কোন গ্রন্থটি সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনা নয়?
A
টুনি মেম
B
তুলনাহীনা
C
পথে প্রবাসে
D
অবিশ্বাস্য
উত্তরের বিবরণ
পথে প্রবাসে গ্রন্থের রচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলী নয়, এটি অন্নদাশঙ্কর রায় রচিত।
সৈয়দ মুজতবা আলী
-
জন্ম: ১৯০৪
-
ভূমিকা লিখেছেন: কাজী নজরুল ইসলামের রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: দেশে বিদেশে (ভ্রমণ কাহিনি; আফগানিস্তানের কাবুল শহর নিয়ে লেখা)
-
ছদ্মনাম: প্রিয়দর্শী, ওমর খৈয়াম, মুসাফির, সত্য পীর
রচিত গ্রন্থসমূহ:
-
উপন্যাস: অবিশ্বাস্য, শবনম, তুলনাহীনা
-
রম্য রচনা: পঞ্চতন্ত্র, ময়ূরকণ্ঠী
-
ছোটগল্প: চাচা-কাহিনী, টুনি মেম

0
Updated: 21 hours ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা কোন ছন্দের নব-রূপায়ণ?
Created: 2 weeks ago
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
গৈরিশ ছন্দ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
-
জন্ম: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদ তীরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে।
-
একজন মহাকবি ও নাট্যকার।
-
বাংলায় সনেট প্রবর্তক এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ:
-
বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ, যার উচ্চারণ স্বাভাবিক ও গদ্যভঙ্গির অনুসারী।
-
এটি তানপ্রধান ছন্দ, শ্বাসাঘাত নয়।
-
তান হলো স্বরধ্বনি বা সাধারণ উচ্চারণের অতিরিক্ত টান, যা দীর্ঘ পর্বের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
সাধারণত ৮/৬ বা ৮/১০ মাত্রার সর্বাধিক দীর্ঘ পর্বে রচিত হয়।
-
উনিশ শতকে মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করে এ ছন্দের সুরমুক্তি ঘটান।
-
অর্থাৎ, অমিত্রাক্ষর ছন্দ হলো বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব সংস্করণ।
-
-
এ ছন্দ বাংলা সাহিত্যের চিরায়ত কাব্যসমূহকে শ্রেষ্ঠ ছন্দে রূপায়ণ করেছে।
-
মহাপয়ার: পয়ার ছন্দের একটি বিবর্ধিত রূপ, যেখানে পয়ারের ৬ মাত্রার অন্ত্যপর্বের পরিবর্তে ১০ মাত্রা হয়।
সুতরাং, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে কাব্যরীতি ও ছন্দের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারক।

0
Updated: 2 weeks ago
১) মঙ্গলকাব্যের কবি নয় কে?
Created: 1 month ago
A
ঘনরাম চক্রবর্তী
B
জয়দেব
C
দ্বিজমাধম
D
মানিক দত্ত
মঙ্গলকাব্য
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনিকাব্য হিসেবে মঙ্গলকাব্যকে ধরা হয়। এটি দেবমাহাত্ম্য ও সমাজচিত্রভিত্তিক কাব্যের এক গুরুত্বপূর্ণ ধারা। ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতক থেকে আঠারো শতকের শেষ পর্যন্ত এই ধরনের কাব্য রচিত হয়েছে।
প্রায় সব মঙ্গলকাব্যের কবিই স্বপ্নে দেবতাদের নির্দেশ পেয়ে কাব্য রচনা করেছেন। মঙ্গলকাব্যের তিনটি প্রধান শাখা হলো—
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
ধর্মমঙ্গল
এ কাব্যের প্রধান দেবতা ও দেবীরা হচ্ছেন মনসা, চণ্ডী এবং ধর্মঠাকুর। এর মধ্যে মনসা ও চণ্ডী—এই দুই স্ত্রীদেবতার প্রাধান্য বেশি। মঙ্গলকাব্যের দেব-দেবীরা মূলত অনার্য সংস্কৃতির দেবতা।
একটি পূর্ণাঙ্গ মঙ্গলকাব্যে সাধারণত পাঁচটি অংশ থাকে—
-
বন্দনা
-
আত্মপরিচয়
-
দেবখণ্ড
-
মর্ত্যখণ্ড
-
শ্রুতিফল
মোট ৬২ জন মঙ্গলকাব্য কবির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—
-
কানাহারি দত্ত
-
মানিক দত্ত
-
ভারতচন্দ্র
-
দ্বিজমাধব
-
ঘনরাম চক্রবর্তী
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারায় দ্বিজমাধবকে ‘স্বভাবকবি’ বলা হয়।
অন্যদিকে, জয়দেব মঙ্গলকাব্যের কবি নন; তিনি ছিলেন বৈষ্ণব পদাবলীর কবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সিকান্দার আবু জাফর?
Created: 5 days ago
A
শিখা
B
সমকাল
C
ঢাকা প্রকাশ
D
উত্তরাধিকার
বাংলার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যপত্রিকা
১. সমকাল
-
প্রকাশকাল: ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দ, ঢাকা।
-
সম্পাদক: সিকান্দার আবু জাফর।
-
সহকারী সম্পাদক: হাসান হাফিজুর রহমান।
-
বৈশিষ্ট্য: তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিকাশে অনন্য ভূমিকা।
২. ঢাকা প্রকাশ
-
প্রকাশকাল: ৭ মার্চ ১৮৬১, ঢাকা বাবুবাজার।
-
বৈশিষ্ট্য: ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র।
-
প্রথম সম্পাদক: কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
-
পরিচালক: ব্রজসুন্দর মিত্র, দীনবন্ধু মৌলিক, ঈশ্বরচন্দ্র বসু, চন্দ্রকান্ত বসু প্রমুখ।
-
স্থায়িত্ব: প্রায় ১০০ বছর।
৩. শিখা
-
প্রকাশকাল: প্রথম সংখ্যা চৈত্র ১৩৩৩ (৮ এপ্রিল ১৯২৭)।
-
পটভূমি: ১৯২৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত মুসলিম সাহিত্য-সমাজের মুখপত্র।
-
সম্পাদক: অধ্যাপক আবুল হুসেন (অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
-
বৈশিষ্ট্য: বছরে একবার প্রকাশিত হত।
৪. উত্তরাধিকার
-
প্রকাশকাল: প্রথম সংখ্যা ১৯৭৩।
-
সম্পাদক: রফিক আজাদ।
-
প্রকাশক: বাংলা একাডেমি।
-
ধারা:
-
১৯৭৩–১৯৮৩: মাসিক।
-
১৯৮৩–২০০৯: ত্রৈমাসিক (ক্রমশ অনিয়মিত)।
-
জুলাই ২০০৯ থেকে: আবার মাসিক আকারে নিয়মিত প্রকাশ।
-
-
বৈশিষ্ট্য: গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, নাটক, গ্রন্থ-সমালোচনা ইত্যাদি প্রকাশ।

0
Updated: 5 days ago