত্রাংশের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া না করে।
অন্যদিকে, এই চুল্লিতে জ্বালানির কাজ করে ইউরেনিয়াম এবং নিউট্রনের গতি কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহৃত হয় গ্রাফাইট, যেটিকে বলা হয় ‘মডারেটর’।

0
Updated: 1 month ago
উদ্ভিদের পাতা হলদে হয়ে যায় কিসের অভাবে?
Created: 1 month ago
A
নাইট্রোজেনের
B
ফসফরাসের
C
ইউরিয়ার
D
পটাসিয়ামের
🔹 নাইট্রোজেনের অভাব
-
নাইট্রোজেন পাতায় সবুজ রঙ (ক্লোরোফিল) তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
এর ঘাটতি হলে পাতার সবুজ রঙ ফিকে হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়।
-
এই হলুদ হওয়াকে বলা হয় ক্লোরোসিস।
🔹 ফসফরাসের অভাব
-
ফসফরাসের অভাবে পাতায় বেগুনি রঙ দেখা যায়।
-
পাতায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ বা মৃত দাগ তৈরি হয়।
-
ফল, ফুল এমনকি পাতাও ঝরে পড়তে পারে।
-
গাছের বৃদ্ধি থেমে যেতে পারে।
🔹 পটাশিয়ামের অভাব
-
পটাশিয়ামের অভাবে পাতার মাথা ও ধারে হলুদ ছোপ দেখা দেয়।
-
পরে সেসব জায়গায় পোড়া দাগের মতো বাদামি রঙ হয় এবং পাতা কুঁকড়ে যায়।
-
গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফুল বা ফলের কুঁড়ি শুকিয়ে যেতে পারে।
বুঝে রাখার মতো বিষয়:
-
নাইট্রোজেনের অভাবে সাধারণত পুরনো পাতা পুরোপুরি হলুদ হয়।
-
আর পটাশিয়ামের অভাবে পাতার ধারে পোড়া দাগের মতো চিহ্ন দেখা যায়, পুরো পাতা না।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই।

0
Updated: 1 month ago
আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
Created: 2 weeks ago
A
ধুলিকণা
B
বায়ুস্তর
C
বৃষ্টির কণা
D
অতিবেগুনি রশ্মি
সূর্যের আলো দেখতে সাদা রঙের হলেও আসলে এর ভেতরে সাতটি ভিন্ন রঙ লুকিয়ে থাকে—বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এই সাদা আলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। যখন এটি কোনো প্রিজমের ভেতর দিয়ে যায়, তখন আলোটি ভেঙে সাত রঙে আলাদা হয়ে যায়।
আকাশে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ছোট ছোট প্রিজমের মতো কাজ করে। সূর্যের আলো ফোঁটার এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হওয়ার সময় সাত রঙের বর্ণালী তৈরি করে। ফোঁটা থেকে বের হওয়া এই রঙিন আলো আমাদের চোখে পৌঁছায় বলেই আমরা রংধনু দেখতে পাই। অর্থাৎ বৃষ্টির ফোঁটার ভেতরের প্রতিফলন ও প্রতিসরণের কারণে আকাশে সুন্দর রংধনু গঠিত হয়।
এছাড়া আলো যখন ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যায়, আর যদি আপতন কোণ মাধ্যম দুটির সংকট কোণের চেয়ে বড় হয়, তখন পুরো আলোকরশ্মিই প্রতিফলিত হয়ে ঘন মাধ্যমের ভেতরেই ফিরে আসে। এই ঘটনাকে বলা হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago