স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় কবে?
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৪ সালে
C
১৯৭৬ সালে
D
১৯৭৮ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে জনশুমারি দেশের জনসংখ্যা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি প্রতি দশ বছর অন্তর দেশের সব নাগরিক ও বসবাসকারীর তথ্য সংগ্রহ করে নীতি প্রণয়ন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়।
-
১৯৭৪ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়।
-
জনশুমারি ও গৃহগণনার মাধ্যমে প্রতি দশ বছর অন্তর দেশের আর্থ-সামাজিক ও জনমিতিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রকাশ করা হয়।
-
এরপর ১৯৮১ সালে দ্বিতীয় শুমারি এবং পরবর্তীতে প্রতি দশ বছরে নিয়মিতভাবে শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
-
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০২২ সালের ১৫-২১ জুন দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা সম্পন্ন করে।
-
২০২২ সালের শুমারি প্রথমবার Computer Assisted Personal Interviewing (CAPI) পদ্ধতিতে, ডিজিটাল ট্যাবলেট ব্যবহার করে পরিচালিত হয়।
-
তথ্যসংগ্রহে Modified De-facto পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যেখানে খানার সদস্যদের পাশাপাশি কর্তব্যরত ও ভ্রমণরত সদস্যদেরও তাদের নিজ নিজ খানায় গণনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
এই পদ্ধতিতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সমস্ত প্রক্রিয়া তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভরভাবে সম্পন্ন হয়।
0
Updated: 1 month ago
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে ন্যূনতম কত বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে?
Created: 1 month ago
A
৮ বছর
B
১০ বছর
C
৯ বছর
D
১২ বছর
সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত, যা দেশের বিচার ব্যবস্থা পরিচালনার শীর্ষ সংস্থা হিসেবে কাজ করে।
-
সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ আছে— আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ।
-
সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রধান বিচারপতি থাকেন, যাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বলা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে নিযুক্ত করেন এবং প্রতিটি বিভাগের জন্য যতজন বিচারক প্রয়োজন, ততজন বিচারক নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়।
-
প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের অন্যান্য বিচারক নিযুক্ত করেন।
-
প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারক বিচার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
-
এছাড়া, বিচারক হিসেবে যোগ্যতার জন্য প্রয়োজন—
-
বাংলাদেশের আদালতে কমপক্ষে ১০ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা, অথবা
-
বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর বিচারক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা।
-
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তাদের পদে কর্মরত থাকতে পারেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
দেশের অনুমোদিত প্রথম জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) খাদ্য ফসল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বিটি (Bt) ধান
B
বিটি (Bt) গম
C
বিটি (Bt) বেগুন
D
বিটি (Bt) তুলা
বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত প্রথম জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) খাদ্য ফসল হলো বিটি বেগুন (Bt Brinjal), যা ২০১৪ সালে কৃষকদের মধ্যে বিতরণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। Bt-বেগুনের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় Bacillus thuringiensis নামক সয়েল ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্রিস্টাল প্রোটিন জিন বেগুনের জিনোমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
পার্থক্য সাধারণ বেগুনের সঙ্গে: সাধারণ বেগুনে এক প্রকার পোকা কচি ডগা ও ফল ছিদ্র করে নষ্ট করে, ফলে ফলন হ্রাস পায়। কৃষককে প্রতি সিজনে ৬০-১৮০ বার পোকানাশক ওষুধ স্প্রে করতে হয়।
-
Bt-বেগুনের সুবিধা: ঐ পোকার আক্রমণ হয় না, তাই পোকানাশক ওষুধ প্রয়োজন হয় না।
Bt-বেগুন চাষের গুরুত্ব:
১. পোকানাশক ওষুধ কিনতে বা স্প্রে করতে হবে না, ফলে উৎপাদন খরচ কমবে।
২. বেগুন খাওয়া মানুষের বিষক্রিয়া ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে।
৩. মাটি ও পরিবেশ বিষমুক্ত থাকবে।
৪. আশেপাশের জলাশয় বিষমুক্ত থাকবে এবং জলজ পরিবেশের স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া বজায় থাকবে।
৫. উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল হলো এমন ফসল যার জিনকে পরিবর্তন বা মডিফাই করা হয়েছে উৎপাদন বৃদ্ধি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।
-
হাইব্রিড সব ফসল জি.এম. ফসল নয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে হাইব্রিড ফসল প্রাকৃতিক প্রতিরূপের তুলনায় বিষাক্ত বা কম পুষ্টিকর হতে পারে।
-
আধুনিক জেনেটিক মডিফিকেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের রোগ-বালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদন উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্যে কতজনকে বীরত্বসূচক খেতাব বা উপাধি প্রদান করা হয়?
Created: 2 months ago
A
৬৭৫ জন
B
৬৭৬ জন
C
৬৭৭ জন
D
৬৭৮ জন
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্য ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার মোট ৬৭৬ জনকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করে।
বীরত্বসূচক খেতাবসমূহ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৭ জন
-
বীরউত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৬৮ জন
-
বীরবিক্রম – তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ১৭৫ জন
-
বীরপ্রতীক – চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব, প্রাপ্ত: ৪২৬ জন
-
সাম্প্রতিক পরিবর্তন: ৬ জুন ২০২১ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু হত্যার চার আসামের মুক্তিযুদ্ধে প্রদত্ত খেতাব বাতিল করে।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago