কোন চুক্তি অনুসারে বসনিয়া সংকট সমাধানের পথ সুগম হয়েছিল?
A
জেনেভা চুক্তি
B
মাদ্রিদ চুক্তি
C
ডেটন চুক্তি
D
প্যারিস চুক্তি
উত্তরের বিবরণ
ডেটন চুক্তি: বসনিয়া সংকট সমাধানের এক ঐতিহাসিক বাঁক
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে শান্তির পথ সুগম করেছিল একটি ঐতিহাসিক চুক্তি—ডেটন চুক্তি (Dayton Agreement)। এর আনুষ্ঠানিক নাম ছিল The General Framework Agreement for Peace in Bosnia and Herzegovina। এটি ছিল একটি আন্তর্জাতিক শান্তিচুক্তি, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত বসনিয়াকে একটি স্থায়ী গঠনমূলক কাঠামো প্রদান করেছিল।
এই চুক্তির রূপদানে মূল ভূমিকা পালন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শান্তি দূত রিচার্ড হলব্রুক, যিনি কঠিন কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে প্রতিপক্ষ পক্ষগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম হন। ১৯৯৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর, ফ্রান্সের প্যারিস শহরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে সই করেন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট এলিজা আইজেবগোভিচ, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফ্রানজো তুজমান এবং সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচ—যিনি পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ান।
চুক্তির প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সক্রিয় মধ্যস্থতা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ডেটন চুক্তির মাধ্যমে বসনিয়া সংকটের একটি কাঠামোগত ও রাজনৈতিক সমাধান নির্ধারিত হয়, যা দেশটির সার্বভৌমত্ব ও সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনে সহায়তা করে। এতে বসনিয়াকে দুটি প্রধান প্রশাসনিক এককে বিভক্ত করা হয়—ফেডারেশন অব বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা এবং রিপাবলিকা স্রপস্কা।
চুক্তিটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে OSCE (Organization for Security and Co-operation in Europe) ও জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি আজও আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: i) OSCE.org ii) Britannica.

0
Updated: 2 months ago
তাসখন্দ চুক্তি কখন স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 3 months ago
A
১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর
B
১৯৬৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর
C
১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি
D
১৯৬৭ সালের ৩০ জানুয়ারি
তাসখন্দ চুক্তি (১৯৬৬)
-
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সমাপ্তির পথ তৈরি করে তাসখন্দ চুক্তি।
-
চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ১০ জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে।
-
এই চুক্তির পক্ষ ছিল ভারত ও পাকিস্তান।
-
ভারতের হয়ে স্বাক্ষর করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, এবং পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান।
-
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী নিকলাই কোসিগিন।
-
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীর সমস্যার কারণে উদ্ভূত যুদ্ধ বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
উৎস: Britannica

0
Updated: 3 months ago
সম্প্রতি অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ নামে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কোন দুটি দেশ?
Created: 2 days ago
A
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো
B
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স
C
স্পেন, মরক্কো
D
ইতালি, গ্রিস
ফ্রান্স-যুক্তরাজ্যের ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তি
-
লক্ষ্য: অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ।
-
চুক্তি অনুযায়ী ফ্রান্সের উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়ার চেষ্টা করা প্রত্যেক অনিয়মিত অভিবাসীকে যুক্তরাজ্য আটক করে ফেরত পাঠাবে।
-
বিনিময়ে, ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমান সংখ্যক অভিবাসীকে ফ্রান্স থেকে নিয়মিত পথে যুক্তরাজ্যে আসার সুযোগ দেওয়া হবে।

0
Updated: 2 days ago
যুক্তরাষ্ট্র কবে এককভাবে ABM (Anti-Ballistic Missile) চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে?
Created: 3 weeks ago
A
জুন ২০০১
B
জুন ২০০০
C
জুন ২০০২
D
জুন ২০০৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ABM চুক্তি থেকে প্রত্যাহার
যুক্তরাষ্ট্র জুন ২০০২ সালে এককভাবে ABM (Anti-Ballistic Missile) চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে।
ABM Treaty (Anti-Ballistic Missile Treaty) সংক্রান্ত মূল তথ্য:
-
পূর্ণরূপ: Anti-Ballistic Missile Treaty।
-
ধরন: ক্ষেপণাস্ত্র সীমিতকরণের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি।
-
সংশ্লিষ্ট দেশ: যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।
-
বিকল্প নাম: Treaty on the Limitation of Anti-Ballistic Missile Systems।
-
চুক্তি স্বাক্ষর: ২৬ মে, ১৯৭২, মস্কো, রাশিয়া।
-
চুক্তি কার্যকর: ৩ অক্টোবর, ১৯৭২।
-
মূল উদ্দেশ্য: দ্বিপাক্ষিক অস্ত্র সীমিতকরণ।
-
চুক্তি বাতিলের তারিখ: ১৩ জুন, ২০০২।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
১৩ ডিসেম্বর, ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
-
ছয় মাস পরে, জুন ২০০২-এ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় এবং চুক্তি বাতিল ঘোষণা করা হয়।
উৎস: Arms Control Association ওয়েবসাইট

0
Updated: 3 weeks ago