স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম সাঁতারু হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন কে?
A
ব্রজেন দাস
B
মোশাররফ হোসেন
C
মোহন দাস
D
আবদুল মালেক
উত্তরের বিবরণ
ইংলিশ চ্যানেল
তথ্যগুলো হলো:
-
অবস্থান: আটলান্টিক মহাসাগরের একটি অংশ, যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ অংশকে ফ্রান্সের উত্তর অংশ থেকে আলাদা করেছে।
-
মাপ: দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬০ কিলোমিটার; প্রস্থ সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার।
-
সাঁতার কাটা: ইতিহাসে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ম্যারাথন হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
ব্রজেন দাস: প্রথম দক্ষিণ এশীয় ব্যক্তি যিনি ১৯৫৮ সালের ১৮ আগস্ট ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। তিনি মোট ৬ বার চ্যানেল পার হন।
-
মোশাররফ হোসেন: স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম সাঁতারু হিসেবে ১৯৮৮ সালে মুন্সিগঞ্জের এই সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন।

0
Updated: 6 hours ago
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা -
Created: 4 days ago
A
ওয়াজির
B
সুবাহদার
C
ফৌজদার
D
শিকদার
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
- মুঘল শাসনব্যবস্থা এক-কেন্দ্রিক ও স্বৈরতন্ত্রী হলেও জনকল্যাণকামী ছিল।
- এই শাসনব্যবস্থা ছিল প্রধানত সামরিক শক্তি নির্ভর।
- একমাত্র সদর ও কাজী ছাড়া অন্যসব কর্মচারিকে সামরিক দায়িত্ব পালন করতে হত।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি রচিত হয় তুর্কি-পারস্য শাসন ব্যবস্থার অনুকরণে।
- মুঘলরা একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থানীয় প্রাদেশিক শাসন কাঠামোও গড়ে তুলেছিল।
- মুঘল শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার উৎস ছিলেন 'পাদশাহ' বা সম্রাট।
- তিনি একাধারে রাষ্ট্রীয় প্রধান, সামরিক প্রধান এবং প্রধান বিচারক হিসেবে রাজ্য পরিচালনা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতেন।
- সম্রাটের পরই প্রধানমন্ত্রী বা ওয়াজিরের স্থান ছিল।
- বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের সুষ্ঠু শাসনের জন্য সমগ্র সাম্রাজ্যকে কতগুলো 'সুবাহ' বা প্রদেশে ভাগ করা হয়েছিল।
- সুবাহদার ছিলেন সুবাহর প্রধান কর্ম নির্বাহক।
- মুঘল আমলে প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি সরকার বা জেলায় এবং প্রতিটি সরকার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত ছিল।
- ফৌজদার ছিলেন সরকারের প্রধান নির্বাহীকর্তা।
- শিকদার ছিলেন পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা।

0
Updated: 4 days ago
বাংলাদেশে প্রথম নারী শিক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কে?
Created: 4 days ago
A
রেহানা পারভীন
B
ফারহানা হোসেন
C
আফরোজা রহমান
D
নাজমা আক্তার
নারী শিক্ষা সচিব:
- বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী শিক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রেহানা পারভীন।
- তিনি ১৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
- এর আগে তিনি জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
- এছাড়া, তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা।
- শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে দুটি বিভাগে বিভক্ত হওয়ার পর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে সাতজন সচিব দায়িত্ব পালন করেছেন, কিন্তু তাদের কেউই নারী ছিলেন না।
- রেহানা পারভীনের নিয়োগের মাধ্যমে নারী নেতৃত্বের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপিত হলো।

0
Updated: 4 days ago
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে 'কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড' অর্জন করেন কে?
Created: 6 hours ago
A
ফজলে হাসান আবেদ
B
রেজওয়ানা চৌধুরী
C
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
D
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
কিং তৃতীয় চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫
তথ্যগুলো হলো:
-
অ্যাওয়ার্ড পরিচিতি: ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার, যা প্রতি বছর পরিবেশ রক্ষা, ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প দক্ষতা, পরিবেশবান্ধব ব্যবসা এবং প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যক্তির উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়।
-
বাংলাদেশি অর্জন: প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালে এই সম্মানজনক পুরস্কার পান।
-
মনোনয়ন কারণ: বিশ্বব্যাপী শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানুষের ও প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠায় অবদান।
-
পুরস্কার প্রদান: ১২ জুন ২০২৫, দ্য কিংস ফাউন্ডেশন, সেন্ট জেমস’স প্যালেস, লন্ডন থেকে তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত ১৯৯০ সালে, তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলসের উদ্যোগে।
-
নতুন এই পুরস্কার ২০২৪ সালের জুনে রাজা চার্লস কর্তৃক প্রবর্তিত হয়, প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপনের উদযাপনের উদ্দেশ্যে।
-
প্রথম বিজয়ী ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি–মুন।
অর্থাৎ, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রতীক।

0
Updated: 6 hours ago