মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসটির গ্রন্থাকারে প্রকাশকাল-
A
১৯২৬ সাল
B
১৯৩৬ সাল
C
১৯৩৮ সাল
D
১৯৪৮ সাল
উত্তরের বিবরণ
‘পদ্মানদীর মাঝি’
-
রচয়িতা: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রকাশকাল: ১৯৩৪ সালে পূর্বাশা পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশ, ১৯৩৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত
-
ধরণ: সামাজিক উপন্যাস
-
বিষয়: পদ্মা তীরবর্তী ধীবর-জীবন
-
বিখ্যাত সংলাপ: "আমারে নিবা মাঝি লগে?" – কপিলা কুবেরকে উদ্দেশ্য করে
প্রধান চরিত্র:
-
কুবের
-
কপিলা
-
মালা
-
ধনঞ্জয়
-
গণেশ
-
শীতলবাবু
-
হোসেন মিয়া
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে:
-
জন্ম: ১৯০৮, বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা
-
পৈতৃক নিবাস: ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের নিকট মালবদিয়া গ্রাম
-
প্রকৃত নাম: প্রবোধকুমার, ডাকনাম: মানিক
-
ছোটবেলায় রচনা: অতসীমামী, দিবারাত্রির কাব্য
-
মোট প্রকাশনা: প্রায় অর্ধশতাধিক উপন্যাস ও ২৪৪ গল্প
-
জনপ্রিয় উপন্যাস: পদ্মানদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথা
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য উপন্যাস:
-
জননী
-
চিহ্ন
-
দিবারাত্রির কাব্য
-
শহরবাসের ইতিকথা
-
অহিংসা
-
শহরতলী
-
সোনার চেয়ে দামি
-
স্বাধীনতার স্বাদ
-
ইতিকথার পরের কথা
-
আরোগ্য
ভাষান্তর: ইংরেজি, রুশ, চীনা, চেক, নরওয়েজিয়ান, সুইডিশ
0
Updated: 1 month ago
জেলে জীবন কেন্দ্রিক উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
গঙ্গা
B
পুতুলনাচের ইতিকথা
C
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
D
গৃহদাহ
গঙ্গা উপন্যাস
-
সমরেশ বসুর বিখ্যাত রচনা ‘গঙ্গা’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে।
-
উপন্যাসটির মূল পটভূমি হলো জেলে সম্প্রদায়ের জীবন—বিশেষত অবিভক্ত ২৪ পরগনার মাছধরা মানুষদের জীবনসংগ্রাম।
-
এখানে মূল কেন্দ্রবিন্দু চরিত্র নয়, বরং জেলেদের জীবন। তাদের দৈনন্দিন কষ্ট, লড়াই ও অভ্যাস—সবই লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে: সাইদার নিবারণ, নিবারণের ভাই পাঁচু, ছেলে বিলাস, বশীর, সয়ারাম, পাচী (ছায়া), রসিক, দুলাল, দামিনী, হিমি, আতর, মহাজন ব্রজেন ঠাকুর প্রমুখ।
-
প্রথমে মনে হয় বিলাস ও হিমিই নায়ক-নায়িকা, কিন্তু আসলে সব চরিত্রকে ঘিরে আছেন নিবারণ—তাই নিবারণকেই কেন্দ্রীয় চরিত্র ধরা হয়।
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত এই উপন্যাস প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে।
-
লেখকের মতে, সাহিত্যেও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এ উপন্যাসে সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ দেখা যায়।
-
ব্রিটিশ আমলে বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানসিক দ্বন্দ্ব ও অস্তিত্ব সংকট শশী চরিত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
-
এখানে ‘পুতুল’ বলতে বোঝানো হয়েছে—যারা নিজের দৃঢ় অবস্থান রাখতে পারে না, বরং অন্যের সামান্য প্রভাবেই দোদুল্যমান হয়ে যায়।
-
প্রধান চরিত্র: শশী, কুসুম, হারু ঘোষ প্রমুখ।
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
-
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত এই উপন্যাসটি মূলত আঞ্চলিক কাহিনি।
-
কাহিনি আবর্তিত হয়েছে বাঁশবাড়ি গ্রামের কাহার জাতিকে ঘিরে।
-
পুরোনো বিশ্বাস, কুসংস্কার আর সময়ের পরিবর্তনে তাদের জীবনে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, তাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
গৃহদাহ
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘গৃহদাহ’, যা প্রকাশিত হয় ১৯২০ সালে, মাসিক ভারতবর্ষ পত্রিকায়।
-
এর মূল বিষয় হলো ত্রিভুজ প্রেম।
-
নায়িকা অচলা—যার প্রতি মহিম ও সুরেশ দুই পুরুষের আকর্ষণ-বিকর্ষণ এই কাহিনির মূল কেন্দ্র।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 1 month ago
'গীতগোবিন্দম্' - গ্রন্থটি মধ্যযুগের কোন ধারার সাহিত্য?
Created: 1 month ago
A
বৈষ্ণব পদাবলি
B
রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
C
মঙ্গলকাব্য
D
লোকসাহিত্য
বৈষ্ণব পদাবলি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি।
মুখ্য তথ্যসমূহ—
-
বাঙালি কবি জয়দেবকে বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম পদকর্তা বা আদিকবি বলা হয়। তাঁর রচিত ‘গীতগোবিন্দম্’ কাব্য রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন, তবে এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
-
পরবর্তীতে বিদ্যাপতি ব্রজবুলি ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদ রচনা করেন এবং তাঁকে ব্রজবুলি ভাষায় আদি কবি বলা হয়; তিনি অভিনব জয়দেব নামেও পরিচিত।
-
বাংলা ভাষায় প্রথম বৈষ্ণব পদাবলি রচনা করেন চণ্ডীদাস।
বৈষ্ণব পদাবলিতে পাঁচটি রস বিদ্যমান:
১. শান্তরস
২. দাস্যরস
৩. সখ্যরস
৪. বাৎসল্যরস
৫. মধুররস (শৃঙ্গার রস)
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের শেষ পরিণতি কী?
Created: 4 weeks ago
A
রাধাকে পরিত্যাগ করে কৃষ্ণের মধুরায় গমন
B
রাধা কৃষ্ণের মিলন
C
রাধার আত্মহত্যা
D
রাধা কৃষ্ণের একসাথে মধুরায় গমন
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য হিসেবে স্বীকৃত এবং এটি বাংলা ভাষায় কোনো লেখকের প্রথম এককগ্রন্থ। এগ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন বড়ু চণ্ডীদাস। কাব্যটি কৃষ্ণের পূর্বরাগ থেকে শুরু করে প্রেমে নিমজ্জিত রাধার পরিত্যাগ এবং কৃষ্ণের মধুরায় যাত্রা পর্যন্ত বিস্তারিতভাবে চিত্রিত করেছে।
পুথিটি ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দে) বসন্তরঞ্জন রায় দ্বারা আবিষ্কৃত হয়, যা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের মল্লরাজগুরু বৈষ্ণবমহন্ত শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র বংশজাত শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর বাড়ির গোয়ালঘর থেকে সংগৃহীত। পরে ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মোট ১৩টি খণ্ড রয়েছে। সেগুলো হলো
-
জন্মখণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দানখণ্ড
-
নৌকাখণ্ড
-
ভারখণ্ড
-
ছত্রখণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
0
Updated: 4 weeks ago