পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কত সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়?
A
১৯৯৬ সালে
B
১৯৯৭ সালে
C
১৯৯৮ সালে
D
১৯৯৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) সংক্রান্ত তথ্য:
-
দারিদ্র্য বিমোচন বাংলাদেশে সর্বাধিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম।
-
সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় সংসদে গৃহীত আইনের মাধ্যমে পিডিবিএফ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
-
পিডিবিএফ হলো একটি সংবিধিবদ্ধ, স্ব-শাসিত, অমুনাফাকাঙ্ক্ষী, আত্মনির্ভরশীল, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
-
এর ভিত্তি ছিল আরডি-২ আরপিপি, আরডি-১২ প্রকল্প এবং পল্লী বিত্তহীন কর্মসূচী।
-
১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কানাডিয়ান সিডার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছিল।
-
সরকারী সেক্টরে এগুলোই প্রথম বিত্তহীন কল্যাণ প্রোগ্রাম, যা পরবর্তীতে পিডিবিএফ নামে স্বশাসিত স্থায়ী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়।
-
পিডিবিএফ ক্ষুদ্র ঋণ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ (SELP) পরিচালনা করে, যা গ্রামীণ বঞ্চিত মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি নিশ্চিত করে।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 4 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে কাস্টিং ভোট (Casting Vote) সম্পর্কে বলা হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
৭৬নং অনুচ্ছেদ
B
৭৫নং অনুচ্ছেদ
C
৭৮নং অনুচ্ছেদ
D
৭৭নং অনুচ্ছেদ
কাস্টিং ভোট হলো সংসদে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া, যা স্পীকারকে ভোটের সমান অবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা পালন করার সুযোগ দেয়। এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সংসদে কখনো কখনো কোন বিষয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটের সংখ্যা সমান হয়ে যেতে পারে।
-
এই অবস্থায় স্পীকার তার ভোট প্রয়োগ করে সংসদের অচলাবস্থা দূর করেন।
-
অন্যভাবে বলা যায়, কোনো বিলের ভোটাভুটিতে পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট পড়লে স্পীকার সভাপতি হিসেবে ভোট ব্যবহার করেন।
-
একে নির্ণায়ক ভোট বা কাস্টিং ভোট বলা হয়।
-
স্পীকার এই ভোট অন্য কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারবেন না।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ৭৫(১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
“উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে, তবে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপতি (স্পিকার) ভোটদান করবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক (casting) ভোট প্রদান করবেন।”
-
অন্য সংবিধানিক বিধানগুলো:
-
অনুচ্ছেদ ৭৬: সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ
-
অনুচ্ছেদ ৭৭: ন্যায়পাল
-
অনুচ্ছেদ ৭৮: সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি

0
Updated: 1 day ago
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
Created: 1 day ago
A
রাজনৈতিক দল গঠন
B
সরাসরি ক্ষমতা দখল
C
জনমত গঠন
D
সরকারি নীতি প্রভাবিত করা
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি সংগঠিত গোষ্ঠী, যা সরাসরি সরকারি ক্ষমতা দখল না করেও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে কাজ করে। এরা সাধারণত বিশেষ স্বার্থ রক্ষা ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংঘবদ্ধভাবে কার্যকর হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করা।
-
তারা সরকারি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে না, বরং নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় চাপ সৃষ্টি করে।
-
সাধারণত এই গোষ্ঠীগুলো নির্দিষ্ট সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় বা পেশাগত স্বার্থকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়।
-
তারা সংঘবদ্ধভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে।
-
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যালান বল, এইচ জিগলার ও অ্যালমন্ড-পাওয়েল এই গোষ্ঠীর সংজ্ঞায় একমত; এরা সংগঠিত এবং লক্ষ্য-সচেতন।
-
তাই বলা যায়, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য হলো নীতিনির্ধারক মহলে চাপ সৃষ্টি করে নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করা।

0
Updated: 1 day ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ ‘সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া’ সম্পর্কিত?
Created: 1 week ago
A
৬৭ (১) নং
B
৬৯ নং
C
৬৮ নং
D
৭০ (১) নং
সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হওয়ার শর্তাবলি
সংবিধানের ৬৭ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
কোনো সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হবে, যদি—
-
শপথ গ্রহণ না করলে: নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করতে এবং শপথপত্র/ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হন।
-
তবে শর্ত থাকে যে, এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথাযথ কারণে সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
-
-
অবিরাম অনুপস্থিত থাকলে: সংসদের অনুমতি ছাড়া একটানা নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন।
-
সংসদ ভেঙে গেলে।
-
অযোগ্য হলে: সংবিধানের ৬৬(২) দফার অধীনে অযোগ্য হয়ে পড়েন।
-
দলীয় সীমানা লঙ্ঘন করলে: সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সংবিধানের ৬৭ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
কোনো সংসদ-সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে নিজের পদ ত্যাগ করতে পারেন।
-
স্পিকার পত্রটি গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার আসন শূন্য হবে।
-
যদি স্পিকারের পদ শূন্য থাকে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হন, তবে ডেপুটি স্পিকার পত্রটি গ্রহণ করলে সেই মুহূর্ত থেকে সদস্যপদ শূন্য গণ্য হবে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 week ago