বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশ্যে কোন শুল্ক ধার্য করা হয়?
A
ডাম্পিং শুল্ক
B
আবগারি শুল্ক
C
রপ্তানি শুল্ক
D
অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক
উত্তরের বিবরণ
আবগারি শুল্ক (Excise Duties) হলো দেশের ভেতরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর ধার্যকৃত কর।
মূল বিষয়সমূহ:
-
আবগারি শুল্কের উদ্দেশ্য:
-
রাজস্ব সংগ্রহ করা
-
বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করা
-
-
বাংলাদেশে প্রধানত নিম্নলিখিত দ্রব্যের উপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়:
-
চা
-
সিগারেট
-
চিনি
-
তামাক
-
কেরোসিন
-
ওষুধ
-
স্পিরিট
-
দিয়াশলাই
-
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
ওয়াহাবি আন্দোলনের সাথে কার নাম জড়িত?
Created: 1 month ago
A
মীর নিসার আলী
B
হাজী শরীয়তুল্লাহ
C
দুদু মিয়া
D
সৈয়দ আমীর আলী
ওয়াহাবি আন্দোলন পূর্ব ও পশ্চিম বাংলায় প্রায় একই সময়ে শুরু হওয়া দুটি ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের অংশ ছিল। পূর্ব বাংলায় এটি ফরায়েজি আন্দোলন নামে পরিচিত ছিল, আর পশ্চিম বাংলায় ওয়াহাবি বা ‘তারিক-ই-মুহম্মদীয়া’ নামে পরিচিত। ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীর, এবং এটি শেষ হয় ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে তিতুমীরের শাহাদাত বরণের মাধ্যমে।
-
উনিশ শতকে ভারতবর্ষে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার দূর করে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের সঠিক পথ নির্দেশ করাই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য।
-
বাংলার ওয়াহাবিরাও তিতুমীরের নেতৃত্বে একই উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়।
-
তিতুমীরের ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনে বহু মুসলমান, বিশেষ করে চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলার কৃষক ও তাঁতী, স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
-
১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে তিতুমীর তাঁর প্রধান ঘাটি স্থাপন করেন এবং ইতিহাস খ্যাত বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন।
-
গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় একটি সুদক্ষ লাঠিয়াল বাহিনী।
-
ইংরেজ জমিদার ও নীলকরদের দ্বারা শোষিত কৃষকরা তিতুমীরের বাহিনীতে যোগ দিলে ধর্ম সংস্কার আন্দোলন বৃহৎ কৃষক আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
শাসক-শোষক ও জমিদার শ্রেণি কৃষকদের সংঘবদ্ধতা এবং তিতুমীরের শক্তিতে শঙ্কিত হয়ে পড়ে।
-
মেজর স্কটের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী নারিকেলবাড়িয়ার বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করে। তিতুমীর ও তাঁর বাহিনী বীরত্বপূর্ণভাবে লড়াই করার পর পরাজিত হয় এবং তিতুমীর যুদ্ধে নিহত হন।
-
এভাবে একটি সুসংগঠিত কৃষক আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
’ছোট সোনামসজিদ’ কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
নওঁগা
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
বাগেরহাট
D
নাটোর
ছোট সোনামসজিদকে প্রায়শই ‘সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইতিহাস ও স্থাপত্যশৈলীর গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
-
প্রধান প্রবেশপথের উপরিভাগে একটি শিলালিপি আছে, যার মাধ্যমে জানা যায় মসজিদটি মজলিস-ই-মাজালিস মজলিস মনসুর ওয়ালী মুহম্মদ বিন আলী কর্তৃক নির্মিত। শিলালিপিতে সঠিক নির্মাণ তারিখের অক্ষরগুলো মুছে গেছে।
-
শিলালিপিতে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ-এর নামের উল্লেখ থাকায় বোঝা যায় এটি তাঁর রাজত্বকালের (১৪৯৪-১৫১৯) কোনো এক সময় নির্মিত।
-
মসজিদটি বিশাল এক দিঘির দক্ষিণপাড়ের পশ্চিম অংশে অবস্থিত।
-
মসজিদের কিছু দূর পশ্চিমে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত আধুনিক দ্বিতল গেষ্ট হাউস রয়েছে।
-
গেষ্ট হাউস ও মসজিদের মধ্য দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে একটি রাস্তা গেছে, যা মনে হয় প্রাচীনকালের কোতোয়ালী দরওয়াজা হয়ে দক্ষিণের শহরতলীর সঙ্গে গৌড়-লখনৌতের মূল শহরকে সংযুক্ত করত।
-
ছোট সোনামসজিদ শাহবাজপুর ইউনিয়ন, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-এ অবস্থিত।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে?
Created: 1 month ago
A
শিল্প মন্ত্রণালয়
B
অর্থ মন্ত্রণালয়
C
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
D
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনতা উত্তর ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে এ মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন পর্যায়ে পুনর্গঠন করা হয়।
-
১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দুটি বিভাগে বিভক্ত করা হয় – বাণিজ্য বিভাগ এবং বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগ
-
১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে: শিল্পের সঙ্গে একীভূত হয়ে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে; এ সময় বাণিজ্য বিভাগ, শিল্প বিভাগ এবং পাট বিভাগ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত হয়
-
১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে: পুনরায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপর অর্পিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিম্নলিখিত অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থা রয়েছে:
-
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
-
বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন
-
আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর
-
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
-
যৌথমূলধন কোম্পানী
0
Updated: 1 month ago