শরৎচন্দ্রের কোন উপন্যাসটি বিপ্লববাদীদের প্রতি সমর্থনের অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল?
A
পথের দাবী
B
নিস্কৃতি
C
চরিত্রহীন
D
দত্তা
উত্তরের বিবরণ
'পথের দাবী' উপন্যাস
-
পথের দাবী (১৯২৬) একটি রাজনৈতিক উপন্যাস।
-
কাহিনীর পটভূমি ব্রহ্মদেশ।
-
এক গুপ্ত দলের নায়ক সব্যসাচী উপন্যাসের প্রধান চরিত্র।
-
কারো মতে, সব্যসাচী চরিত্রে বিপ্লবী রসবিহারীবসু-এর ছায়াপাত ঘটেছে।
-
উপন্যাসটি বিপ্লববাদীদের প্রতি সমর্থনের অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করে।
-
ভারতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এ গ্রন্থের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
-
বঙ্গবানী পত্রিকার ১৩২৯-এর ফাল্গুন সংখ্যা থেকে পথের দাবী ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
তাঁর রচিত বিখ্যাত উপন্যাসসমূহ:
-
দেনা-পাওনা
-
বড়দিদি
-
বিরাজবৌ
-
পন্ডিতমশাই
-
পরিণীতা
-
চন্দ্রনাথ
-
দেবদাস
-
চরিত্রহীন
-
গৃহদাহ
-
পথের দাবী
-
শেষ প্রশ্ন
-
শেষের পরিচয় প্রভৃতি
0
Updated: 1 month ago
'হায়! জীবন এতো ছোট ক্যানে? এই ভুবনে'- বিখ্যাত সংলাপটি কোন উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 3 weeks ago
A
কালিন্দী
B
কবি
C
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
D
আরগ্য নিকেতন
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যেখানে কবিত্ব, প্রেম, সমাজ ও মানবজীবনের সীমা-অসীমতার সংঘাত একসাথে রূপ পেয়েছে। এই উপন্যাসে লেখক একজন প্রান্তিক মানুষের শিল্পীসত্তা ও তার জীবনের বেদনাকে গভীর মানবিক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করেছেন।
-
‘কবি’ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র নিতাইচরণ, এক ডোম সম্প্রদায়ের যুবক, যার অন্তর্নিহিত কবিসত্তাই উপন্যাসের মূল বিষয়।
-
গল্পটি এক নিম্নবর্ণের মানুষ কীভাবে কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ও সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে চায়, সেই সংগ্রামকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।
-
নিতাইচরণের জীবনে দুটি নারী আসে—কমলা ও কুন্তলা, যাদের মাধ্যমে প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের বহুমাত্রিক দিকগুলো ফুটে ওঠে।
-
উপন্যাসে শিল্পী ও সমাজের দ্বন্দ্ব, প্রেম ও দায়িত্ববোধের সংঘাত, এবং মানুষের আত্মপ্রতিষ্ঠার তীব্র আকাঙ্ক্ষা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
উপন্যাসের অন্যতম বিখ্যাত সংলাপটি—
“এই খেদ আমার মনে, ভালবেসে মিটলোনা সাধ, কুলালোনা এই জীবনে। হায়! জীবন এত ছোট কেনে? এই ভুবনে।”
—এই সংলাপ নিতাইচরণের আত্মকথন, যেখানে তাঁর অপূর্ণ ভালোবাসা ও জীবনের সীমাবদ্ধতার গভীর বোধ প্রকাশ পেয়েছে। -
তারাশঙ্কর এই উপন্যাসে সমাজের প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠকে কেন্দ্র করে মানবিকতার এক সার্বজনীন রূপ তুলে ধরেছেন।
-
ভাষা ও বর্ণনা কাব্যিক, সংলাপগুলো আবেগপূর্ণ, যা উপন্যাসটিকে বাংলা কথাসাহিত্যে এক ক্লাসিক মর্যাদায় আসীন করেছে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ।
-
জন্ম: ১৮৯৮ সালে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার এক জমিদার পরিবারে।
-
তাঁর প্রথম গল্প ‘রসকলি’, যা সেকালের প্রসিদ্ধ পত্রিকা ‘কল্লোল’-এ প্রকাশিত হয়।
-
তাঁর লেখায় গ্রামীণ সমাজ, প্রান্তিক মানুষের জীবনসংগ্রাম, নৈতিক দ্বন্দ্ব ও মানবিক বোধ গভীরভাবে প্রতিফলিত।
প্রধান উপন্যাসসমূহ:
-
চৈতালি ঘূর্ণি
-
ধাত্রীদেবতা
-
কালিন্দী
-
কবি
-
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
-
গণদেবতা
-
আরগ্য নিকেতন
-
পঞ্চপুণ্ডলী
-
রাধা
ত্রয়ী উপন্যাস:
-
ধাত্রীদেবতা
-
গণদেবতা
-
পঞ্চগ্রাম
প্রসিদ্ধ ছোটগল্প:
-
রসকলি
-
বেদেনী
-
ডাকহরকরা
‘কবি’ উপন্যাসে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন—কবিত্ব কোনো সামাজিক অবস্থানের সীমায় আবদ্ধ নয়, বরং তা মানবমনের অন্তর্গত এক অনন্ত স্রোত, যা জীবন, প্রেম ও মৃত্যুর সীমা অতিক্রম করে মানুষকে অমর করে তোলে।
0
Updated: 3 weeks ago
'পদ্মরাগ' উপন্যাস কে রচনা করেছেন?
Created: 2 months ago
A
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন
C
শওকত ওসমান
D
বুদ্ধদেব বসু
• পদ্মরাগ (উপন্যাস):
-
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত উপন্যাস।
-
এটি প্রথম মুসলিম রচিত উপন্যাস।
-
এই উপন্যাসে মুসলিম সমাজের অন্তর্নিহিত ক্লেদ এমনভাবে উন্মোচিত হয়েছে, যা কোনো হিন্দু লেখকের পক্ষে সম্ভব ছিল না।
-
অসাম্প্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবেও এই উপন্যাসের গুরুত্ব রয়েছে।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন:
-
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে।
-
বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়।
-
মুসলিম মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে তিনি ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম বা মুসলিম মহিলা সমিতি।
-
তাঁর ইংরেজি গ্রন্থ Sultana’s Dream তিনি নিজেই বাংলায় অনুবাদ করেন সুলতানার স্বপ্ন নামে।
-
এটি একটি প্রতীকধর্মী রচনা, যেখানে বর্ণিত Lady Land বা ‘‘নারীস্থান’’ মূলত রোকেয়ার স্বপ্নকল্পনার প্রতিচ্ছবি।
উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
মতিচূর
-
Sultana’s Dream
-
পদ্মরাগ
-
অবরোধবাসিনী
এছাড়া তিনি অসংখ্য প্রবন্ধ, ছোটগল্প, কবিতা, ব্যঙ্গরচনা ও অনুবাদ রচনা করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা।
0
Updated: 2 months ago
কোনটি পূর্ববঙ্গ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 month ago
A
কমলা
B
মলুয়া
C
দেওয়ানা ভাবনা
D
কাঞ্চনমালা
পূর্ববঙ্গ-গীতিকা হলো পূর্ববাংলার লোকসাহিত্যের একটি সংকলন, যা মুখে মুখে রচিত এবং লোকসমাজে প্রচলিত পালাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই গীতিকাগুলো বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ।
-
পালাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফরিদপুর, সিলেট (শ্রীহট্ট), ত্রিপুরা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে।
-
প্রধান সংগ্রাহকরা হলেন: চন্দ্রকুমার দে, দীনেশচন্দ্র সেন, আশুতোষ চৌধুরী, জসীমউদ্দীন, নগেন্দ্রচন্দ্র দে, রজনীকান্ত ভদ্র, বিহারীলাল রায়, বিজয়নারায়ণ আচার্য প্রমুখ।
-
সংগৃহীত পালাগুলির সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক।
-
১৯১৩ সালে চন্দ্রকুমার দে প্রথম এই ধরণের লোকগাথা প্রকাশ শুরু করেন।
-
দীনেশচন্দ্র সেন চন্দ্রকুমারের গাথা পড়ে আকৃষ্ট হন এবং তাঁর সহযোগিতায় পল্লী অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে আরও অনেক গাথা সংগ্রহ করেন।
-
১৯২৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসাহায্যে দীনেশচন্দ্র সেগুলি ‘পূর্ববঙ্গ-গীতিকা’ নামে প্রকাশ করেন।
পূর্ববঙ্গ-গীতিকার উল্লেখযোগ্য পালা:
-
নিজাম ডাকাতের পালা
-
কাফন চোরা
-
কমল সওদাগর
-
চৌধুরীর লড়াই
-
কাঞ্চনমালা
-
আয়না বিবি
-
ভেলুয়া
-
কমলা রানির গান
অন্যদিকে, মলুয়া, দেওয়ানা ভাবনা ও কমলা মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত।
0
Updated: 1 month ago