বর্তমানে চা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশের নিবন্ধিত চা বাগানের সংখ্যা কয়টি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
A
১৬৫টি
B
১৬৮টি
C
১৭০টি
D
১৭২টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে চায়ের চাষাবাদ শুরু হয় ১৮৪০ সালে এবং ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত দেশে চা আবাদ সীমিত ছিল শুধুমাত্র দুইটি জেলায়। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে আরও চা বাগান তৈরি হয়। বাংলাদেশ চা বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ১৭০টি নিবন্ধিত চা বাগান রয়েছে।
-
বাংলাদেশে চা চাষের শুরু: ১৮৪০
-
প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান: ১৮৫৪, সিলেটের মালনিছড়া
-
স্বাধীনতার পূর্ব চা চাষের জেলা: সিলেট ('সুরমা ভ্যালি') ও চট্টগ্রাম ('হালদা ভ্যালি', বর্তমানে চট্টগ্রাম ভ্যালি)
-
পরবর্তীতে চা বাগান বৃদ্ধি: হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার
-
বর্তমানে নিবন্ধিত চা বাগান: ১৭০টি
-
সর্বাধিক চা বাগান: মৌলভীবাজার (৯০টি)

0
Updated: 6 hours ago
কৃষিক্ষেত্রে রবি মৌসুমের সময়কাল কোনটি?
Created: 6 hours ago
A
চৈত্র থেকে আষাঢ়
B
শ্রাবণ থেকে আশ্বিন
C
কার্তিক থেকে ফাল্গুন
D
জ্যৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র
বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনের জন্য পুরো বছরকে প্রধানত দুটি মৌসুমে ভাগ করা হয়, যেগুলো হলো রবি মৌসুম এবং খরিপ মৌসুম। এই মৌসুমগুলি বিভিন্ন ফসলের বপন ও উৎপাদনের সময় নির্ধারণ করে এবং কৃষিকাজকে সুষ্ঠুভাবে সংগঠিত করতে সহায়তা করে।
রবি মৌসুম:
-
শীতকালীন শস্যকে রবি শস্য বলা হয়।
-
এই মৌসুম চলে কার্তিক থেকে ফাল্গুন পর্যন্ত।
-
রবি শস্য সাধারণত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বপন করা হয়।
-
ফসল তোলার সময় ফেব্রুয়ারি ও মার্চ।
-
এই মৌসুমের প্রধান শস্যগুলো হলো: বোরো ধান, গম, মসুর ডাল, যব, সরিষা, পেঁয়াজ, মটরশুঁটি।
-
এছাড়া অন্যান্য শাকসবজি ও ফলনশীল ফসল যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, শিম, টমেটো, আলুও এই মৌসুমে চাষ করা হয়।
খরিপ মৌসুম:
-
গ্রীষ্মকালীন শস্যকে খরিপ শস্য বলা হয়।
-
খরিপ মৌসুম চলে চৈত্র থেকে আষাঢ় এবং শ্রাবণ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত।
-
এটি সাধারণত খরিফ-১ ও খরিফ-২ নামে দুটি ভাগে বিভক্ত।
-
এই মৌসুমের ফসলগুলোর মধ্যে রয়েছে: আউশ ধান, পাট, কাউন, ভুট্টা, তিল, মিষ্টিকুমড়া, কচু, ঝিঙ্গা, আমন ধান, মাষকলাই এবং বর্ষাকালীন সবজি।

0
Updated: 6 hours ago
বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিপণ্য কোনটি?
Created: 6 hours ago
A
ইক্ষু
B
চা
C
পাট
D
তামাক
অর্থকরী ফসল
-
সংজ্ঞা: যেসব কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা হয়, সেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলা হয়।
-
বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিপণ্য: পাট, চা ও তামাক।
-
অন্য অর্থকরী ফসলসমূহ: আখ বা ইক্ষু, তুলা, রাবার ইত্যাদি।
পাট
-
পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল।
-
পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
-
উৎপাদন পরিসংখ্যান (কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ – ২০২৪ অনুযায়ী):
-
মোট পাট উৎপাদন: ৯৫,৮১,৫৮০ বেল
-
সর্বাধিক উৎপাদন: ফরিদপুর জেলা
-
-
পাট চাষ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এবং এটি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎস।

0
Updated: 6 hours ago
বাংলাদেশের কৃষিতে 'দোয়েল'-
Created: 1 month ago
A
জাতীয় পাখির নাম
B
কৃষি সংস্থার নাম
C
উন্নত জাতের গমের নাম
D
কৃষি যন্ত্রের নাম
বাংলাদেশে বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (BARI) বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। এগুলো বাংলাদেশের কৃষকদের উচ্চ ফলন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রধান ফসল ও তাদের উন্নত জাতগুলো হলো:
-
গম: সোনালিকা, বলাকা, দোয়েল, অগ্রণী, আনন্দ, কাঞ্চন, শতাব্দী, আকবর
-
ধান: ইরাটম, ব্রি হাইব্রিড-১, চান্দিনা, হীরা, মালা, বিপ্লব, দুলাভোগ, মোহিনী, সুফলা, আশা, প্রগতি
-
তামাক: সুমাত্রা, ম্যানিলা
-
ভুট্টা: বর্ণালী, শুভ্রা, উত্তরণ
-
আম: মহানন্দা, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হাড়িভাঙ্গা, ক্ষীরসাপাতি, মোহনভোগ
-
টমেটো: বাহার, মানিক, রতন, অপূর্ব, মিন্টো, ঝুমকা, সিঁদুর, শ্রাবণী
-
মরিচ: যমুনা
-
বেগুন: শুকতারা, নয়নতারা, তারাপুরী, ইসলামপুরী, কাজলা, বিজয়, মুক্তকেশী, ঝুমকো
-
আলু: হিরা, আইলসা, পেট্রোনিস, মুল্টা, ডায়ামন্ট, কার্ডিনাল, মন্ডিয়াল, কুফরী সিন্দুরী, চমক, ধীরা, গ্রানোলা, ক্লিওপেট্রা, চিনেলা
-
তুলা: সিবি-১০, রূপালী, ডেলফোজ
উৎস: [কৃষি তথ্য সার্ভিস]

0
Updated: 1 month ago