ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত মৌলিক রচনা-
A
শকুন্তলা
B
ভ্রান্তিবিলাস
C
ব্রজবিলাস
D
সীতার বনবাস
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০, মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রাম
-
পৈতৃক পদবি: বন্দ্যোপাধ্যায়
-
স্বাক্ষর: ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা
-
১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে বিদ্যাসাগর উপাধি প্রদান করে
-
বাংলা গদ্যের জনক; প্রথম যতি/বিরামচিহ্ন স্থাপনকারী
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতাল পঞ্চবিংশতি
-
বাংলা ভাষায় প্রথম মৌলিক গদ্য: প্রভাবতী সম্ভাষণ
-
ব্যাকরণগ্রন্থ: ব্যাকরণ কৌমুদী
-
মৃত্যু: ২৯ জুলাই ১৮৯১
বিখ্যাত গ্রন্থ:
-
নাটক: শকুন্তলা, সীতার বনবাস, ভ্রান্তিবিলাস
-
মৌলিক রচনা: অতি অল্প হইল, আবার অতি অল্প হইল, ব্রজবিলাস, বিধবা বিবাহ, যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা, রত্ন পরীক্ষা
-
শিক্ষামূলক গ্রন্থ: আখ্যান মঞ্জরী, বোধোদয়, বর্ণপরিচয়, কথামালা
0
Updated: 1 month ago
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক কোন উপন্যাসের মধ্য দিয়ে মুসলমান সমাজের বেদনাঘন চিত্র অঙ্কন করেছেন?
Created: 1 month ago
A
আনোয়ারা
B
জোহরা
C
আবদুল্লাহ
D
গরীবের মেয়ে
‘জোহরা’ উপন্যাস
-
রচয়িতা: মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক
-
উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি মুসলমান সমাজের বেদনাঘন চিত্র অঙ্কন করেছেন।
-
উপন্যাসে দেখা যায়, কন্যার মতামত অগ্রাহ্য করে আত্মীয়স্বজনেরা মেয়েদের জন্য বিয়ে ঠিক করলে তাদের জীবনে যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, সেটিই মূল উপজীব্য।
-
এটি আমলের মুসলমান সমাজের অন্যায় ও অনাচার ফুটিয়ে তোলে।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
‘গরীবের মেয়ে’
-
রচয়িতা: মোহাম্মদ নজিবর রহমান
-
এটি একটি জনপ্রিয় উপন্যাস।
‘আনোয়ারা’ (১৯১৪)
-
রচয়িতা: মোহাম্মদ নজিবর রহমান
-
এটি তাঁর প্রথম ও জনপ্রিয় উপন্যাস।
-
উপন্যাসে মধ্যবিত্ত বিকাশের চিত্র ফুটে উঠেছে।
‘আবদুল্লাহ’ (১৯৩৩)
-
রচয়িতা: কাজী ইমদাদুল হক
-
লেখকের মৃত্যুর পর কাজী আনোয়ারুল কাদির অসমাপ্ত খসড়া ব্যবহার করে উপন্যাসটি সম্পন্ন করেন।
-
উপন্যাসে চিত্রিত হয়েছে গ্রামীণ মুসলিম সমাজের পিরভক্তি, ধর্মীয় কুসংস্কার, পর্দাপ্রথা ও সম্প্রদায়বিদ্বেষের বিরুদ্ধে মানবতাবাদী প্রতিবাদ।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
নওয়াব ফয়জুন্নেসার রচিত ‘রূপজালাল’ গ্রন্থটি কী ধরনের রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
নাটক
B
ঐতিহাসিক উপন্যাস
C
আত্মজীবনীমূলক রচনা
D
কাব্যগ্রন্থ
বাংলা সমাজে নারীশিক্ষা ও সমাজকল্যাণে অসাধারণ ভূমিকা রেখে গেছেন নওয়াব ফয়জুন্নেসা। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম নারী যিনি ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত হন। সাহিত্য, সমাজসেবা ও নারীজাগরণে তাঁর অবদান উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সমাজে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছিলেন একজন জমিদার, নারীশিক্ষার প্রবর্তক, সমাজসেবক ও কবি।
-
তিনি ১৮৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
জমিদারি লাভের আগেই তিনি সমাজকল্যাণ ও দরিদ্রজনের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
-
তাঁর জনহিতৈষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৮৯ সালে মহারানী ভিক্টোরিয়া তাঁকে ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা কোনো বাংলা নারীর জন্য প্রথম ঘটনা।
-
‘বান্ধব’, ‘ঢাকা প্রকাশ’, ‘মুসলমান বন্ধু’, ‘সুধাকর’ ও ‘ইসলাম প্রচারক’ প্রভৃতি বাংলা পত্রিকা তাঁর আর্থিক সহায়তা পেত।
-
তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যিক নারী, যার রচনা সমাজবাস্তবতা ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘রূপজালাল’ (১৮৭৬) — গদ্য ও পদ্য মিলিত একটি রূপকধর্মী আত্মজীবনীমূলক কাব্য, যেখানে তিনি তাঁর বিড়ম্বিত দাম্পত্য জীবনের করুণ কাহিনি তুলে ধরেছেন।
-
এছাড়া তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সঙ্গীতসার’ ও ‘সঙ্গীতলহরী’।
-
তিনি ১৯০৩ সালে স্বগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত হন।
-
তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সালে তাঁকে (মরণোত্তর) একুশে পদক প্রদান করা হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
প্রমথ চৌধুরী কোন পত্রিকা সম্পাদনা করতেন?
Created: 1 month ago
A
ভারতী
B
সবুজপত্র
C
সমকাল
D
বঙ্গদর্শন
প্রমথ চৌধুরী সবুজপত্র পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
প্রমথ চৌধুরী:
- প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
- তিনি বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের তুলনামূলক গবেষণা করেছেন।
- বাংলা গদ্যে চলিত রীতি প্রবর্তন এবং বিদ্রূপাত্মক প্রবন্ধ রচনায় তিনি বিশেষ খ্যাত।
- প্রমথ চৌধুরী প্রথম গদ্য ও প্রবন্ধে চলিত রীতির ব্যবহার করেন।
- তিনি বাংলা কাব্য সাহিত্যে প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
- ১৯১৪ সালে তিনি মাসিক ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
- ১৯৪৬ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে মৃত্যুবরণ করেন।
0
Updated: 1 month ago