জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন গণনায় নিচের কোনটি পরিমাপ করা হয়?
A
শুধু দেশীয় নাগরিকদের আয়
B
চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার মূল্য
C
সরকারি ও বেসরকারি মোট আয়
D
প্রাথমিক দ্রব্য ও সেবার মূল্য
উত্তরের বিবরণ
মোট দেশজ উৎপাদন (Gross Domestic Product বা GDP) হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, সাধারণত এক বছরে, কোনো দেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে উৎপাদিত সমস্ত চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবার বাজার মূল্যের সমষ্টি।
মূল বিষয়সমূহ:
-
মোট দেশজ উৎপাদনে অন্তর্ভুক্ত: দেশের অভ্যন্তরীণ আয় এবং দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আয়।
-
মোট দেশজ উৎপাদনে অন্তর্ভুক্ত নয়: বিদেশে অবস্থানকারী দেশীয় নাগরিকদের প্রেরিত অর্থ।
-
অর্থাৎ, GDP = মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP) + উক্ত দেশে অবস্থানকারী বিদেশিদের অর্জিত আয় – বিদেশে অবস্থানকারী দেশীয় নাগরিকদের আয়।
সংজ্ঞা ব্যাখ্যা:
-
কোনো নির্দিষ্ট সময়ে দেশের ভেতরে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজার মূল্য এবং দেশের ভেতরে অবস্থানরত বিদেশিরা যে আয় অর্জন করেছে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
একই সময়ে বিদেশে অবস্থানরত দেশীয় নাগরিকদের আয় যা দেশে প্রেরিত হচ্ছে, তা বাদ দেয়া হয়।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
ওরাওঁ সমাজে গ্রামীণ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গঠিত সংগঠনের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
পাঁড়হা
B
পাঞ্চেস
C
নাইগাস
D
মহাতোষ
ওরাওঁ বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের একটি নৃগোষ্ঠী, যারা তাদের নিজস্ব ভাষা, সাংস্কৃতিক প্রথা ও সামাজিক সংগঠন বজায় রেখে বসবাস করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
বাসস্থান: বরেন্দ্র অঞ্চল, পাশাপাশি ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলায় ঐতিহাসিকভাবে বসতি।
-
ভাষা ও বর্ণমালা: ভাষার নাম কুরুক, বর্ণমালা নেই এবং সাহিত্য মৌখিক।
-
জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস: অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় ভাষাতাত্ত্বিক গোষ্ঠী।
-
গ্রাম সংগঠন: পাঞ্চেস, যা যাবতীয় বিবাদ মেটানো ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কার্যকর।
-
গ্রাম প্রশাসন:
-
একজন হেডম্যান বা মহাতোষ
-
একজন পুরোহিত বা নাইগাস
-
গ্রামে বয়স্ক সাত-আটজন ব্যক্তি দ্বারা পাঞ্চেস গঠিত হয়।
-
-
পাঞ্চেসের কার্যকাল: সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছর।
0
Updated: 1 month ago
মণিপুরী জাতিগোষ্ঠী প্রধানত বসবাস করে কোথায়?
Created: 1 month ago
A
কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি
B
সিলেট ও মৌলভীবাজার
C
পটুয়াখালী ও বরগুনা
D
দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও
মণিপুরী জাতিসত্তা মূলত ভারতের মণিপুর রাজ্যের বাসিন্দা, যারা বাংলাদেশের কিছু উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলায় বসবাস করে। এরা মঙ্গোলয়েড জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা, ধর্ম, পেশা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে।
-
অবস্থান: মূলত ভারতের মণিপুর রাজ্য; বাংলাদেশে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলায়।
-
অন্যান্য নাম: মেইতেই।
-
উৎপত্তি: মঙ্গোলয়েড জাতিগোষ্ঠী; প্রায় ১৭শ শতাব্দীতে মণিপুর থেকে সিলেট অঞ্চলে আগমন।
-
ভাষা: মণিপুরী বা মেইতেই লোন, তিব্বত-বর্মণ ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
-
ধর্ম: প্রধানত হিন্দু (বিশেষত বৈষ্ণব সম্প্রদায়), কিছু মণিপুরী মুসলিম (পাঙাল বা মণিপুরী মুসলমান)।
-
পেশা: কৃষিকাজ, তাঁতশিল্প (বিশেষত শাড়ি ও কাপড় বুনন), ক্ষুদ্র ব্যবসা।
-
সংস্কৃতি: মণিপুরী নৃত্য (বিশ্ববিখ্যাত শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলী) এবং নিজস্ব উৎসব যেমন রাস উৎসব।
0
Updated: 1 month ago
কোন নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশে বাস করে না?
Created: 1 month ago
A
কোচ
B
ডালু
C
চাক
D
নাগা
নাগা, কোচ, ডালু এবং চাক বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, যারা নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রথা ধরে রেখেছে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
নাগা:
-
নাগা নৃগোষ্ঠী মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে।
-
-
কোচ:
-
কোচ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার অঞ্চলের একটি প্রাচীন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ জেলার শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবর্দী উপজেলায় বসবাস করছে।
-
তাদের বিস্তৃতি মূলত আদিভূমি কোচবিহার থেকে এসেছে।
-
-
ডালু:
-
ডালু জাতি বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মূলত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে।
-
অনেকের ধারণা, তাদের আসল ভাষা হলো মণিপুরি।
-
-
চাক:
-
চাক বাংলাদেশের একটি উপজাতি, যারা বান্দরবান, চট্টগ্রামের চাক পাহাড় ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাস করে।
-
তারা নিজেদের ভাষা চাক ভাষা বলে পরিচিত।
-
চাক ভাষায় ‘চক’ শব্দের অর্থ হলো ‘দাঁড়ানো’।
-
0
Updated: 1 month ago