'কালের কলস' কোন ধরনের রচনা?
A
উপন্যাস
B
কাব্যগ্রন্থ
C
প্রবন্ধ
D
নাটক
উত্তরের বিবরণ
আল মাহমুদ
-
জন্ম: ১৯৩৬ সালে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে।
-
প্রকৃত নাম: মীর আবদুল শুকুর আল মাহমুদ।
-
স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
-
তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ: সোনালি কাবিন।
-
মৃত্যু: ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে, বয়স ৮২ বছর।
প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
লোক লোকান্তর
-
কালের কলস
-
সোনালি কাবিন
-
বখতিয়ারের ঘোড়া
-
অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না
-
পাখির কাছে ফুলের কাছে
-
প্রেমের কবিতা

0
Updated: 21 hours ago
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন 'চর্যাপদ' -এর আবিষ্কারক-
Created: 3 months ago
A
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ডক্টর সুকুমার সেন
চর্যাপদ বাংলা ভাষার সর্বপ্রথম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। এটি কেবল বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন নয়, বরং এটি গানের সংকলন হিসেবেও বিবেচিত হয়। চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন, রূপান্তরমান (আর্ন্ধবঙ্গীয় প্রাকৃতঘেঁষা) এবং এর মূল উপজীব্য ছিল বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার দার্শনিক ও গূঢ় ভাবধারা।
আবিষ্কার ও গুরুত্ব
১৯০৭ সালে বিশিষ্ট পণ্ডিত ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।
-
এই পাণ্ডুলিপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
পদকর্তা ও সংখ্যা
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ বিভিন্ন গূঢ় তত্ত্ব তুলে ধরেছেন কবিতার মাধ্যমে।
-
ড. সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)’ গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫১টি, যদিও তিনি নিজের রচিত ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেন এবং আলোচনা অংশে মুনিদত্তের ৫০টি ব্যাখ্যার কথাও বলেন।
-
অপরদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাঁর সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদের কথা উল্লেখ করেন।
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেন মুনিদত্ত। তবে তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
চর্যাপদ কেবল বাংলা ভাষার শুরুর ধাপেই একটি সাহিত্যিক চিহ্ন নয়, এটি বাঙালির আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ঐতিহ্যের প্রাচীন প্রমাণও বটে। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার গভীর অন্তর্দৃষ্টি এই পদগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের গর্ব ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
কোন কবিতাটি 'অগ্নিবীণা' কাব্যের নয়?
Created: 21 hours ago
A
প্রলয়োল্লাস
B
ধূমকেতু
C
রণভেরী
D
যৌবনের গান
অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ
-
রচয়িতা: কাজী নজরুল ইসলাম
-
উল্লেখযোগ্য: প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ
-
বিখ্যাত কবিতা: বিদ্রোহী (যার জন্য তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত হন)
-
উৎসর্গ: বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
-
মোট কবিতা: ১২
কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহ:
-
প্রলয়োল্লাস
-
বিদ্রোহী
-
রক্তাম্বর-ধারিণী মা
-
আগমণী
-
ধূমকেতু
-
কামাল পাশা
-
আনোয়ার
-
রণভেরী
-
শাত-ইল-আরব
-
খেয়াপারের তরণী
-
কোরবানী
-
মহররম
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
প্রবন্ধ: যৌবনের গান

0
Updated: 21 hours ago
’গোরক্ষবিজয়’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
সৈয়দ হামজা
B
গোঁজলা গুই
C
আলাওল
D
শেখ ফয়জুল্লাহ
শেখ ফয়জুল্লাহ
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের কবি (১৬শ শতক)
-
জন্মস্থান: বিভিন্ন মতানুসারে পশ্চিমবঙ্গের বারাসত, দক্ষিণ রাঢ় বা কুমিল্লা
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
সত্যপীরবিজয়
-
গোরক্ষবিজয়
-
গাজীবিজয়
-
-
অন্যান্য রচনা: জয়নবের চৌতিশা, সুলতান জমজমা, রাগমালা, পদাবলী

0
Updated: 1 month ago