পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কত সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়?
A
১৯৯৬ সালে
B
১৯৯৭ সালে
C
১৯৯৮ সালে
D
১৯৯৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) সংক্রান্ত তথ্য:
-
দারিদ্র্য বিমোচন বাংলাদেশে সর্বাধিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম।
-
সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় সংসদে গৃহীত আইনের মাধ্যমে পিডিবিএফ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
-
পিডিবিএফ হলো একটি সংবিধিবদ্ধ, স্ব-শাসিত, অমুনাফাকাঙ্ক্ষী, আত্মনির্ভরশীল, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
-
এর ভিত্তি ছিল আরডি-২ আরপিপি, আরডি-১২ প্রকল্প এবং পল্লী বিত্তহীন কর্মসূচী।
-
১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কানাডিয়ান সিডার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছিল।
-
সরকারী সেক্টরে এগুলোই প্রথম বিত্তহীন কল্যাণ প্রোগ্রাম, যা পরবর্তীতে পিডিবিএফ নামে স্বশাসিত স্থায়ী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়।
-
পিডিবিএফ ক্ষুদ্র ঋণ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ (SELP) পরিচালনা করে, যা গ্রামীণ বঞ্চিত মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি নিশ্চিত করে।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ‘আফসার ব্যাটালিয়ন’ প্রধানত কোন অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল?
Created: 1 month ago
A
নোয়াখালী
B
রাজশাহী
C
ময়মনসিংহ
D
পাবনা
আঞ্চলিক মুক্তিবাহিনী – আফসার ব্যাটালিয়ন ও অন্যান্য বাহিনী
-
আফসার ব্যাটালিয়ন:
-
গঠিত: ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার মাল্লিকবাড়ী গ্রামে
-
নেতৃত্ব: মেজর আফসার উদ্দিন আহমদ
-
কার্যপরিধি: দক্ষিণ ময়মনসিংহের ভালুকা, ত্রিশাল, ফুলবাড়ীয়া, গফরগাঁও; টাঙ্গাইলের কালিহাতী, ঘাটাইল, সখিপুর; গাজীপুরের শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর
-
ভূমিকা: অনিয়মিত কিন্তু শক্তিশালী মুক্তিবাহিনী হিসেবে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
-
-
অন্যান্য আঞ্চলিক বাহিনী:
-
কাদেরিয়া বাহিনী – টাঙ্গাইল
-
বাতেন বাহিনী – টাঙ্গাইল
-
হেমায়েত বাহিনী – গোপালগঞ্জ ও বরিশাল
-
হালিম বাহিনী – মানিকগঞ্জ
-
আকবর বাহিনী – মাগুরা
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী – সিরাজগঞ্জ ও পাবনা
-
জিয়া বাহিনী – সুন্দরবন
-
-
ঢাকার গেরিলা দল:
-
পরিচিত: ‘ক্র্যাক প্লাটুন’
-
কার্যক্রম: ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো।
-
আফসার ব্যাটালিয়নসহ আঞ্চলিক বাহিনী ও ঢাকার গেরিলা দল মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর অবদান রেখেছিল।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হয়?
Created: 1 month ago
A
দ্বাদশ
B
ত্রয়োদশ
C
চতুর্দশ
D
পঞ্চদশ
২৭ মার্চ, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়।
-
১৯৯৬ সালের ২১ মার্চ জাতীয় সংসদে সংশোধনী বিলটি উপস্থাপিত হয়।
-
২৪ মার্চ আইন মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী বিলটি ১০ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
-
২৬ মার্চ বিলটি সংশোধনী আকারে সর্বসম্মতিক্রমে ২৬৯-০ ভোটে গৃহীত হয়।
-
সংশোধনীর মূল বিষয়সমূহ হলো:
১. জাতীয় সংসদ বিলোপের ১৫ দিনের মধ্যে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন।
২. প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধানমন্ত্রীর এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রদান।
৩. তত্ত্বাবধায়ক সরকার নীতি নির্ধারণী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না।
৪. যোগ্য প্রধান উপদেষ্টা না থাকলে প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ।
৬. সরকারের মেয়াদ হবে তিন মাস, এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পর তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। -
উচ্চ আদালতের আদেশে ২০১১ সালে এই সংশোধনীটি বাতিল করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কত সালে 'স্থানীয় শাসন অর্ডিন্যান্স' জারি হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৪ সালে
C
১৯৭৬ সালে
D
১৯৭৭ সালে
বাংলাদেশে স্থানীয় শাসন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ সালে জারি হয়। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নতুন রূপ প্রদান করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকারের গঠন ও নির্বাচনের পরিবর্তন ঘটেছিল।
-
১৯৭২ সালে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির ৭নং আদেশ অনুযায়ী সরকার বিদ্যমান সকল স্থানীয় সরকার কমিটি ভেঙে দেয়।
-
১৯৭৩ সালে নতুন করে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২২ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
১৯৭৬ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের সরকার নতুন স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ জারি করে। এতে তিন ধরনের গ্রামীণ স্থানীয় সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়: ইউনিয়ন পরিষদ, থানা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ।
-
এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেবলমাত্র ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও অপর ৯ জন সদস্য প্রাপ্তবয়স্কদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন।
-
থানা পরিষদ সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে। এখানে মহকুমা অফিসার (SDO) চেয়ারম্যান এবং সার্কেল অফিসার (SO) ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হবেন।
-
জেলা পরিষদ নির্বাচিত সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও মহিলা সদস্যদের দ্বারা গঠনের কথা থাকলেও এখানে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago