'কাবিখা' কোন ধরনের কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত?
A
কাজের প্রশিক্ষণ
B
টিকাদান কর্মসূচি
C
নিরক্ষরতা দূরীকরণ
D
দারিদ্র বিমোচন
উত্তরের বিবরণ
কাবিখা বা কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী (Food for Work) সংক্রান্ত তথ্য:
-
এটি দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচীর অংশ।
-
প্রেক্ষাপট: ১৯৭৪ সালে দেশব্যাপী চরম খাদ্যাভাব দেখা দিলে, বিশেষ করে খাদ্যশস্যের উচ্চমূল্য এবং গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের কারণে বৃহত্তর রংপুর জেলার মানুষ অনাহারের সম্মুখীন হলে সরকার এই কর্মসূচি চালু করে।
কর্মসূচীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ।
-
স্বাভাবিক অবস্থায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন।
-
গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
-
গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের আয় বৃদ্ধি।
-
দেশের সর্বত্র খাদ্য সরবরাহের ভারসাম্য আনা এবং দারিদ্র বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
NIPORT কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়?
Created: 1 month ago
A
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
B
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
C
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
D
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
NIPORT বা National Institute of Population Research and Training বাংলাদেশের একটি জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্যসংগ্রহ, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
প্রতিষ্ঠার বছর ও স্থান: ১৯৭৭ সালে ঢাকার আজিমপুরে প্রতিষ্ঠিত।
-
অধিদপ্তর: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত।
-
মূল কার্যক্রম:
-
জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি।
-
প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং জনসংখ্যা বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা।
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
অনুচ্ছেদ ২১
B
অনুচ্ছেদ ২৩(ক)
C
অনুচ্ছেদ ২৫
D
অনুচ্ছেদ ১৮(ক)
বাংলাদেশের সংবিধান – অনুচ্ছেদ ২৩(ক): ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও নৃগোষ্ঠী সংরক্ষণ
-
ধারা: “রাষ্ট্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
-
মূল বক্তব্য: রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের আঞ্চলিক সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য পদক্ষেপ নেবে।
অন্যান্য সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ১৮(ক): পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন।
-
অনুচ্ছেদ ২১: নাগরিক ও সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য।
-
অনুচ্ছেদ ২৫: আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন।
সংক্ষেপে, অনুচ্ছেদ ২৩(ক) মূলত দেশের নৃগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অধিকার ও ঐতিহ্য রক্ষার জন্য রাষ্ট্রের দায়িত্ব নির্ধারণ করে।
0
Updated: 1 month ago
ভাষা আন্দোলনে শহিদ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
আবুল বরকত
B
রফিক উদ্দিন আহমদ
C
আবদুল জব্বার
D
আব্দুস সালাম
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও বাঙালির জাতীয়তাবোধের উদ্ভব ঘটানোর ইতিহাসে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পুলিশের নৃশংসতার কারণে বহু শহীদ প্রমাণ হয়ে ওঠে সংগ্রামের তীব্রতা।
-
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দীন করাচি থেকে ঢাকায় আসেন।
-
তিনি পল্টন ময়দানে এক জনসভায় বলেন, প্রদেশের সরকারি কাজকর্মে কোন ভাষা ব্যবহৃত হবে তা প্রদেশের জনগণই ঠিক করবে, কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে কেবল উর্দু।
-
২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়, আবুল হাশিমের (১৯০৫–১৯৭৪) সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
-
২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাংশে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্রদের সভা হয়।
-
ছাত্ররা পাঁচ-সাতজন করে ছোট ছোট দলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগান নিয়ে রাস্তায় বের হয়।
-
পুলিশের গুলিতে শহীদ হন রফিক উদ্দিন আহমদ, আবদুল জব্বার, আবুল বরকত।
-
আবুল বরকত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ শ্রেণীর ছাত্র।
0
Updated: 1 month ago