‘কবর’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
A
স্বরবৃত্ত
B
মাত্রাবৃত্ত
C
অক্ষরবৃত্ত
D
ত্রিপদী
উত্তরের বিবরণ
‘কবর’ কবিতা
-
সংকলন: জসীম উদ্দীনের রাখালী কাব্যগ্রন্থ থেকে
-
প্রথম প্রকাশ: রাখালী (১৯২৭) এবং 'কল্লোল' পত্রিকায়
-
ছন্দ: মাত্রাবৃত্ত ছন্দ, মোট ১১৮টি পঙক্তি
-
বিষয়বস্তু: এক গ্রামীণ বৃদ্ধের জীবনের প্রিয়জন হারানোর বেদনার স্মৃতি, সহজ সরল ভাষায় কাহিনীধর্মীভাবে প্রকাশিত
জসীম উদ্দীন সম্পর্কে:
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩, ফরিদপুর জেলা, তাম্বুলখানা গ্রাম
-
পরিচিতি: বাংলাদেশে ‘পল্লীকবি’ হিসেবে
-
উল্লেখযোগ্য রচনা: নক্সী কাঁথার মাঠ (গাথাকাব্য)
প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
নক্সী কাঁথার মাঠ
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
মাটির কান্না
-
মা যে জননী কান্দে
-
বালুচর
-
রাখালী
-
সূচয়নী
-
নিমন্ত্রণ
-
রূপবতী
বিখ্যাত কবিতা:
-
মুসাফির
-
রাখাল ছেলে
-
পল্লী জননী
-
আসমানী
-
নিমন্ত্রণ

0
Updated: 21 hours ago
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় 'কালাপাহাড়'-কে স্মরণ করেছেন কেন?
Created: 3 weeks ago
A
ব্রাহ্মণ্যযুগে নব মুসলিম ছিলেন বলে
B
ইসলামের গুণকীর্তন করেছিলেন বলে
C
প্রাচীন বাংলার বিদ্রোহী ছিলেন বলে
D
প্রচলিত ধর্ম ও সংস্কার-বিদ্বেষী ছিলেন বলে
‘মানুষ’ কবিতায় কালাপাহাড় প্রসঙ্গ
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘মানুষ’ কবিতায় ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব গজনি মামুদ, চেঙ্গিস খান ও কালাপাহাড়ের নাম উল্লেখ করেছেন। এখানে বিশেষভাবে কালাপাহাড়কে স্মরণ করেছেন ধর্ম ও সংস্কারের অন্ধত্ব ও বিদ্বেষ ভাঙার প্রতীক হিসেবে।
কবির বক্তব্য— মসজিদ বা মন্দিরে মানুষের প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করা যায় না; স্রষ্টার ঘরে কপাট লাগানো অন্যায়। তাই কবি আহ্বান জানাচ্ছেন, ভক্তির নামে গড়া ভজনালয়ের তালা-দেওয়া দরজা ভেঙে ফেলতে।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম
-
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অগ্রণী ব্যক্তিত্ব।
-
জন্ম: ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ (২৪ মে ১৮৯৯), পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
-
ডাক নাম: ‘দুখু মিয়া’।
-
সাহিত্যজগতে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে।
-
বাংলা গানের ভুবনে খ্যাতি পেয়েছেন ‘বুলবুল’ হিসেবে।
নজরুলের কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
অগ্নিবীণা
-
সঞ্চিতা
-
চিত্তনামা
-
মরুভাস্কর
-
প্রলয় শিখা
-
নির্ঝর
-
ভাঙার গান
-
সর্বহারা
-
ফণি-মনসা
-
চক্রবাক
-
সাম্যবাদী
-
ছায়ানট
-
পুবের হাওয়া
-
জিঞ্জির
-
বিষের বাঁশি
-
দোলনচাঁপা
-
চন্দ্ৰবিন্দু
-
সিন্ধু হিন্দোল
-
নতুন চাঁদ ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 3 weeks ago
'ভাত দে হারামজাদা' কবিতার রচয়িতা কে?
Created: 3 months ago
A
রফিক আজাদ
B
হুমায়ুন আজাদ
C
দাউদ হায়দার
D
হুমায়ুন কবির
রফিক আজাদ
-
রফিক আজাদ জন্মগ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলার জাহিদগঞ্জের গুণীগ্রামে।
-
তাঁর ডাক নাম ছিল ‘জীবন’।
-
তিনি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’ এর সম্পাদক ছিলেন।
-
তাঁর সবচেয়ে পরিচিত কবিতা হলো ‘ভাত দে হারামজাদা’, যা ‘সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে’ নামের কাব্যগ্রন্থে সংকলিত।
-
তিনি ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
রফিক আজাদের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া
-
অসম্ভবের পায়ে
-
কোনো খেদ নেই
-
হৃদয়ের কী বা দোষ
-
সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে
-
করো অশ্রুপাত
-
পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago
কোন বাক্যে 'মাথা' শব্দটি বুদ্ধি অর্থে ব্যবহৃত?
Created: 4 months ago
A
তিনিই সমাজের মাথা
B
মাথা খাটিয়ে কাজ করবে
C
লজ্জায় আমার মাথা কাটা গেল
D
মাথা নেই তার মাথা ব্যথা
• 'মাথা খাটিয়ে কাজ কর' বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি বুদ্ধি অর্থে ব্যবহৃত।
অন্যদিকে,
• 'তিনিই সমাজের মাথা' বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি প্রধান ব্যক্তি অর্থে ব্যবহৃত।
• 'লজ্জায় আমার মাথা কাটা গেল' বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি সম্মান অর্থে ব্যবহৃত।
• 'মাথা নেই তার মাথা ব্যাথা' বাক্যে উভয় ‘মাথা’ই মাথা অর্থে ব্যবহৃত।
উৎস: অভিগম্য অভিধান এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 4 months ago