সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কোন বাজেট থেকে প্রণয়ন করে থাকে?
A
রাজস্ব বাজেট
B
অ-উন্নয়ন বাজেট
C
চলতি বাজেট
D
উন্নয়ন বাজেট
উত্তরের বিবরণ
মূলধন বাজেট বা উন্নয়ন বাজেট সংক্রান্ত তথ্য:
-
মূলধন বা উন্নয়ন বাজেট হলো সেই বাজেট যেখানে সরকারের মূলধন আয় ও ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়।
-
মূল লক্ষ্য: দেশের ও জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন।
-
সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন করে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় উৎস থেকে অর্থসংস্থান করে।
অর্থসংস্থানের উৎস:
-
অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস:
-
রাজস্ব উদ্বৃত্ত
-
বেসরকারি সঞ্চয়
-
ব্যাংক ঋণ
-
অতিরিক্ত কর ধার্য ইত্যাদি
-
-
বৈদেশিক আয়ের উৎস:
-
বৈদেশিক ঋণ
-
বৈদেশিক অনুদান
-
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ব্যয়কৃত খাতসমূহ:
-
কৃষি
-
শিল্প
-
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি
-
মহিলা ও যুব উন্নয়ন
-
পরিবহন ও যোগাযোগ
-
পল্লি উন্নয়ন ও গৃহায়ণ
সারসংক্ষেপ: মূলধন বাজেট দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 4 hours ago
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব কে ছিলেন?
Created: 3 days ago
A
কুর্ট ওয়াল্ডহেইম
B
উ থান্ট
C
ড. বুট্রোস বুট্রোস ঘালি
D
ট্রিগভেলী
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ
-
সম্পর্কের সূচনা: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে।
-
মহাসচিব: বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন কুর্ট ওয়াল্ডহেইম।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ:
-
১৯৭১ সালের এপ্রিল:
-
ভারত সরকার জাতিসংঘের কাছে শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করে।
-
তৎকালীন মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ডহেইম উদ্যোগী হন।
-
উ থান্ত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গণহত্যাকে মানব ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে ঘোষণা করেন।
-
-
১৯৭২ সালের আগস্ট:
-
৮ আগস্ট: বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ আবেদনের জন্য আবেদন জমা দেয়।
-
১১ আগস্ট: নিরাপত্তা পরিষদে বিবেচনার জন্য ২১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত।
-
২৩ আগস্ট: সদস্যপদ প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হয় (যুক্তরাজ্য, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুগোস্লাভিয়ার সমর্থন)।
-
২৫ আগস্ট: চীনের ভেটোর কারণে তখন বাংলাদেশ সদস্যপদ পায়নি।
-
-
১৯৭৪ সালের জুন:
-
পুনরায় আবেদন করা হয়।
-
১০ জুন: নিরাপত্তা পরিষদে সদস্যপদ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়; চীন ভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে।
-
১৭ সেপ্টেম্বর: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশের সদস্যপদ অনুমোদন করে।
-
ফলাফল: বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
মহাসচিব সংক্রান্ত তথ্য:
-
উ থান্ত (১৯৬১-১৯৭১): মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দায়িত্বে।
-
কুর্ট ওয়াল্ডহেইম (১৯৭২-১৯৮১): বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সময় দায়িত্বে।

0
Updated: 3 days ago
'দ্বিজাতি তত্ত্বের' প্রবক্তা কে?
Created: 1 day ago
A
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
B
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
C
এ.কে. ফজলুল হক
D
নওয়াব সলিমুল্লাহ
জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্ব (Two-Nation Theory)
-
সংজ্ঞা: জাতিতত্ত্বের বিশ্লেষণে একটি জনগোষ্ঠীকে তখনই জাতি বলা যায়, যার ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, মনন, কৃষ্টি, ধর্ম, এমনকি অর্থনীতি একটি একক সত্তায় পরিণতি লাভ করে।
-
জিন্নাহর ধারণা: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়কে দুটি পৃথক জাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। এ ভাবনাকেই বলা হয় দ্বিজাতি তত্ত্ব।
-
ঘোষণা:
-
জিন্নাহ ১৯৩৯ সালে দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষণা করেন।
-
পরবর্তী বছর, ১৯৪০ সালে লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে এরই প্রতিধ্বনি প্রকাশ পায়।
-
২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে লাহোর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
-
-
লাহোর প্রস্তাব: বাংলার নেতা ও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী এ.কে. ফজলুল হক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এতে বলা হয় যে, কোনো শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা ভারতে কার্যকর বা মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না যদি এটি একটি নিম্নবর্ণিত মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত না হয়।

0
Updated: 1 day ago
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
Created: 1 day ago
A
সেনাবাহিনী
B
রাজনৈতিক দল
C
বিচার বিভাগ
D
স্থানীয় সরকার
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি বহুদলীয় গণতন্ত্র, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান।
-
বিভিন্ন সময়ে একাধিক রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
-
স্বাধীনতার সূচনালগ্নেই দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
১৯৭৫-১৯৯১ সালে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা ছিল।
-
বাংলাদেশের আইনসভা জাতীয় সংসদ নামে পরিচিত এবং এটি এককক্ষ বিশিষ্ট।

0
Updated: 1 day ago