বজ্রবৃষ্টির ফলে মাটিতে উদ্ভিদের কোন খাদ্য উপাদান বৃদ্ধি পায়?
A
নাইট্রোজেন
B
পটাশিয়াম
C
অক্সিজেন
D
ফসফরাস
উত্তরের বিবরণ
উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা তাদের বৃদ্ধি ও সবুজায়নের জন্য অপরিহার্য। যদিও বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ, উদ্ভিদ সরাসরি এটিকে গ্রহণ করতে পারে না।
তারা মাটিতে থাকা নাইট্রোজেনের আয়নিত আকার থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে। বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত নাইট্রোজেন সারের মধ্যে ইউরিয়া অন্যতম প্রধান এবং বহুল ব্যবহৃত সার।
-
মাটিতে নাইট্রোজেনের প্রধান উৎস হলো নাইট্রোজেন লবণ।
-
উদ্ভিদ মাটি থেকে আয়নিত অবস্থায় নাইট্রোজেন শোষণ করে।
-
বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক এবং শক্তিশালী সার প্রদানকারী এজেন্ট। প্রতিবার বজ্রপাত ঘটলে, বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন হাইড্রোজেন বা অক্সিজেনের সঙ্গে মিলিত হয়ে অ্যামোনিয়াম ও নাইট্রেট তৈরি করে।
-
এই নাইট্রোজেন বৃষ্টির মাধ্যমে মাটিতে ধুয়ে যায়, যেখানে গাছপালা এটি শোষণ করে এবং বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করে।
-
যেহেতু নাইট্রোজেন ক্লোরোফিলের মূল উপাদান, এটি গাছের সবুজায়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে।
-
বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেনের এই প্রক্রিয়া উদ্ভিদের জন্য প্রাকৃতিক সার হিসেবে কাজ করে, যা তাদের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি ও সবুজ পাতা তৈরি করতে সহায়তা করে।
0
Updated: 1 month ago
পিতলের উপাদান হলো-
Created: 2 months ago
A
তামা ও টিন
B
তামা ও নিকেল
C
তামা ও সিসা
D
তামা ও দস্তা
সংকর ধাতু
সংকর ধাতু বলতে বোঝায় এমন ধাতব পদার্থ যা দুই বা ততোধিক ধাতুর মিশ্রণে তৈরি হয়। এই মিশ্রণ থেকে একটি নতুন কঠিন পদার্থ তৈরি হয়, যা কখনও সমসত্ব (homogeneous) বা কখনও অসমসত্ব (heterogeneous) হতে পারে।
উদাহরণ:
-
কাঁসা (Bronze): তামা (Copper) ও টিন (Tin) মিশিয়ে তৈরি করা হয়।
-
পিতল (Brass): তামা (Copper) ও দস্তা (Zinc) মিশ্রণে তৈরি হয়।
পিতলের গঠন:
-
এতে সাধারণত ৬৫% তামা ও ৩৫% দস্তা থাকে।
-
মূল উপাদান হলো তামা, যা শতকরা ৬৫% উপস্থিত থাকে।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
ডিএনএ অণুর দ্বি-হেলিক্স কাঠামোর জনক কে?
Created: 2 months ago
A
স্যাংগার ও পলিং
B
ওয়াটসন ও ক্রিক
C
লুই পাস্তুর ও ওয়াটসন
D
পলিং ও ক্রিক
ডিএনএ অণুর ডাবল হেলিক্স কাঠামো
ডিএনএ হলো একটি নিউক্লিক এসিড, যা জীবদেহের গঠন ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনগত তথ্য বহন করে। ১৯৫৩ সালে, ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন এবং মার্কিন বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিক ডিএনএ অণুর ডাবল হেলিক্স (দ্বি-হেলিক্স) কাঠামো প্রথম বর্ণনা করেন। এজন্য তাদেরকে ডিএনএ অণুর ডাবল হেলিক্স কাঠামোর জনক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে এবং এই আবিষ্কারের জন্য তারা পরে নোবেল পুরস্কারও পান।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ডিএনএ অণুকে প্রথমবার ফ্রেডরিক মেসচার উপস্থাপন করেছিলেন।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
'Necessary evil' কোনটি?
Created: 1 month ago
A
প্রস্বেদন
B
অভিস্রবন
C
ব্যাপন
D
শোষণ
প্রস্বেদন (Transpiration) হলো উদ্ভিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ শারীরতত্ত্বীয় প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে উদ্ভিদ শোষিত পানির একটি অংশ বাষ্পাকারে পরিবেশে ছাড়ে। উদ্ভিদ মূল দিয়ে মূলত পানি শোষণ করে, শোষিত পানির খুব সামান্য অংশ ব্যবহৃত হয় উদ্ভিদের জৈবিক কার্যাবলির জন্য, এবং অবশিষ্ট পানি প্রধানত পাতা, কচিকাণ্ড, ফুল ও পাপড়ির বায়বীয় অংশ দিয়ে বাষ্পাকারে বের হয়। স্থলজ উদ্ভিদে এই প্রক্রিয়াকে প্রস্বেদন বা বাষ্পমোচন বলা হয়। প্রস্বেদনের মাধ্যমে পানি বের হওয়ার স্থান অনুযায়ী এটি তিন ভাগে বিভক্ত:
১. পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন (Stomatal transpiration)
-
পাতায়, কচিকাণ্ডে, ফুলের বৃতি ও পাপড়িতে দুটি রক্ষীকোষ (Guard cell) দ্বারা বেষ্টিত ছোট ছোট রন্ধ্র থাকে, যেগুলোকে পত্ররন্ধ্র (stoma/stomata) বলা হয়।
-
কোনো উদ্ভিদের মোট প্রস্বেদনের ৯০-৯৫% পানি এই পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে বের হয়।
২. কিউটিকুলার প্রস্বেদন (Cuticular transpiration)
-
উদ্ভিদের পাতা ও কাণ্ডের বহিঃত্বকে কিউটিনের আবরণ থাকে, যাকে কিউটিকল বলা হয়।
-
কিউটিকল ভেদ করে কিছু পানি বাষ্পাকারে বের হয়, যা কিউটিকুলার প্রস্বেদন নামে পরিচিত।
৩. লেন্টিকুলার প্রস্বেদন (Lenticular transpiration)
-
উদ্ভিদে গৌণ বৃদ্ধির কারণে কাণ্ডের বাকল ফেটে লেন্টিসেল নামক ছিদ্র তৈরি হয়।
-
লেন্টিসেলের ভিতরের কোষগুলো বিশেষভাবে সাজানো থাকে এবং এর মাধ্যমে কিছু পানি বাইরে বের হয়, যাকে লেন্টিকুলার প্রস্বেদন বলা হয়।
প্রস্বেদন একটি অতি প্রয়োজনীয় অমঙ্গল (Transpiration is a necessary evil)
-
প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদের কোষের বিপাকীয় কার্যক্রম (metabolic activities) সচল থাকে।
-
প্রস্বেদের ফলে জাইলেমবাহিকায় টান (tension in xylem) সৃষ্টি হয়, যা মূলরোম থেকে শোষিত পানি ও খনিজ লবণ পাতায় পরিবাহিত করতে সাহায্য করে।
-
এই টান না থাকলে পানি শোষণ কমে যায় এবং খাদ্য প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিপাকীয় প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে যায়।
-
প্রস্বেদনের মাধ্যমে পাতার মেসোফিলের ব্যাপন চাপ (turgor pressure) বজায় থাকে, যা পানি শোষণে সহায়তা করে।
-
উদ্ভিদ প্রস্বেদনের মাধ্যমে পাতার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, শোষিত তাপশক্তি হ্রাস করে কোষকে সহনীয় তাপমাত্রায় রাখে।
অপরদিকে, প্রস্বেদনের কিছু অপকারী দিকও আছে:
-
যদি প্রস্বেদনের মাধ্যমে পানি হারানোর হার বেশি হয়, তাহলে উদ্ভিদে পানি ও খনিজের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা উদ্ভিদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
-
মাটিতে পানি কম থাকলে শোষণ কম হবে, কিন্তু প্রস্বেদন পূর্বের মতো চলবে।
-
শীতকালে বহু উদ্ভিদ তার পাতা ঝরিয়ে দেয় যাতে অতিরিক্ত পানি হারানো কমানো যায়।
-
প্রস্বেদের অভাবে প্রয়োজনীয় ব্যাপন চাপ সৃষ্টি হবে না, ফলে অভিস্রবণ কমে যাবে।
এভাবে বলা যায়, প্রস্বেদন কিছু ক্ষতি সত্ত্বেও উদ্ভিদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণে এটি "প্রয়োজনীয় ক্ষতি" (Necessary Evil) হিসেবে বিবেচিত,
কারণ প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদকে টিকে থাকতে সাহায্য করে এবং বিবর্তনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া উদ্ভিদের জন্য লাভজনক হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago