দক্ষিণ এশিয়ার কততম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ 'UN Water Convention'- এ যুক্ত হয়েছে?
A
১ম
B
২য়
C
৩য়
D
৪র্থ
উত্তরের বিবরণ
UN Water Convention এবং বাংলাদেশ
-
যোগদান: ২০২৫ সালের ২০ জুন বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে UN Water Convention-এ যোগ দিয়েছে।
-
বিশেষত্ব: বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বে ৫৬তম দেশ হিসেবে এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হলো।
-
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
-
১৯৯২ সালে প্রণীত জাতিসংঘ পানি কনভেনশন (Convention on the Protection and Use of Transboundary Watercourses and International Lakes) আন্তর্জাতিকভাবে সীমান্তবর্তী নদী ও হ্রদের ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট পানি সংকট মোকাবেলায় কাঠামো প্রদান করে।
-
২০০০ সালে এটি কার্যকর হয়।
-
-
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ:
-
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে এই কনভেনশনের সঙ্গে যুক্ত।
-
২০২৪ সালে স্লোভেনিয়ায় অনুষ্ঠিত দশম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে।
-
-
মূল উদ্দেশ্য:
-
সীমান্তবর্তী নদী ও হ্রদের যৌথ ব্যবস্থাপনা।
-
পানির ন্যায্য ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট পানি সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।
-

0
Updated: 6 hours ago
বাংলায় সেন বংশের (১০৭০-১২৩০ খ্রিষ্টাব্দ) শেষ শাসনকর্তা কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
হেমন্ত সেন
B
বল্লাল সেন
C
লক্ষণ সেন
D
কেশব সেন
বাংলায় সেন বংশের শাসন
শুরু: পাল বংশের পতনের পর দ্বাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাংলায় সেন রাজবংশের উদ্ভব ঘটে।
প্রতিষ্ঠাতা: এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন হেমন্ত সেন, যিনি সামন্ত সেনের পুত্র ছিলেন।
শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। তাঁর আমলে সেন রাজবংশ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলায় একটি শক্তিশালী রাজশক্তি গড়ে ওঠে।
শেষ উল্লেখযোগ্য রাজা: লক্ষ্মণ সেন। ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে তিনি প্রতিরোধ না করে বিক্রমপুরে সরে আসেন এবং সেখানেই প্রায় ২/৩ বছর রাজত্ব চালান।
লক্ষ্মণ সেনের পরবর্তী শাসন:
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর (১২০৫/০৬ খ্রিস্টাব্দ) পর তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন সিংহাসনে বসেন। তাঁদের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, তাঁরা বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৫ বছর শাসন চালান।
কেশব সেন:
কেশব সেনের রাজত্বকাল ছিল ১২২৫ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এর পরে সেন রাজবংশ বাংলায় আর কোনো শাসন চালিয়েছে—এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
মূল বিষয়
-
সাধারণত বাংলার শেষ রাজা হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের নাম উল্লেখ করা হয়।
-
কিন্তু ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী সেন বংশ লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পরও কিছুদিন টিকে ছিল।
-
এ কারণে সেন বংশের শেষ শাসক হিসেবে কেশব সেনকেই ধরা হয় (১২২৫–১২৩০ খ্রি.)।
উৎসঃ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 1 week ago
খরা সহিষ্ণু ধানের জাত কোনটি?
Created: 4 days ago
A
ব্রি ধান ৫১
B
ব্রি ধান ৫২
C
ব্রি ধান ৫৫
D
ব্রি ধান ৭৯
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত জাত:
- জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত হলো: ব্রি ধান ৬২ , ব্রি ধান ৬৪, ব্রি ধান ৭২, ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ধান ৮৪।
- খরা সহিষ্ণু ধানের জাত সমূহ হলো: ব্রি ধান ৪৩, ব্রি ধান ৫৫, ব্রি ধান ৫৬, ব্রি ধান ৫৭, ব্রি ধান ৬৬, ব্রি ধান ৭১ ও ব্রি ধান ৮৩।
- এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধানের জাত: বিআর ৫।
- লো জিআই বা নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স গুণ সম্পন্ন ধানের জাত: বিআর ১৬, ব্রি ধান ৪৬, ব্রি ধান ৬৯।
- জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের জাত: ব্রি ধান ৫১, ব্রি ধান ৫২, ব্রি ধান ৭৯।

0
Updated: 4 days ago
কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট কণিষ্কের রাজধানী ছিল কোনটি?
পুরুষপুর
Created: 4 days ago
A
পুরুষপুর
B
মথুরা
C
তক্ষশিলা
D
উজ্জয়িনী
কুষাণ যুগ (৩০ খ্রিস্টপূর্ব – ৩য় শতক)
কুষাণদের পরিচয়
-
কুষাণরা ছিল ইউ-চি জাতির একটি শাখা।
-
ইউ-চির পাঁচটি শাখা ঐক্যবদ্ধ করে কুজলা কদফিসেস কুষাণ সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
তিনি কাবুল, সোমায়ার, কাশ্মির দখল করেন।
কদফিসেস বংশ
-
কুজলা কদফিসেসের পুত্র বিম কদফিসেস → তাঁর সাম্রাজ্য তুর্কিস্থান থেকে সিন্ধু উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
সম্রাট কণিষ্ক (৭৮ খ্রিস্টাব্দ – ১০১ খ্রিস্টাব্দ)
-
কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট।
-
৭৮ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং একটি অব্দ চালু করেন → পরবর্তীতে এটি শকাব্দ নামে পরিচিত হয়।
-
রাজধানী: পুরুষপুর (বর্তমান পেশোয়ার)।
-
সাম্রাজ্য বিস্তার:
-
পশ্চিমে পেশোয়ার থেকে পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ,
-
উত্তরে কাশ্মির থেকে দক্ষিণে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত।
-
ভারতের বাইরে আফগানিস্তান ও সোভিয়েত তুর্কিস্থানের অংশ।
-
-
প্রশাসন → বিশাল সাম্রাজ্যকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করে কর্মকর্তাদের দ্বারা শাসন।
-
ধর্ম: তাঁর আমলে বৌদ্ধধর্ম → হীনযান ও মহাযান এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়।
-
মৃত্যু: ২৩ বছর রাজত্বের পর ১০১ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ।

0
Updated: 4 days ago