ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য তার যে গঠন দায়ী তা হলো—
A
পিল্লি
B
ফ্লাজেলা
C
শীথ
D
ক্যাপসুলস
উত্তরের বিবরণ
ফ্ল্যাজেলা, পিলি এবং ক্যাপসিউল ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন বহিরঙ্গ উপাঙ্গ যা তাদের চলাচল, সংযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এগুলো কোষ প্রাচীরের বাইরে অবস্থান করে এবং বিশেষ প্রোটিন বা পলিমারের মাধ্যমে গঠিত। মূল তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ফ্ল্যাজেলা হলো প্রোটোপ্লাজম দ্বারা গঠিত একটি সূত্রাকৃতির উপাঙ্গ, যা কোষ প্রাচীর ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে। এটি ফ্ল্যাজেলিন নামক প্রোটিন দ্বারা তৈরি। ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে ব্যাকটেরিয়া তরল মাধ্যমে চলাফেরা করতে পারে।
-
ফ্ল্যাজেলার চেয়ে ছোট ও শক্ত উপাঙ্গকে পিলি বলা হয়। পিলি পিলিন নামক প্রোটিন দিয়ে গঠিত এবং ব্যাকটেরিয়াকে কোনো পৃষ্ঠের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে সহায়তা করে।
-
ক্যাপসিউল হলো একটি স্তর, যা পলিস্যাকারাইড বা পলিপেপটাইড দিয়ে গঠিত এবং ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের বাইরে থাকে। এটিকে স্লাইম স্তরও বলা হয় এবং এটি ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করে।
0
Updated: 1 month ago
পৃথিবীর প্রথম বাণিজ্যিক যোগাযোগ কৃত্রিম উপগ্রহ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
আর্লিবার্ড হল
B
এস্ট্রোলার হল
C
ওবেরী হল
D
কসমস
পৃথিবীর প্রথম বাণিজ্যিক যোগাযোগের কৃত্রিম উপগ্রহ ছিল ইনটেলসেট-১, যেটি আর্লি বার্ড (Early Bird) নামেও পরিচিত।
এই উপগ্রহটি ১৯৬৫ সালের ৬ এপ্রিল মহাশূন্যে পাঠানো হয়।
নাসা এটি পৃথিবীর উপরে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে (geosynchronous orbit) স্থাপন করে।
উৎস: নাসার ওয়েবসাইট
0
Updated: 3 months ago
কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সর্বাপেক্ষা কম?
Created: 2 months ago
A
শূন্যতায়
B
কঠিন পদার্থে
C
তরল পদাবায়বীয় পদার্থের্থে
D
বায়বীয় পদার্থে
শব্দের গতি:
- বায়বীয় পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে কম।
- শব্দ এক প্রকার যান্ত্রিক তরঙ্গ। তাই শব্দ চলার জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
- কঠিন পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি। যেমন- ইস্পাত, লোহা ইত্যাদি।
- তরলে পদার্থে শব্দের গতি কঠিন পদার্থের চেয়ে কম। যেমন- পানি।
- বায়বীয় পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে কম।
- শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শূন্য।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
সুনামীর কারণ হল-
Created: 2 months ago
A
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
D
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প
সুনামি (Tsunami)
-
সুনামি মূলত সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়।
-
“Tsunami” শব্দটি জাপানি, যার শাব্দিক অর্থ হলো ‘পোতাশ্রয়ের ঢেউ’। এখানে ‘tsu’ মানে বন্দর বা harbour, আর ‘nami’ মানে সামুদ্রিক ঢেউ।
-
বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিকভাবে এমন যে এখানে সুনামি খুব কম ঘটে।
-
তবে ইতিহাসে কিছু ঘটনায় সুনামির প্রভাব দেখা গেছে। যেমন:
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল: কক্সবাজার ও আশেপাশের এলাকায় সুনামির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-
১৯৪১ সালে: আন্দামান সাগরে ভূমিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি সৃষ্টি হয়। এতে ভারতের পূর্ব উপকূলে প্রায় ৫,০০০ মানুষ নিহত হন।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার সিনুয়েলেউ দ্বীপে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামি সমগ্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়।
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago