A
এর রণকৌশলগতা গুরুত্ব
B
এর ধর্মীয় ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্মৃতি
C
মুসলিম বিদ্বেষের প্রবণতা
D
আলেবেনীয়দের ঔদ্ধত্য
উত্তরের বিবরণ
কসোভো
- কসোভো ইউরোপের ভূমিবেষ্টিত ছোট্ট একটি দেশ।
- এর চারদিকে রয়েছে বলকানের চারটি দেশ: আলবেনিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া, মন্টেনিগ্রো এবং সার্বিয়া।
- এটি সার্বিয়ার উপনিবেশ ছিল।
- ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে স্বাধীন হয় কসোভো।
- রাজধানী: প্রিস্টিনা।
- প্রধান ভাষা: আলবেনীয় ও সার্বীয়।
- মুদ্রা: ইউরো।
⇒ ১৩৮৯ সালে কসোভো যুদ্ধের পর এখানে ইসলামের আগমন ঘটে।
- এরপর থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত তা অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল।
- বলকান যুদ্ধের পর, এটি সার্বিয়া এবং মন্টিনিগ্রোকে হস্তান্তর করা হয়।
- যুগোস্লাভিয়ার মধ্যে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশে পরিণত হয়।
- ১৯৯০-এর দশকে যুগোশ্লাভিয়া ভেঙ্গে যাবার পরপরই স্বাধীনতার ইচ্ছে প্রকাশ করে কসোভো।
- ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে স্বাধীন হয় কসোভো।
উল্লেখ্য,
- উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের সময় সার্বিয়ানদের বিরুদ্ধে বিখ্যাত কসোভো যুদ্ধ হয়। ১৪৫৫ সালে এই অঞ্চলটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। এখানকার আলবেনীয় জনগোষ্ঠীর ওপর ক্যাথলিক খ্রিষ্টানরা এতটাই করারোপ করেছিল যে, মানুষের জীবন যাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছিল। উসমানীয়দের বিজয়ের পর আলবেনীয় জনগোষ্ঠী একসাথে ইসলাম গ্রহণ করে। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো ৫০০ বছর উসমানীয় শাসনের অধীনে ছিল। এ সময় এ অঞ্চলে ইসলামের বিস্তার ঘটে। ফলে উসমানীয় ঐতিহ্যের প্রতিফলন পাওয়া যায় কসোভোতে।
- ২০০৮ সালে এস্বাধীন কসোভোকে স্বীকৃতি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বড় দেশগুলো। এ সময় সার্বিয়ার পেছনে এসে দাঁড়ায় রাশিয়া। রাশিয়ার মদদ পেয়ে সার্বিয়া রাজি হয় না কসোভোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে। কসোভোয় বসবাসকারী সার্বরাও কসোভোর স্বাধীনতা চায় না।
- ১৯৯০-এর দশকে যুগোশ্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পরপরই স্বাধীনতার ইচ্ছা প্রকাশ করে কসোভো। সার্বিয়া এর ‘জবাব’ দেয় কসোভোর আলবেনিয়ান জনগোষ্ঠীর ওপর নিষ্ঠুর হত্যা-দমন-পীড়ন চালিয়ে। ১৯৯৯ সালে ন্যাটোর সামরিক হস্তেেপ এই হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটে। কসোভো নগরীর সাথে সার্বীয়দের স্পর্শকাতর সম্পর্কের কারণ - এর ধর্মীয় ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্মৃতি।
উৎস: Britannica.

0
Updated: 4 weeks ago