কবর নাটকটি সর্বপ্রথম কোথায় অভিনীত হয়?
A
বাংলা টেলিভিশনে
B
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে
C
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে
D
রমনা বটমূলে
উত্তরের বিবরণ
কবর’ নাটক:
-
পটভূমি: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
-
ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম নাটক
-
লেখা: মুনীর চৌধুরী, জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ১৯৫৩ সালে
-
প্রেক্ষাপট: বামপন্থী রণেশ দাশগুপ্ত জেলখানায় ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের জন্য মুনীর চৌধুরীকে নাটক রচনার অনুরোধ করেন
-
প্রথম অভিনয়: রাজবন্দীদের দ্বারা জেলখানায়
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটকসমূহ:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দন্ডকারণ্য
অনুবাদ নাটকসমূহ:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ

0
Updated: 6 hours ago
'কবর' নাটকটির লেখক-
Created: 4 months ago
A
জসীমউদ্দীন
B
নজরুল ইসলাম
C
মুনীর চৌধুরী
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
• ‘কবর’ নাটক:
- ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক 'কবর'।
- নাটকটি লেখক জেলে থাকা অবস্থায় রচনা করেন এবং ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা নাটকটি প্রথম অভিনীত হয়।
- নাটকটি ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
• ‘কবর’ নাটকের কাহিনি সংক্ষেপ:
- মার্কিন নাট্যকার Irwin Shaw রচিত 'Bury The Dead' (১৯৩৬) নাটকের অনুসরণে এদেশীয় ঘটনা কেন্দ্র করে 'কবর' নাটক লেখা হয়েছে।
- 'কবর' নাটকে মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে শহরে কারফিউ দিয়ে লাশ গুম করতে গভীর রাতে কবরস্থানে নিয়ে যায়। পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ এবং নেতা (নাটকে তার নাম নেই) যৌথভাবে এ দায়িত্ব নেয়। কিন্তু লাশগুলো ছিন্নভিন্ন দেখে তারা ধর্মীয় প্রথা অনুসারে কবরস্থ না করে একত্রে মাটিচাপা দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বাধা দেয় গোর-খোদক। কবরস্থানে আশ্রয় নেয়া আরেক স্বজনহারা পাগল মুর্দা ফকিরও প্রতিবাদ জানায়।
বলে: এ লাশগুলো আন্দোলনকারীর। এরা এভাবে কবরে যাবে না। লাশগুলোও তখন উঠে দাঁড়ায় এবং বলে: আমরা কবরে যাবো না। এসব দেখে মদ্যপ ইন্সপেক্টর ও নেতা ভয় পেয়ে যায়।
- 'কবর' একুশের পটভূমিতে রচিত প্রথম বাংলা নাটক।
---------------------
• মুনীর চৌধুরী:
- মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
- ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে তাঁর জন্ম।
- মুনীর চৌধুরী শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক:
- রক্তাক্ত প্রান্তর,
- চিঠি,
- কবর,
- দণ্ডকারণ্য।
অনুবাদ নাটক:
- কেউ কিছু বলতে পারে না,
- রূপার কৌটা ও
- মুখরা রমণী বশীকরণ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
’নীল দর্পণ’ নাটকের উপজীব্য কী?
Created: 1 month ago
A
পঞ্চাশের মন্বন্তর
B
নীল চাষিদের দুরবস্থা
C
দেশভাগ
D
ভাষা আন্দোলন
নীল দর্পণ
-
রচয়িতা: দীনবন্ধু মিত্র
-
প্রকাশ: ১৮৬০, ঢাকা
-
বিষয়বস্তু: নীলকর সাহেবদের অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্ত নীল চাষিদের দুরবস্থা
-
শ্রেষ্ঠ নাটক ও শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে পরিচিত
-
ইংরেজি অনুবাদ: মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ছদ্মনাম A Native
-
প্রথম অভিনয়: ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর, ছদ্মনাম ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’
দীনবন্ধু মিত্র
-
জন্ম: নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া, দরিদ্র পরিবার
-
পিতৃদত্ত নাম: গন্ধর্বনারায়ণ
-
প্রথম সাহিত্য: কবিতা (সংবাদ প্রভাকর, সাধুরঞ্জন পত্রিকায়)
-
প্রধান খ্যাতি: নাটক ও প্রহসন
-
নীল দর্পণ: প্রধান কাব্য/নাটক
-
নাটকের প্রভাব: সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি, নীলবিদ্রোহে ইন্ধন
অন্যান্য নাটক:
-
নবীন তপস্বিনী
-
লীলাবতী
-
কমলে কামিনী

0
Updated: 1 month ago
'কমলে কামিনী' নাটকটি কে রচনা করেছেন?
Created: 3 months ago
A
জসীম উদ্দীন
B
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
C
দীনবন্ধু মিত্র
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
‘কমলে কামিনী’ নাটক:
-
‘কমলে কামিনী’ (১৮৭৩) হল দীনবন্ধু মিত্রের সর্বশেষ রচিত নাটক।
-
এই নাটকের পটভূমি কাছাড় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে।
-
নাটকটির সকল চরিত্রই অভিজাত পরিবারের হলেও তারা মানসিকভাবে দুর্বল।
-
গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহ: রাজা, সমরকেতু শশাঙ্কশেখর, গান্ধারী, সুশীলা ও সুরবালা।
দীনবন্ধু মিত্র সম্পর্কে:
-
দীনবন্ধু মিত্র ১৮৩০ সালে নদীয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
সাহিত্যজীবনের সূচনা তিনি কবিতা লেখার মাধ্যমে করেন, ঈশ্বর গুপ্তের উৎসাহে।
-
যদিও তিনি কবিতা লিখে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন, কিন্তু নাট্যকার হিসেবে তিনি সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন।
দীনবন্ধু মিত্রের উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ:
-
নীল দর্পণ
-
নবীন তপস্বিনী
-
লীলাবতী
-
জামাই বারিক
-
কমলে কামিনী
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 3 months ago